হতাহত কমাতে ৪০ মিনিট আগে বজ্রপাতের সতর্কবার্তা
বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু কমিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এ প্রকল্পের আওতায় হাওর অঞ্চলে এক হাজার কংক্রিটের শেল্টার নির্মাণ করা হবে। এসব শেল্টারে বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্রও স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া আগাম সতর্কতা দেওয়ার জন্য ৭২৩টি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এসব কেন্দ্র থেকে স্থানীয় অধিবাসীদের ৪০ মিনিট আগে মোবাইলে বার্তা পাঠানো হবে, যাতে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে পারে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের বরাতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি হিসাবে প্রতিবছর বজ্রপাতে ১৫০ থেকে ২০০ মানুষ মারা যায়, যাদের বেশির ভাগই হচ্ছে কৃষক। বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু কমানোর জন্য এর আগেও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে ১০ লাখ তালগাছ লাগানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল সরকার। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি।
প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, এবার হাওর অঞ্চলে প্রতি কিলোমিটারে একটি করে কংক্রিট শেল্টার নির্মাণ করা হবে। এক কিলোমিটার পর পর শেল্টার নির্মাণ হলে আগাম সতর্কতা পাওয়ামাত্র মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে পারবে। কারণ, এক কিলোমিটার পথ হেঁটে আসতে ২০ মিনিট সময় লাগে। সেজন্য ৪০ মিনিট আগে সতর্কবার্তা দেওয়া হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যালোচনা করে দেখা গেছে বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় হাওর অঞ্চলে।
মানুষকে আগাম সতর্কতা দেওয়ার জন্য একটি অ্যাপ বানানো হবে বলেও তিনি জানান।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বজ্রপাত-নিরোধক যন্ত্র ব্যবহার করে কংক্রিট শেল্টার নির্মাণ একটি ভালো উদ্যোগ। তবে এ জন্য যথাযথ ম্যাপিং করতে করতে। শুধু যেখানে সেখানে শেল্টার নির্মাণ করলেই হবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এ এইচ এম আসাদুল হক বলেন, যেসব শেল্টার নির্মাণ করা হবে সেগুলোর ভালো ব্যবস্থাপনা এবং পরিকল্পনা থাকতে হবে। তা না হলে পরবর্তীতে দেখা যাবে এসব শেল্টার উল্টো বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ প্রকল্পের জন্য প্রথমে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এর সারসংক্ষেপ শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে এবং তিনি অনুমোদন করলে বাস্তবায়ন শুরু হবে।
এনএইচ/টিআই
মন্তব্য করুন