অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইউনিপেটুইউ'র কর্মকর্তাসহ আটক ৪
মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কোম্পানি ইউনিপেটুইউ'র দুই কর্মকর্তা ও দুই এজেন্টকে আটক করেছে পুলিশ।
৪৪ কোটি ৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বুধবার মধ্যরাতে তাদের আটক করে।
সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপারর (এএসপি) শারমিন জাহান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইডি সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
আরও পড়ুন:
- ভূমি অধিগ্রহণ তহবিলের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অডিটর ও পিয়ন গ্রেপ্তার
- অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ২
এমসি/জেএইচ
মন্তব্য করুন
বড় মনিরের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের মামলা
ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে ঢাকায় এক কলেজছাত্রীকে কৌশলে ফ্ল্যাটে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
শনিবার (৩০ মার্চ) তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোস্তফা আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। টাঙ্গাইলের গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগী ছাত্রী মামলা করেছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
মামলার অভিযোগে ওই কলেজছাত্রী উল্লেখ করেন, ফেসবুকে গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের সঙ্গে পরিচয় হয়। প্রথম পর্যায়ে হাই-হ্যালো হতো। এক পর্যায়ে বড় মনির ভুক্তভোগীকে ছোট বোন বলে সম্বোধন করে। এরপর তার সঙ্গে ছাত্রীর হোয়াটসঅ্যাপে অডিও-ভিডিওতে কথা হতো। এরপর গত ২৯ মার্চ ইফতারের পর গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির ভুক্তভোগী ছাত্রীকে মেসেজ দিয়ে জমজম টাওয়ারের সঙ্গে এপেক্স শোরুমের সামনে থাকতে বলে। সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটের সময় এপেক্স শো-রুমের সামনে অপেক্ষা করি। এর ১০/১৫ মিনিট পর বড় মনির রিকশা নিয়ে আসে এবং রিকশায় উঠতে বলে। বড় মনিরের কথামতো ভুক্তভোগী ছাত্রী তার সঙ্গে রিকশায় উঠেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তুরাগ থানাধীন প্রিয়াংকাসিটি ৬ নম্বর রোডের ৭ নম্বর বাসার পশ্চিম পাশের ফ্ল্যাটের তৃতীয় তলার উত্তর-পশ্চিম পাশের রুমের ভেতর নিয়ে যান। এরপর রুমের দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করেন। এরপর ভুক্তভোগী ছাত্রী তার বাবাকে ফোন দেন। তার বাবা ঘটনা শুনে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এ ফোন দেন। পরে তুরাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব এবং টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই। এর আগে, এক কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগে গত বছরের ৫ এপ্রিল টাঙ্গাইল সদর থানায় বড় মনিরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।
৩০ হাজার টাকায় কারিগরির সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান!
