• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

হলি আর্টিজান হামলার দু’বছর: এখনও শেষ হয়নি তদন্ত

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০১ জুলাই ২০১৮, ০৯:২১

রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার দু’বছর পেরিয়ে গেছে। ওই হামলার পর রাজধানীর গুলশান থানায় তিনটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। তবে দুই বছরও মামলারই তদন্ত কাজ শেষ হয়নি।

তবে সূত্রে জানা গেছে, হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনার তদন্ত কাজ প্রায় গুছিয়ে এনেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

এ মামলায় গ্রেপ্তার নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমসহ সাত আসামির সবাই কারাগারে রয়েছেন। অপর ছয় আসামি হলেন, হামলার মূল সমন্বয়ক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ ও ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ঢাকাগামী তেলবাহী ট্যাংকার লাইনচ্যুত
--------------------------------------------------------

এর মধ্যে হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ ও রাকিবুল হাসান রিগ্যান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

জঙ্গি দমনের সঙ্গে যুক্ত গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, অব্যাহত অভিযানের মুখে দেশের অভ্যন্তরে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে এখনও নিঃশেষ হয়ে যায়নি। দুর্বল হয়ে পড়া সংগঠনগুলো একই প্লাটফর্মে এসে নতুন করে দেশকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা করছে। ফলে এখনও জঙ্গি হামলার শঙ্কা কাটেনি। তবে এ মুহূর্তে বড় ধরনের হামলা করার মতো সামর্থ্য কোনো জঙ্গি সংগঠনেরই নেই।

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ৯ ইতালিয়ান, সাত জাপানিজ, একজন ভারতীয়, একজন আমেরিকান-বাংলাদেশ দ্বৈত নাগরিক ও দুজন বাংলাদেশি এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ২২ জনকে হত্যা করে। জঙ্গিরা রেস্টেুরেন্টের অন্যান্য অতিথি এবং কর্মচারীদের রাতভর জিম্মি করে রাখে। পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানের মাধ্যমে শেষ হয় এই জিম্মিদশা। অপারেশন থান্ডারবোল্ট নামে পরিচালিত এই অভিযানে পাঁচ জঙ্গি ও একজন পিৎজা শেফ নিহত হয়।

এছাড়া, ঘটনার সময় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক হওয়া একজন কর্মচারী নিহত হন ৮ জুলাই। আলোচিত এই ঘটনায় গুলশান থানার পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করে। আলোচিত এই হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরী ঘটনার এক মাস পরেই ২০১৬ সালের ২৭ শে সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে দুই সহযোগীসহ নিহত হয়।

আরও পড়ুন:

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘পহেলা বৈশাখে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই’
ঈদের পরেই কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার : শাজাহান খান
বুয়েটে জঙ্গিরা সক্রিয় কি না খুঁজে বের করতে হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘বুয়েটকে জঙ্গি কারখানায় পরিণত করার প্রমাণ পেলেই অ্যাকশন’
X
Fresh