• ঢাকা শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে কারাগারে লিয়াকত (ভিডিও)

কক্সবাজার প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ৩০ আগস্ট ২০২০, ১৮:০৭
Liaquat was jailed after making a confessional statement in court
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলার প্রধান আসামি বরখাস্তকৃত পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার প্রধান আসামি বরখাস্তকৃত পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী আদালতে ১৬৪ ধারামতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার (৩০ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতের খাস কামরায় জবানবন্দি দেন। পরে তাকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম জানান, ‘সিনহা হত্যা মামলার মূল আসামি র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক কিছু স্বীকার করেছেন। এ কারণে তাকে আদালতে আনা হয়েছে। আমি আশা করি আসামি লিয়াকত সব সত্যগুলো আদালতের কাছেও স্বীকার করবেন।

এর আগে রোববার দুপুরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর লিয়াকত আলীকে সরাসরি আদালতে নিয়ে আসে র‌্যাবের একটি দল।

গত শুক্রবার এই মামলায় তৃতীয় দফায় বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী, এএসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের তৃতীয়বারের মতো তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের একদিন পরই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন লিয়াকত।

মেজর সিনহা নিহতের ঘটনায় আত্মসমর্পণের পর গত ৬ আগস্ট ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দদুলাল সহ সাত পুলিশের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর সাত দিনের রিমান্ড শেষে দ্বিতীয় দফায় ২৪ আগস্ট আরো সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছিল র‌্যাব। আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। ওই চার দিন রিমান্ড শেষ হলে তদন্তের স্বার্থে তৃতীয় দফায় আরো চার দিনের আবেদন করা হলে গত শুক্রবার (২৮ আগস্ট) আদালত তাদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে। মামলায় এ পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, এপিবিএনের তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এরমধ্যে এপিবিএনের তিন পুলিশ সদস্য পৃথকভাবে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। যার কারণে এ তিন পুলিশ সদস্য কারাগারে রয়েছেন।

পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আইন-বিচার এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারককে যা বললেন মিল্টন সমাদ্দার
মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে
মনোনয়নপত্র নিতে প্রার্থীর বাড়িতে লোক পাঠালেন রিটার্নিং কর্মকর্তা
আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা, কারাগারেও যেতে পারেন ট্রাম্প
X
Fresh