• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

এমপি আনার নিখোঁজের পর যা বলেছিলেন তার ভারতীয় বন্ধু

আরটিভি নিউজ

  ২২ মে ২০২৪, ১৩:০১
আনোয়ারুল আজিম আনার
ছবি: সংগৃহীত

ভারতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির পুলিশ।

বুধবার (২২ মে) সকালে কলকাতার নিউটাউন এলাকার সঞ্জিভা গার্ডেন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আনোয়ারুল আজিম আনার নিখোঁজ হওয়ার পর তার খোঁজে নামে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। তারা তার মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে জানতে পারে কলকাতায় বন্ধুর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর মোবাইলের লোকেশন একবার সেখানকার নিউমার্কেট এলাকায় ছিল। এরপর ১৭ মে আনারের ফোন কিছুক্ষণের জন্য সচল ছিল বিহারের কোনো জায়গায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছিল।

প্রতিবেদনে আনোয়ারুল আজিমের বন্ধু বলতে যার কথা বলা হয়েছে তিনি হলেন গোপাল বিশ্বাস। আনোয়ারুল আজিম নিখোঁজ হওয়ার পর বরাহনগর থানায় যে ‘জেনারেল মিসিং ডায়েরি’ করা হয়েছিল তাও করেছিলেন এই গোপাল বিশ্বাসই।

বিবিসি বাংলাকে গোপাল বিশ্বাস বলেছিলেন, পুলিশের কাছে আমি নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলাম। তারা ওই গাড়িটিকে খুঁজে বের করেছে আর চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ওই চালক নাকি পুলিশকে জানিয়েছেন যে সংসদ সদস্যের সঙ্গে একজন বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। তাদের দুজনকে তিনি কলকাতা সংলগ্ন নিউ টাউন এলাকায় ১৩ মে ছেড়ে দেন। আনোয়ারুল আজিমের সঙ্গে দুদশকেরও বেশি সময় ধরে আমার পারিবারিক সম্পর্ক।

তিনি বলেন, এবারে তিনি এসে আমাকে বলেছিলেন যে, স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ দেখাবেন। কোন ডাক্তার ভালো হবে, সেটাও জানতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আমার জানাশোনা কোনো স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ নেই। তাই আমি তাকে পরামর্শ দিয়েছিলাম সল্ট লেকের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারেন। আমরা একসঙ্গে সকালের জলখাবার খেয়েছিলাম। তারপরে এটাও তাকে বলেছিলাম যে আমার গাড়ি সেদিন নেই, উনি যেন গাড়ির বন্দোবস্ত করে নেন। এরপরে আমি বাড়ির একতলায় অফিসে চলে আসি। এরপর আমি কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি।

তিনি আরও বলেন, দুপুরে বের হওয়ার সময়ে আমাকে বলে যান যে তিনি সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরবেন। তার খোঁজ না পাওয়ার পরে আমি যখন সিসিটিভি ফুটেজ দেখি, তখন জানতে পারি যে উনি আমার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন দুপুর একটা ৪১ মিনিটে।

গোপাল বিশ্বাস নিখোঁজ ডায়েরিতে লিখেছিলেন, তার বাড়ির অদূরে বিধান পার্ক এলাকা থেকে ভাড়ার গাড়িটিতে ওঠেন আনোয়ারুল আজিম। তাকে গাড়িতে উঠতে দেখেছেন, এমন একজন প্রত্যক্ষদর্শীর কথাও পুলিশকে গোপাল বিশ্বাস জানান। সন্ধ্যায় বন্ধুর বাড়িতে ফিরে আসার কথা থাকলেও সেখানে ফেরেননি আনোয়ারুল আজিম। হোয়াটস্অ্যাপে মেসেজ পাঠান তিনি যে ‘বিশেষ কাজে দিল্লি চলে যাচ্ছি এবং পৌঁছে ফোন করব। তোমাদের ফোন করার দরকার নেই।

গত ১৫ মে সকালে গোপাল বিশ্বাস আবারও একটি হোয়াটস্অ্যাপ মেসেজ পান। সেখানে বলা হয় যে তিনি (আনোয়ারুল আজিম) দিল্লি পৌঁছেছেন এবং তার সঙ্গে ‘ভিআইপিরা’ আছেন, তাই তাকে যেন ফোন না করা হয়।

১৯ মে পরিবারের পক্ষ থেকে তিনদিন ধরে এমপির সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকার বিষয়টি রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে জানানো হয়।

সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আব্দুর রউফ বলেন, গত ১১ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। কিন্তু এরপর তিন দিন পার হলেও পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি। ভারত থেকে স্যার আমাকে সর্বশেষ ফোন করেন ১৬ মে সকাল ৭টা ৪৬ মিনিটে। কিন্তু আমি ধরতে পারিনি। এক মিনিট পরই কল ব্যাক করি। কিন্তু তিনি আর ধরেননি।

এমপি আনারের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ১৫ বছর ধরে আমি স্যারের পিএস হিসাবে আছি। এর আগেও স্যার একাধিকবার ভারতে গেছেন। কিন্তু কখনোই আমাকে নিয়ে যাননি।

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আগরতলায় বাংলাদেশি হাইকমিশনে হামলা, ভারতের দুঃখ প্রকাশ
পুলিশের আরও ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
ভারতীয় মিডিয়া আমাদের সম্পর্কে গুজব ছড়াচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আদানির সঙ্গে চুক্তি নিয়ে রয়টার্সকে যা বললেন জ্বালানি উপদেষ্টা