বিপুল পরিমাণ জাল সার্টিফিকেটসহ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাজধানীর আগারগাঁও এবং পীরেরবাগে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ডিবি। অভিযানে বিপুল পরিমাণ জাল সার্টিফিকেট ও সার্টিফিকেট তৈরির সরঞ্জামসহ শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, শামসুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরেই ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় কারিগারি শিক্ষাবোর্ডের সনদ বিক্রি করে আসছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির সার্ভার তার নিয়ন্ত্রণে থাকায় অনলাইনেও এসব সার্টিফিকেটের অস্বিত্ব পাওয়া যায়।
উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান আরও বলেন, শামসুজ্জামান শিক্ষাবোর্ড থেকে সনদ ছাপানোর অর্জিনাল পর্যন্ত কাগজ চুরি করেছেন। পরে ওইসব কাগজে সনদ ছাপিয়ে নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীর কাছে বিক্রি করা হতো। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছেন কি না, তা জানতে তদন্ত চলছে।
ফোনে ‘পার্টটাইম চাকরি’ দেওয়ার নামে ভয়াবহ প্রতারণা
‘হ্যালো স্যার, আমি স্ন্যাপটেক ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানি থেকে বলছি। আমরা আপনাকে ঘরে বসেই পার্টটাইম চাকরির অফার করছি। যার মাধ্যমে আপনি দৈনিক পনেরশ থেকে দুই হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি কি কাজটি করতে আগ্রহী? যদি আগ্রহী হন তাহলে আমরা আপনাকে এ বিষয়ে বিস্তারিত হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাচ্ছি।’ আরটিভির একজন সাংবাদিককে ফোন করে অপরপ্রান্ত থেকে কেউ একজন নারীকণ্ঠে ইংরেজিতে কথাগুলো বলছিলেন। এর আগেও বেশ কয়েকবার এমন ফোনকল পেয়েছিলেন ওই সাংবাদিক, তবে আগ্রহ দেখাননি। কিন্তু এবার বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য তিনি তার আগ্রহের কথা জানান। এরপরই বেরিয়ে আসে অনলাইনে ভয়াবহ প্রতারণার নতুন কৌশল।
আরটিভির ওই সাংবাদিকের নাম সজিব খান। ফোনকলে তিনি কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করার পর ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে জানতে চাওয়া হয়, ‘আপনাকে যে নম্বরে ফোন করেছি, তাতে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খোলা আছে কি না।’ জবাবে ‘হ্যা’ সূচক শব্দ শোনার পর ‘ঠিক আছে আপনাকে বিস্তারিত পাঠাচ্ছি’ বলে ফোন কেটে দেন নারীকণ্ঠের ওই ব্যক্তি। এই পর্যন্ত ইংরেজিতেই কথাবার্তায় চলছিল। এবার হোয়াটসঅ্যাপ খুললে দেখা যায়, অপরিচিত আরেকটি নম্বর থেকে বাংলায় ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছে, ‘আমি স্ন্যাপটেক ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানি থেকে আফরোজা সুলতানা বলছি। আমাদের দলের একজন সদস্য আপনার আগ্রহের কথা আমাকে জানিয়েছে। আমরা মূলত ইউটিউবের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির প্রচার বা প্রসার বাড়াতে সাহায্য করে থাকি। আপনার কাজ হলো। ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করা। এর মাধ্যমে আপনি দৈনিক ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা আয় করতে পারবেন।’
