• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বেরোবি'র উপাচার্য কলিমুল্লার দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে

রংপুর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০২ মার্চ ২০২১, ২০:৩৩
বেরোবি'র উপাচার্য কলিমুল্লার দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম করেছেন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (০২ মার্চ) তদন্ত কমিটি এই অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে। এজন্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়া লঙ্ঘনসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।

জানা গেছে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে জন্য ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি একনেক সভায় ৯৭.৫০ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়। এরমধ্যে ছাত্রীদের আবাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নামে ‘শেখ হাসিনা হল এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বামীর নামে প্রতিষ্ঠিত ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইন্সটিটিউট-এর জন্য একটি স্বতন্ত্র ভবন নির্মাণের জন্য ৭৮ কোটি ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ১ জানুয়ারি ২০১৫ থেকে ৩০ জুন ২০১৮ পর্যন্ত।

২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর উন নবী।
১৪ জুন ২০১৭ ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রকল্পের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ তদারকি করার জন্য উপাচার্যের ঘনিষ্ঠজন প্রকৌশলী মঞ্জুর কাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস কমিটি সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রকৌশলী মঞ্জুর কাদের ওই দরপত্রের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড এর স্বত্বাধিকারী।

কিছুদিন পর আইন ও চুক্তি লঙ্ঘন করে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আর্কিট্যাক্ট মনোওয়ার হাবিব ও প্রাকৃত নির্মাণ লিমিটেড এর কার্যাদেশ বাতিল করে প্রকৌশলী মঞ্জুর কাদেরকে ২য় পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে আর্কিট্যাক্ট মনোওয়ার হাবিবকে নানাভাবে ভয়ভীতিও প্রদর্শন করা হয়। শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের মূল আর্কিটেক্ট বলেন, নকশা পরিবর্তন করে একটি অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ ভবন নির্মাণের চেষ্টা চলছে।

অনুমোদিত ডিপিপির তোয়াক্কা না করেই ভবন দুটির নকশা পরিবর্তন করা হয়। পাশাপাশি নির্মাণে ব্যয় বাড়ানো হয় দুই গুণেরও বেশি। ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভবনে নির্মাণ ব্যয় ২৬ কোটি ৮৭ লাখ থেকে বাড়িয়ে ব্যয় ধরা হয় ৬১ কোটি টাকা। আর ৫১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে শেখ হাসিনা ছাত্রী হল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১০৭ কোটি টাকা। অন্যদিকে মূল ডিপিপিতে পরামর্শক ফি না থাকলেও বর্তমান উপাচার্য সেই খাতে ব্যয় করেছেন ৪০ লাখ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নে কোন নিয়মই মানেননি উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।

এফএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অপরাধ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের পরিচয় মিলেছে
‘উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের প্রভাব খাটানোর প্রমাণ পেলে প্রার্থিতা বাতিল’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দ্বিতীয় দিন, হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা
জাতির পিতার সমাধিতে বিএসএমএমইউ’র নতুন উপ-উপাচার্যের শ্রদ্ধা
X
Fresh