হাইকোর্টের নির্দেশে ওয়াসার পানির মান পরীক্ষা করতে কমিটি
রাজধানীতে পাইপের মাধ্যমে সরবরাহকৃত ওয়াসার পানির মান পরীক্ষা করতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ কমিটিকে আগামী দুই মাসের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদেনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওয়াসার এমডিসহ সংশ্লিষ্ট আটজনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
কমিটিতে থাকবেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, আইসিডিডিআরবি, ব্যুরো অব রিসার্চ টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেশন (বিআরপডিসি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্মেসি অনুষদ এবং মাইক্রোবায়োলজিক্যাল সাইন্স বিভাগের একজন করে প্রতিনিধি।
এ বিষয়ে আইনজীবী তানভীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে সরবরাহকৃত ওয়াসার পানিতে ব্যাকটেরিয়াসহ নানা ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিটটি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কমিটি গঠনের আদেশ দিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন। রুলে ওয়াসার নিরাপদ পানি সরবরাহে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং নিরাপদ পানি সরবরাহে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
গত ১১ অক্টোবর রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্বব্যাংক তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়েছে, দেশের প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষ অপরিচ্ছন্ন এবং অনিরাপদ উৎসের পানি পান করছে। পানির নিরাপদ বিবেচিত উৎসগুলোর ৪১ শতাংশই ক্ষতিকারক ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়াযুক্ত। ১৩ শতাংশে রয়েছে আর্সেনিক।
বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পাইপলাইনের পানির ৮২ শতাংশেই রয়েছে ই-কোলাই। ৩৮ শতাংশ টিউবওয়েলের পানিতে পাওয়া গেছে এই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহের জন্য ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়াকে দায়ী করা হয়।
এমকে
মন্তব্য করুন