• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ছিনতাই হওয়া জাহাজে ছিল ৮০ কোটি টাকার কয়লা

আরটিভি নিউজ

  ১৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:০০
ছিনতাই হওয়া জাহাজে ছিল ৮০ কোটি টাকার কয়লা
ছবি : সংগৃহীত

সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ জাহাজে রয়েছে ৮০ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ৫৫ হাজার টন কয়লা।

আর এসব কয়লা মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নেওয়ার পথে ২৩ নাবিক ও ক্রুসহ জাহাজটিকে নিজেদের দখলে নিয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুরা।

রোববার (১৭ মার্চ) জাহাজে কয়লার পরিমাণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেএসআরএম গ্রুপের মুখপাত্র ও গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।

জাহাজে থাকা কয়লার দাম জানতে চাইলে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আমরা জানা নেই। তবে পণ্যের পরিমাণ প্রায় ৫৫ হাজার টন।’

জাহাজের নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কেএসআরএম গ্রুপের মুখপাত্র বলেন, জাহাজে জিম্মি থাকা নাবিক ও ক্রুদের সঙ্গে খুব সীমিত পরিসরে কথা হয় আমাদের। সেখানে বিস্তারিত কিছু জিজ্ঞেস করার সুযোগ থাকছে না। আজ সারাদিন নাবিকদের কারো সঙ্গে আমরা কথা বলার সুযোগ পাইনি। গতকাল শনিবার দিনভর ছিল এমন যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা। রাত আটটার দিকে একজন নাবিকের সঙ্গে অল্প সময় কথা বলার সুযোগ পাই আমরা।

এ দিকে তথ্যসূত্র বলছে, জাহাজে থাকা এসব কয়লার মূল্য প্রায় ৮০ কোটি টাকা বা ৬৬ লাখ ডলার। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ডলার কয়লার দাম ১১০ থেকে ১২০ ডলারে ওঠানামা করছে। নিউক্যাসেল কোল ইনডেক্স অনুযায়ী প্রতি টন কয়লার দাম ১৩০ থেকে ১৪০ ডলার। আবার ইন্দোনেশিয়া কোল ইনডেক্স অনুযায়ী প্রতি টন কয়লার দাম ১১৫ থেকে ১২০ ডলার।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন জানান, সাগরে চলাচল করা কার্গো জাহাজে বিভিন্ন ধরনের পণ্য থাকে। কিছু পণ্য নির্ধারিত সময়ে খালাস না করলেও কোনো সমস্যা হয় না। আবার কিছু পণ্য আছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খালাস করে ফেলতে হয়। কোনো কারণে খালাস করতে দেরি হলে তা বিভিন্ন ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জাহাজের ভেতরে দাহ্য পদার্থ থাকলে এই ঝুঁকির মাত্রা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

উল্লেখ্য, এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে থাকা প্রায় ৫৫ হাজার টন কয়লা দু-তিনদিনের মধ্যে আরব আমিরাতের দুবাইয়ে খালাস করার কথা ছিল। কিন্তু এখন এসব কয়লা কখন খালাস হবে, জিম্মিরা কবে মুক্তি পাবে- তা জানে না কেউই। গত মঙ্গলবার তাদের জিম্মি করে জলদস্যুরা জাহাজটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত জলসীমায় নিয়ে গেছে। এমভি আব্দুল্লাহ ও এর জিম্মিদের মুক্তি দিতে কেউ এখনো মুক্তিপণ চেয়ে যোগাযোগ করেনি। তবে মুক্তিপণ ছাড়া মুক্তি মিলবে না বলে নিশ্চিত হয়েছে জাহাজটির মালিকপক্ষ।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মুক্তির পর যে কারণে জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ঘেরা হলো কাঁটাতারে
আটক সোমালিয়ান জলদস্যুদের বিচার করবে ভারত
অভিযান বন্ধে নাবিকদের চাপ দিচ্ছে দস্যুরা
৮ দিনেও দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি
X
Fresh