এরপর ওই সাংবাদিকের নাম, বয়স, পেশা, বিকাশ নম্বর এবং মোবাইল নম্বর জানতে চাওয়া হয়। তিনি চালাকি করে মোবাইল নম্বর ঠিক রেখে বাকিসব ভুয়া তথ্য দেন (ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তার জন্য)। এরপর প্রথম ধাপে তাকে তিনটি ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে স্ক্রিনশট পাঠাতে বললে তিনি তা করেন। পরে সঙ্গে সঙ্গে বিকাশে তিন শ টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপে একটি টেলিগ্রাম গ্রুপের লিংক দিয়ে সেখানে যুক্ত হতে বললে তিনি তা করেন। এরপর ওই টেলিগ্রাম চ্যানেলে গিয়ে দেখা যায় সেখানে আরও কয়েকশ সদস্য রয়েছেন। গ্রুপে বিভিন্ন টাস্ক দেওয়া হচ্ছে। টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হওয়ার পর প্রথম টাস্ক হিসেবে দুটি ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে বলা হয়। এরপর সেগুলো সাবস্ক্রাইব করে স্ক্রিনশট পাঠানোর পর আরও দুই শ টাকা ওই সাংবাদিকের বিকাশে আসে।
প্রথমে ৩০০ টাকা এবং পরের ধাপে ২০০ টাকা। এভাবে মোট ৫০০ টাকা পাঠানোর পরই বেরিয়ে আসে চক্রটির আসল রূপ। পরবর্তী টাস্ক হিসেবে এবার তারা তাদের কোম্পানিতে বিনিয়োগের অফার করেন। যেই অংক প্যাকেজভেদে ১৬০০ টাকা থেকে শুরু করে ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। আর বিনিয়োগ করলেই ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে সেই টাকা নির্দিষ্ট হারে সুদসহ ফেরত পাওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। যেমন: ১৬০০ টাকা বিনিয়োগ করলে পাওয়া যাবে ২৪০০ টাকা। আর ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮০০ টাকা বিনিয়োগ করলে দেওয়া হবে ৮ লাখ ৩৮ হাজার ২৪০ টাকা।
টেলিগ্রাম গ্রুপটিতে বিনিয়োগের এই টাস্ক দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই দেখা যায়, গ্রুপে থাকা বিভিন্ন আইডি থেকে একের পর এক বিনিয়োগের টাকা জমা করার স্ক্রিনশট দেওয়া হচ্ছে। চক্রটির বিকাশ নম্বর ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত পাঠানোর স্ক্রিনশট গ্রুপে দেখা যায়। তবে স্ক্রিনশটগুলো যাচাই-বাছাই করে আরটিভির ওই সাংবাদিকের কাছে ভুয়া মনে হয়েছে। তারপরও তিনি চক্রটির কার্যক্রম সম্পর্কে আরও জানার জন্য ১ লাখ টাকা বিনিয়োগের মিথ্যা অফার দেন। কিন্তু তারা প্রথম ধাপে ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ না করে কম টাকা বিনিয়োগের অফার দেন।
এ বিষয়ে আরটিভির সাংবাদিক সজিব খান বলেন, তাদের যখন আমি ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করবো বলে জানাই। তখন তারা আমাকে প্রথমে কম অর্থ বিনিয়োগ করতে বলে। কিন্তু আমি তাদের জানাই আমি এক লাখ টাকাই বিনিয়োগ করবো। কিন্তু তারা আমাকে জানায় নতুন সদস্যরা ১৬০০ টাকার বেশি বিনিয়োগ করতে পারবে না। পরে আমি তাদের বলি আমার টাকা আমি বিনিয়োগ করব তাতে আপনাদের সমস্যা কী? এ নিয়ে কথা চালাচালির এক পর্যায়ে তারা আমাকে ব্লক করে দেয়।
তিনি বলেন, প্রথম থেকেই আমার ধারণা ছিল, তারা প্রতারণা করছে। চক্রটির কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং পরবর্তীতে এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে আমি তাদের সঙ্গে নাটকীয়তার আশ্রয় নিয়েছি। ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করার মিথ্যা অফার দিয়ে চক্রটি কোন পর্যন্ত যেতে পারে এবং তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু তারা আমাকে কম টাকা বিনিয়োগ করে আমার বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা করছিল। এটি তাদের একটি কৌশল। আর আমি তো তাদের কোনো টাকা দেব না। ফলে আমি এমনিতেই তথ্য বের করার জন্য কথা-চালাচালি করছিলাম। এরপর বিনিয়োগ না করায় একপর্যায়ে তারা আমাকে গ্রুপ থেকে ব্লক করে দেয়।
এদিকে গত কয়েকমাস ধরে আরও অনেকেই এমন ফোন পেয়েছেন বলে জানা গেছে। কখনও স্ন্যাপটেক ডিজিটাল মার্কেটিং, কখনও আর্চ ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানির পরিচয়ে এসব ফোনকল পাচ্ছেন তারা। প্রতিবারই ভিন্ন ভিন্ন নম্বর থেকে ফোন আসছে এবং ইংরেজিতে ঘরে বসে ‘পার্টটাইম চাকরি’র লোভনীয় অফার দেওয়া হচ্ছে।
