• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ঢাকার চারদিকে নদীর দুই তীরে ২২০ কি.মি হাঁটার পথ হবে (ভিডিও)

শরিয়ত খান, আরটিভি

  ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৩:৩৬

অবৈধ দখলরোধ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য ঢাকার চারদিকে নদীর দুই তীরে ২২০ কিলোমিটার হাঁটার পথ তৈরি করা হবে। বছরের শুরুতে সাড়ে ৮শ’ কোটি টাকায় ৫২ কিলোমিটার হাঁটার পথের কাজ শুরু হলেও নদীর প্রশস্ততা বৃদ্ধি ও ভরাটরোধে টেকসই সুরক্ষায়, প্রকল্পে সংশোধনী আনা হয়। যা এখন দাঁড়িয়েছে, দুই হাজার ২৬০ কোটি টাকায়। পর্যায়ক্রমে, বাকি দেড়শ’ কিলোমিটার পথও নির্মাণের কথা জানালেন, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী।

হাতিরঝিলের আদলে ঢাকার চারদিকে নির্মাণ করা হবে, ওয়াকওয়ে। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীকে আগের অবস্থায় নিয়ে যেতে দুই তীরে বিভিন্ন অবকাঠামো করা হবে।

পুরো এলাকাকে ১২টি জোনে ভাগ করে নদীর তীর ধরে ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, তিনটি ইকোপার্ক, তীরের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি আরসিসি সিঁড়ি, ৪০৯টি বসার স্থান, আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ১৯টি আরসিসি জেটি, ৩৯ কিলোমিটার ‘কিওয়াল’ নির্মাণ করা হবে। সীমানা চিহ্নিত করতে বসানো হবে, ১০ হাজার ৮২০টি পিলার।

সাড়ে ৮শ’ কোটি টাকার প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুনের মধ্যে শেষ করতে চলতি বছরের শুরু থেকে উচ্ছেদ অভিযান চালায় বিআইডব্লিউটিএ। ছয় মাসের অভিযানে প্রায় পাঁচ হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

প্রকল্পের কাজ চলাকালেই সংশোধনী প্রস্তাব দেয় বিআইডব্লিউটিএ। যাতে সম্ভাব্য খরচ দেখানো হয়, ২২শ’ ৬০ কোটি টাকা।

---------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ২৫ সেপ্টেম্বরকে ‘বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে’ ঘোষণা নিউ ইয়র্কের
---------------------------------------------------------------------

সংশোধিত প্রকল্পে ৪৫ কিলোমিটার ‘স্লক ব্যাংক প্রটেকশনে’র বদলে ৩৯ কিলোমিটার ‘কিওয়ালে’র পাশাপাশি ১৩ কিলোমিটার ‘ওয়াকওয়ে অন পাইল’ নির্মাণের প্রস্তাব আছে। আছে সদরঘাট থেকে বাবুবাজার ব্রিজ পর্যন্ত এক কিলোমিটার এলাকা পরিবেশ ও পর্যটনবান্ধব করে গড়ে তোলার প্রস্তাব। যেখানে থাকবে আধুনিক দোকান, পাবলিক টয়লেট ও উন্নত বিশ্বের আদলে এম্ফিথিয়েটার।

কামরাঙ্গীরচর থেকে খোলামোড়া পর্যন্ত এক কিলোমিটার এলাকায় নির্মাণ করা হবে পার্ক ও বাগান। থাকবে পার্কিংজোন, খেলার মাঠ ও বসার স্থান। এছাড়া, নদীকে দূষণমুক্ত করতে, সদরঘাট থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত এক কোটি ৭০ লাখ ঘনমিটার নদী খনন ও সাত লাখ ঘনমিটার বর্জ্য অপসারণের সিদ্ধান্তও আছে প্রস্তাবে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘বুড়িগঙ্গায় জলজ প্রাণী বেঁচে থাকার সুযোগ নেই’
ছুটির দিনেও বাবুবাজার ব্রিজে যানবাহনের দীর্ঘ সারি   
সুইজারল্যান্ডের কথা বলে শুটিং হয় বুড়িগঙ্গার তীরে : সাইমন
X
Fresh