‘ইস্টার সানডে’ উদযাপনে খালা ও নানীকে খুন
সঞ্জীব, শান্ত ও প্রবীণ, রাজু মিলে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বসে ১ মাস আগেই পরিকল্পনা করে তারা মহাসমারোহে ‘ইস্টার সানডে’ উদযাপন করবে। এজন্য, ঢাকায় থাকা সঞ্জীবের খালা সুজাতা চিরানের বাসা থেকে টাকা চুরি করার পরিকল্পনা করে তারা। সুজাতার পরিবারের সকলেই চাকরিজীবী হওয়ায় তাদের নিকট ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা সঞ্চিত থাকতে পারে বলে তারা ধারণা করে। এ ধারনা থেকে গুলশানে গারো মা-মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে খুনীদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।
মুফতি আরও জানান, পরিকল্পিতভাবে ঘটনার দিন বাসা ফাঁকা থাকে এমন সময়ে সুজাতার সাথে দেখা করে আসামিরা। বাসায় বসে নাস্তা করে। এক পর্যায়ে সঞ্জীব তার খালা সুজাতাকে দু’শ টাকা দিয়ে ‘চু’ (দেশি মদ) আনতে বলে। ‘চু’ খাওয়ার সময় পরিকল্পতভাবে সুজাতাকে বেশি মদ খাইয়ে নেশাগ্রস্ত করে ফেলে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: গুলশানে মা-মেয়ে হত্যার মূল হোতাসহ গ্রেপ্তার ৪
--------------------------------------------------------
এরপর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তারা চুরির জন্য প্রস্তুত হলে সঞ্জীবের নানী বেসেত চিরান হঠাৎই বাসায় আসেন। খাটের ওপর বসে তাদের সাথে গল্প করতে থাকে। চুরি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে দেখে সঞ্জীব গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। এরপর তারা মদ্যপ সুজাতাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। আসামি রাজু তাকে বালিশ চাপা দেয় আর সঞ্জীব ও শান্ত ছুরি দিয়ে পাজরে আঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে সঞ্জীব ছুরি দিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যা করে।
মা-মেয়ের মৃত্যু নিশ্চিত করার পর আসামিরা বাসা তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোনো টাকা পয়সা পায়নি। আনুমানিক ৫টা ১৫ মিনিটে তারা বাসার দরজা বাহির থেকে আটকে বের হয়ে যায়।
গেলো মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পরিবারের স্বজনরা গুলশানের বাসায় ফিরে একজনকে গলাকাটা এবং অপরজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয়।
মূলত বাড়ির নিচতলায় থাকা ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বিকাল চারটার দিকে সুজাতার বোনের ছেলে সঞ্জীব চার ব্যক্তিসহ বাসায় এসেছিলেন। তারা বেরিয়ে যাওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:
এমসি/জেএইচ
মন্তব্য করুন