প্রণোদনা দিতে ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষি, খামারি ও উদ্যোক্তারা যেনো জরুরিভিত্তিতে নগদ আর্থিক সহায়তাসহ সহজ শর্তে সুদবিহীন ঋণ পেয়ে ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেজন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, উপকূলীয় অঞ্চলে আম্পানের প্রভাবে মাছ, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগীর ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক বিবরণ পাওয়া গেছে। ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুতকরণে যাচাইবাছাই চলছে। করোনা মহামারির বিরূপ প্রভাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগকারীরা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এরপর আম্পানের প্রভাবে এ খাত সংশ্লিষ্টরা আরও হতাশ হয়ে পড়ছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে প্রাণিজ পুষ্টির যোগানদাতা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত হুমকির মুখে পড়বে, যার প্রভাব গোটা জাতির উপর পড়বে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, বরিশাল ও খুলনা বিভাগ থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী আম্পানের প্রভাবে মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছে ৩০৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং প্রাণিসম্পদ খাতে ১ কোটি ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারের সংখ্যা ২৪ হাজার ৩৫০টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগীর খামারের সংখ্যা ৫০ হাজার ১৩৮টি।
জিএ
মন্তব্য করুন