হলি আর্টজান মামলা থেকে হাসনাত করিমকে অব্যাহতি
ঢাকার গুলশানে হলি আর্টজানে জঙ্গি হামলার মামলায় আটক নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান মামলাটির চার্জশিট গ্রহণ কালে হাসনাত করিমের অব্যাহতির আবেদন মঞ্জুর করেন।
দীর্ঘ দুই বছর কারাগারে থাকার পর এখন আর তার এ মামলায় মুক্তি পেতে বাধা থাকছে না বলে জানালেন তার আইনজীবী ছানোয়ার হোসাইন।
এছাড়া আদালত এই মামলায় পলাতক দুই আসামি শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত ২৩ জুলাই হাসনাতকে অব্যহতির আবেদন করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। একই সঙ্গে ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
এছাড়া চার্জশিটে অভিযুক্ত অপর ১৩ জন মৃত্যুবরণ করায় তাদের অব্যাহতি প্রদানের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। যার মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন অভিযানে ও ৫ জন হলি আর্টিজানেই নিহত হন।
চার্জশিটটি ২০০৯ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনের (সংশোধনী ২০০৩) ৬(২)/৭/৮/৯/১০/১২/১৩ ধারায় দাখিল করা হয়েছে। যেখানে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।
ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’ নিহত ৫ জন হলেন- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।
এরপর বিভিন্ন জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সময় নিহত ৮ জন হলেন- তামীম আহমেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।
১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ দেশি-বিদেশি ২২ নাগরিক নিহত হন। পরে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে ৬ জঙ্গি নিহত হয়। অভিযানের পর রেস্টুরেন্ট থেকে ৩২ জিম্মিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত জিম্মিদের মধ্যে হাসনাত করিমের রহস্যজনক আচরণের কারণে তাকে গোয়েন্দা হেফাজতে রাখা হয়।
আরও পড়ুন :
এমসি/ এমকে
মন্তব্য করুন