সাভারের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলামের কাছেও বেশ কয়েকবার এমন ফোন এসেছিল। তিনি বলেন, কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করার পর আমাকে বিনিয়োগ করতে বলা হয়। এর জন্য আমাকে দুইদিন সময় দিয়েছিল। কিন্তু আমি তাদেরকে টাকা পাঠাইনি। দুইদিন পরে আমাকে গ্রুপ থেকে বের করে দিয়েছে।
জানা গেছে, চক্রগুলো সাধারণত প্রথমে অল্প পরিমাণ টাকা দিয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে। এরপর তাদের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে অতিরিক্ত সুদসহ অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়। অনেক ক্ষেত্রে শুরুর দিকে বিনিয়োগ করলে অর্থ ফেরতও পাওয়া যায়। কিন্তু প্রতারকদের মূল উদ্দেশ্য হলো বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া।
ইন্টারপোলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ ধরনের প্রতারণাকে বলা হয় ‘পিগ বুচারিং ফ্রড’। এটি এক ধরনের ‘ইনভেস্টমেন্ট ফ্রড’ বা বিনিয়োগ প্রতারণা।
এদিকে পুলিশ বলছে, আকর্ষণীয় বেতনে ঘরে বসে পার্টটাইম বা ফুলটাইম চাকরির প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে ১০-১২ লাখ টাকাও হারিয়েছেন এই ধরনের অভিযোগ তারা নিয়মিত পেয়ে থাকেন। বিদেশি একটি চক্র মূলত এ ধরনের অপকর্ম করছে। তাদের সঙ্গে কিছুও বাংলাদেশিও জড়িত। এ ধরনের অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে ইতোমধ্যেই কয়েকজন চীনা ও বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উত্তরের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের সহকারী কমিশনার (এডিসি) জুনায়েদ আলম সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, এটা ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম যা মূলত বিদেশিদের দ্বারা পরিচালিত। তারা টাকা সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশিদেরও ব্যবহার করে। এসব প্রতারক চক্রকে ধরতে আমরা প্রায়ই অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু যাদেরকে ধরছি তারা মূলত সহযোগী।
তিনি বলেন, এ ধরনের চক্রের কবলে পড়ে খোয়ানো টাকা উদ্ধার করা খুবই জটিল প্রক্রিয়া। কারণ ভিক্টিমদেরও অনেক সময় ভিক্টিমাইজ করা হয়। ধরেন আপনাকে তারা টার্গেট করল, বলল যে তাদের কাছে রেজিস্ট্রেশন করলে ৩০০ টাকা পাবেন। যে নম্বর থেকে টাকা আসে দেখা যায় সেটিও আরেকজন ভিক্টিমের। যিনি ওই টাকা ইনভেস্ট করেছেন। এটা খুবই জটিল চক্র। এখানে কয়েক স্তরে অর্থ লেনদেন হয়। এর ফলে অপরাধীকে ধরা না যায়।
তরুণীকে শিকলে বেঁধে ২৫ দিন সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় তরুণীকে শিকলে বেঁধে ২৫ দিন সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অপরাধে নারীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (১ এপ্রিল) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিসি এইচএম আজিমুল হক।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সান (২৬), হিমেল (২৭) ও রকি (২৯) ও সালমা ওরফে ঝুমুর (২৮)।
