• ঢাকা শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জঙ্গি রিপনকে তওবা পড়ান মুফতি বেলাল

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১২ এপ্রিল ২০১৭, ২১:৩৫

সিলেট কারাগারে জঙ্গি দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি কার্যকরে সব প্রস্তুতি এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। তাকে দেখে গেছেন বাবা-মা ভাইসহ অন্যান্য স্বজনরা।

রিপনকে তওবা পড়ানোর জন্য মাওলানা মুফতি বেলাল উদ্দিনকে কারাগারে আনা হয়েছে। তওবা পড়ানোর পর কোনো আনুষ্ঠানিকতা বাকি থাকে না। শুধু মঞ্চে নিয়ে ঝুলানোই বাকি।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ ছগির মিয়া জানান, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের সহযোগী দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি বুধবার রাতেই কার্যকর করা হবে।

তিনি বলেন, রিপনের ফাঁসির সব প্রস্তুতি শেষ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। দণ্ড কার্যকরের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০ জল্লাদকে।

ছগির মিয়া জানান, ফাঁসি উপলক্ষে মঞ্চ ও বিশেষ সেলে নতুন করে লাল রং করা হয়েছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোরদার করা হয়েছে কারাগার ও এর আশপাশের নিরাপত্তা।

দণ্ড কার্যকরের পর রিপনের মরদেহ তার বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজারের কোনাগাঁও গ্রামে নেয়া হবে বলে জানা গেছে।

২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারে গ্রেনেড হামলায় আনোয়ার চৌধুরীসহ আরো অনেকে আহত হন। নিহত হন পুলিশের দু’কর্মকর্তাসহ তিনজন। পরে পুলিশ বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।
২০০৭ সালের ৩১ জুলাই হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি-বি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়। পরবর্তীতে সম্পূরক চার্জশিটে আরেক জঙ্গি মঈন উদ্দিনের নাম অন্তর্র্ভুক্ত করা হয়।

২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ ও মুফতি মঈনউদ্দিন ওরফে আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এরপর উচ্চ আদালতে তারা আপিল করলে গেলো বছরের ৭ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এরপর তারা রিভিউ আবেদন করলে সেটাও ২২ মার্চ খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অপরাধ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh