আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট
১২ জুন ২০২০, ১৫:৩৭
আপডেট : ১২ জুন ২০২০, ১৬:০৫
আপডেট : ১২ জুন ২০২০, ১৬:০৫
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে সৎ করদাতাদের প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে: সিপিডি

সিপিডির লোগো।
তিনি বলেন, এই ধরনের সুবিধা দিয়ে আসলে কোনো লাভ হয় না। স্বাধীনতার পর প্রায় প্রতিবছর কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে কোনো লাভ হয়নি। প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার মতো এসেছে। যেটা খুবই নগন্য। এর মধ্যে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে তত্ত্বাধায়ক সরকারের আমলে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার ওপরে এসেছে। কালো টাকার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, ঘোষণা দেয়ার পরও যদি যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়া হয় এবং একটি ম্যাসিভ ড্রাইভ না দেয়া হয়, তাহলে ঘোষণা দেয়ার পরও কেউ কালো টাকা সাদা করবে না। কারণ এটা সহজাত বিষয়-তারা যদি এতদিন কর ফাঁকি দিয়ে আসতে পারে, তাহলে কেন আবার ঘোষণা দিয়ে কর জালের মধ্যে আসবে? এটার জন্য আসলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া উচিত। উল্লেখ্য, গেল বৃহস্পতিবার ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বাজেট পর্যালোচনা করে বলেন, প্রতিবছর কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয় এবং একটা ডিসকাউন্ট রেটে। ১০ শতাংশ কর দিয়েই কালো টাকা সাদা করা যায়। কোভিড-১৯ এর পরিপ্রেক্ষিতে আরও কালো টাকা কিভাবে সিস্টেমের মধ্যে আসে, সেজন্য আরও কিছু খাতে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দিয়ে কালো টাকাকে উৎসাহিত করা হয়েছে। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে সৎ করদাতাদের প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে। তাদের প্রতি সুবিবেচিত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। কারণ যারা সৎ করদাতা তারা প্রচলিত হারে কর দিয়ে আসছেন। কিন্তু যারা কর ফাঁকি দিচ্ছেন বছরের পর বছর, তারা এই সুযোগে শুধুমাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে টাকাটা সাদা করে ফেলতে পারছেন।
জিএ