ডিসি এইচএম আজিমুল হক বলেন, ৯৯৯ এর কল পেয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের একটি বাসা থেকে শিকলবন্দি অবস্থায় তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী তরুণীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, পারিবারিক সমস্যার কারণে ওই তরুণী তার বড় বোনের বাড়িতে থাকতো। ওই সময় তার বোনের স্বামী মাসুদ নামের এক ব্যারিস্টারের সঙ্গে পরিচয় করান। এরপর ব্যারিস্টার মাসুদের সঙ্গে লিভ টুগেদার করতেন তিনি। মাসুদ বিদেশ থাকতো, মাঝে মাঝে দেশে এসে তার সঙ্গে থাকতো। পরে প্রবাসীর স্ত্রী সালমা ওরফে ঝুমুরের সঙ্গে পরিচয় করান মাসুদ। এরপর ভুক্তভোগী তরুণী ঝুমুরের নবীনগরের ভাড়া ফ্ল্যাটে ওঠেন। ভুক্তভোগী তরুণী ও সালমা রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতো। সে সময় আসামি সানের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফলে হিমেল ও সান ভিকটিমের বাসায় নিয়মিত আসা-যাওয়া করত। বিষয়টি মাসুদ জানার পর সে তরুণীকে শিক্ষা দিতে হবে বলে সালমাকে জানায়। এরপর মাসুদ সালমাকে ওই তরুণীকে আটক করে তার পর্ন ভিডিও ধারণ করতে বলে। আর সালমা এই ভিডিও হিমেল, সান ও রকির সঙ্গে শেয়ার করতো। এরপর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ওই তরুণীর বাসায় আসামি সান তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে গোপন ক্যামেরা স্থাপন করে ভিডিও ধারণ করে।
গত ৫ মার্চ আসামিরা ভুক্তভোগীর বাসায় এসে তার হাত-পা বেঁধে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর হিমেল ওই নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আসামিরা ভুক্তভোগী নারীর হাতে ও পায়ে শিকল লাগিয়ে রুমের দরজা ও বাথরুমের দরজার সঙ্গে আটকে রাখে। এরপর গত ৭ মার্চ রাতে আসামি রকি ওই নারীকে ধর্ষণ করে। এরপর গত ৮ মার্চ আসামিরা ভুক্তভোগী নারীকে বিভিন্ন পর্ন ভিডিও দেখায়। সে অনুযায়ী ওই নারীকে একই কাজ করতে বাধ্য করে। আসামিরা ওই নারীকে প্রতিদিন ধর্ষণ করে সেই ভিডিও আসামি সালমা ব্যারিস্টার মাসুদের নিকট পাঠাতো।
গত ২৯ মার্চ বাসায় কেউ নেই বুঝতে পেরে ওই তরুণী জানালা দিয়ে চিৎকার দেয়। এতে এক পথচারী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। পরে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ তাকে শিকল বাঁধা অবস্থায় ওই ভবনের চারতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করে ও আলামত সংগ্রহ করে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে(ওসিসি) চিকিৎসাধীন আছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে সজল, সহকারী পুলিশ কমিশনার আজিমুল হক।
গৃহকর্মীর মৃত্যু : ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদককে অব্যাহতি
গৃহকর্মীর ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’র মামলায় কারাগারে থাকা ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২ এপ্রির) ডেইলি স্টারের ইংরেজি ও বাংলা অনলাইন সংস্করণে ‘অব্যাহতির নোটিস’ প্রকাশ করা হয়।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ‘ভবন থেকে পড়ে’ কিশোরী গৃহকর্মী প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুর তিন মাস পর এ পদক্ষেপ নিল ইংরেজি দৈনিকটি।
নোটিসে বলা হয়, ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্য ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হককে অব্যাহতির নোটিস দেওয়া হয়েছে। এই নোটিস অবিলম্বে কার্যকর বলে গণ্য হবে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টার দিকে শাহজাহান রোডের জেনিভা ক্যাম্প সংলগ্ন একটি ভবনের নবম তলায় আশফাকুল হকের বাসা থেকে পড়ে মারা যায় প্রীতি উরাং নামের ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী। ওই বাসাটি (ফ্ল্যাট) আশফাকের নিজের। প্রীতি প্রায় দুই বছর ধরে ওই বাসায় গৃহ সহায়ক হিসেবে ছিলেন।
ভবনের নিচে তার লাশ মেলার পর স্থানীয়রা ‘প্রীতিকে হত্যা করা হয়েছে’ অভিযোগ করে এলাকায় বিক্ষোভ করেন। প্রীতির বাবা লোকেশ উরাং পরদিন মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকার এখন কারাগারে আছেন। কয়েক দফায় তাদের জামিন নাকচ হয়েছে আদালতে।
