• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সগীরা মোর্শেদ হত্যা মামলার শুনানি পেছালো

আরটিভি নিউজ

  ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৪:১৭
The hearing of Sagira Morshed murder case was postponed
সগীরা মোর্শেদ হত্যা মামলার শুনানি পেছালো

একত্রিশ বছর আগে চাঞ্চল্যকর সগীরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় ৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে ৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। আদালত সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

জানা যায়, আজ মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিপক্ষের আইনজীবীরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পায়নি বলে অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর আবেদন জানায়। এরপর বিচারক আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

মামলার আসামিরা হলেন- নিহতের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও হাসান আলীর স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান এবং ভাড়াটে মারুফ রেজা।
এর আগে ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামিরা শিক্ষিত ও হোয়াইট কালারের অপরাধী হওয়ায় তারা জামিন পেলে বাংলাদেশ ত্যাগ করে পলাতক হওয়ার যথেষ্ট সম্ভবনা রয়েছে। এ জন্য আসামিদের বিচার সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।

তদন্ত কর্মকর্তা চার্জশিটে আরও উল্লেখ করেন, সগীরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের দ্বন্দ্ব ছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগীরাকে অনেক পছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগীরা-শাহীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। সগীরার কাজের মেয়েকে মারধর করে আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে শাহীন সগীরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগীরাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অপর আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করে।

উল্লেখ্য, ৩২ বছর আগে, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে সগীরা মোর্শেদ সালাম (৩৪) বাসা থেকে বের হয়ে তার দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া বড় মেয়ে সারাহাত সালমাকে বাসায় আনতে স্কুলের দিকে যাচ্ছিলেন। স্কুলের সামনে পৌঁছামাত্রই মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদ সগীরার হাতের বালা ধরে টান দেয়। বালা দিতে অস্বীকার করায় সগীরাকে গুলি করে হত্যা করে তারা। পরে সগীরাকে উদ্ধার করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কেএফ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আইন-বিচার এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির ৫ নেতা কারাগারে
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল
ফরিদপুরে হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
শিশু হত্যা মামলায় বৃদ্ধের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড 
X
Fresh