ঘটনার পর থেকে প্রীতি উরাংয়ের ঘটনায় বিচার চেয়ে করা বিভিন্ন মানববন্ধনে ও বিবৃতিতে আশফাককে ডেইলি স্টার থেকে অব্যাহতির দাবি ওঠে। এ নিয়ে ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম তার অবস্থান তুলে ধরে ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি বলেছিলেন, এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার অপেক্ষায় আছি।
প্রীতির মৃত্যুর পর ঢাকা ও মৌলভীবাজারে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে দোষীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি তোলা হয়েছে।
কিশোরী এ গৃহকর্মীর মৃত্যুর পর থেকে মানবাধিকার কর্মীরা আশফাকের বিরুদ্ধে ডেইলি স্টারের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল। ঘটনার তিন মাস পর বাদ দেওয়া হলেও নোটিসে এর কারণ ব্যাখ্যা করেনি সংবাদপত্রটি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে মেসেজ, ভুয়া রাষ্ট্রপতি গ্রেপ্তার
একটি অপরিচিত নম্বর থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের মোবাইলে দুই নার্সকে বদলির সুপারিশ করা হয়। মন্ত্রী মেসেজগুলো ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের কাছে পাঠান। পরবর্তীতে ডিবি তদন্ত করে দেখে সেগুলো ভুয়া। এরপর অভিযান চালিয়ে পাবনার সুজানগর থেকে সিরাজ নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
বুধবার (৩ এপ্রিল) এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
ডিবিপ্রধান বলেন, যে দুই নার্সকে বদলির জন্য রাষ্ট্রপতি পরিচয় দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের মোবাইলে মেসেজ পাঠানো হয় তারা সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মোসা. নবীনা খাতুন ও মোসা. পারভীন আক্তার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মেসেজ দুটি আমার কাছে পাঠালে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখি। রাষ্ট্রপতির মোবাইল থেকে অথবা রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মোবাইলে কোনো মেসেজ দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ নার্সের বদলির সুপারিশের মেসেজটি ভুয়া। তদন্তের এক পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক সিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, সিরাজ একাধিক এমপির ভুয়া ডিও লেটার দিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলির জন্য তদবির করেছেন। সিরাজ অষ্টম শ্রেণি পাস হলেও তিনি প্রতারণার বিষয়টি ভালোভাবে লব্ধ করেছেন। তিনি তিনটি বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে একজন নার্স, একজন শিক্ষক রয়েছেন। ৮ মাস আগে তিনি আরেকটি বিয়ে করেছেন। রাষ্ট্রপতি ছাড়াও সিরাজ বিভিন্ন এমপি ও মন্ত্রীদের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা করেছেন।
হারুন অর রশীদ বলেন , সিম কেনার পর ট্রু-কলারে নম্বর সেভ করতেন রাষ্ট্রপতির নামে। তদবিরের জন্য যে সিম দিয়ে সিরাজ তদবিরের জন্য মেসেজ দিতেন সেই সিমটি পানিতে ফেলে দিতেন। এরপর তিনি থানায় জিডি করেন তার সিম হারিয়ে গেছে। নতুন সিম কিনে আবার একইভাবে প্রতারণা করতেন। সিম পানিতে ফেলে জিডি করার অর্থ হলো, পুলিশ তাকে ধরলে তিনি বলতেন তার সিম হারিয়ে গেছে, তাই জিডিও করেছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
সিরাজ রাষ্ট্রপতির নাম কেন ব্যবহার করলেন? জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে জানতে রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগেও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এপিএস-২, মন্ত্রী, এমপি এবং বড় বড় ব্যবসায়ী পরিচয়ে প্রতারণাকারী চক্রের অনেক সদস্যকে ডিবি সাইবার আইনের আওতায় নিয়ে এসেছিল বলে জানান হারুন অর রশীদ।
আটা-ময়দা-সুজি দিয়ে তৈরি হতো অ্যান্টিবায়োটিক
দেশে যেসব ওষুধ কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে, অথবা যে কোম্পানি দেশে নেই, সেসব কোম্পানির ওষুধ একটি অসাধু চক্র নকল করে বাজারজাত করে আসছে। নকল মোড়কে এসব ওষুধ বাজারে ছাড়া হতো। মোড়কের ভেতরে থাকত আটা–ময়দা ও সুজি দিয়ে তৈরি ক্যাপসুল বা ট্যাবলেট। ভয়ংকর এ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (৩১ মার্চ) মতিঝিল ও বরিশাল কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের মতিঝিল বিভাগ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— শহীদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, শাহীন, হৃদয় ও হুমায়ুন। তাদের কাছ থেকে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৩০০ পিস নকল অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা।
সোমবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, চক্রটি ঢাকার সাভার ও কুমিল্লায় কারখানা তৈরি করে এ ট্যাবলেট তৈরি করত। পরে সেগুলো নিয়ে বরিশালে গুদামজাত করত। সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় কুরিয়ারের মাধ্যমে সরবরাহ করা হতো। চক্রটি গত ৮-১০ বছর ধরে এ প্রতারণা করে আসছিলে। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয়কর্মীর চাকরির পাশাপাশি এ প্রতারণা করছে। যেসব ওষুধের ভালো বাজার ছিল, কিন্তু কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর পাওয়া যায় না, সেসব ওষুধ তারা টার্গেট করত। নকল মোড়কে আসল ওষুধ বলে বিক্রি করত। এ ছাড়া যেসব ওষুধ কোম্পানি বাংলাদেশে নেই, বাজারে নেই, সেগুলোই তারা তৈরি করে বাজারজাত করত।
হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তার শহীদুল দীর্ঘদিন ধরে বরিশালের নথুল্লাবাদ এলাকায় নকল বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক মজুত করে শাহীনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে আসছিলেন। হুমায়ুন অপসোনিন কোম্পানির বিক্রয়কর্মী হিসেবে চাকরি করতেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ফার্মেসিতে নকল অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয় করতেন। এ ছাড়া সিরাজুল ও হৃদয় নকল ওষুধ বিক্রয়ের যাবতীয় কাজ করতেন। কারখানায় নকল ওষুধ তৈরি করে সেগুলো কুমিল্লার আবু বক্কর বিভিন্ন কুরিয়ারের মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ করতেন। এভাবেই চক্রটি নকল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত করত। এর আগেও এ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। জামিনে বের হয়ে তারা আবার একই কাজ শুরু করেন।
ডিবিপ্রধান বলেন, চক্রটি বাজারে থাকা ও বাজার থেকে বিলুপ্ত এমন ওষুধের মধ্যে রিলামক্স-৫০০ ট্যাবলেট, মক্সিকফ-২৫০, সিপ্রোটিম-৫০০ এমজি, এমোক্সস্লিন, জিম্যাক্স, মোনাস-১০ নকল করে বাজারে ছাড়ত। তারা কাফকা ফার্মাসিউটিক্যালস, ডক্টর টিমস ফার্মাসিউটিক্যালস, জেনিথ ফার্মাসিউটিক্যালস, কুমুদিনী ফার্মাসিউটিক্যালস, ইউনিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালসের ওষুধ নকল করত। চক্রটি ১০ বছর ধরে ভেজাল ওষুধ তৈরি করে আসছে। তাদের নামে এ পর্যন্ত ১৫টি মামলা রয়েছে। এ পর্যন্ত ৮০টি ইউনানি ওষুধ কোম্পানির ভেজাল ওষুধ তৈরির বিষয়ে তথ্য তারা ওষুধ প্রশাসনকে দিয়েছেন। চক্রটির অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।