বছরজুড়ে আদালতে ছিল রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের আনাগোনা
গেল বছর অন্যান্য আলোচনার মধ্যে আদালতপাড়াও ছিল বেশ এগিয়ে। শুরুতে না থাকলেও বছর শেষে বিএনপি তথা বিরোধী নেতাকর্মীদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। নিম্ন আদালত আর উচ্চ আদালত কোথাও ছিল না তার কমতি।
এর বাইরেও জেলা আদালতের কয়েকটি ঘটনা বেশ নাড়া দেয়। এর মধ্যে ছিল বিচারককে নাজেহালের ঘটনা। তার চেয়েও বড় যে ঘটনাটি সবকিছুকে ছাপিয়ে উঠেছিল, তা হচ্ছে আদালতের মানবিকতা। মানবিকতার চরম উদাহরণ দিয়েছিলেন বিচারক।
শিশু ইয়াসিনের বয়স প্রায় ২ বছর, আর তার বোন টুম্পার বয়স মাত্র ৩ বছর। এই দুই শিশুর নানী মোমেনা বেগমের দায়ের করা মামলায় তাদের মা ও বাবা কারাগারে বন্দী ছিলেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে মাকে তাদের কাছ থেকে দূরে রাখা হয়। বংশালের নিজ বাসার প্রতিবেশীদের ঘরেই আশ্রয়ে ছিল দুই শিশু। মা বিহীন পরিস্থিতি যে কতোটা কষ্ট আর যন্ত্রণার তা কেবল ওই দুই শিশুই অনুভব করছিল। পাঁচদিন ধরে মা-বাবা থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল তারা। পৃথিবীতে ‘মা’ ডাকটি সবচেয়ে মধুর।
সেই মায়ের জন্য তারা কেঁদে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছিলো। যে কারণে গত ২২ ডিসেম্বর সারাদিন প্রতিবেশীর হাত ধরে কান্না করতে করতে আদালতে মা-বাবাকে জামিন করাতে গিয়েছিল দুই শিশু। কিন্তু ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (সিজিএম) তাদের মা-বাবার জামিন দেননি। যে কারণে ২৩ ডিসেম্বর আদালতের বারান্দায় কান্না করা ওই দুই শিশুর মাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। তবে একই ঘটনায় বাবার জামিন দেননি আদালত।
স্বপ্রণোদিত হয়েই হাইকোর্ট এ আদেশ দেন। এসময় মামলার বাদী ওই দুই শিশুর নানীর (মোমেনা বেগম) সাথে খারাপ আচরণ করলে জামিন বাতিল হবে বলেও জানান হাইকোর্ট। চুরি ও মারধরের মামলাটি নিজের মেয়ে ওয়াসিমা ও জামাই তোফায়েলের নামে করেন ৬০ বছরের বৃদ্ধা মোমেনা বেগম।
এর আগে সিজিএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জামিন না দিয়ে উল্টো আদালতে বেশি কান্নাকাটি করায় উপস্থিত পুলিশকে শোকজ করেন।
এই বিচারকরাও যে হেনস্তার স্বীকার হয় তার উদাহরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া। স্থানীয় বার সভাপতি-সম্পাদক পক্ষে রায় না আসায় বিচারককে গালিগালাজ করে। এমনকি এজলাস থেকে নামিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুক লিখিত ভাবে জানালে নড়ে চড়ে বসে হাইকোর্ট। এ নিয়ে সারা বছর চলে টানাহেঁচড়া।
অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের ঘটনায় ব্রাক্ষণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) অ্যাডভোকেট মো. আক্কাস আলী ও অ্যাডভোকেট জুবায়ের ইসলামকে তলব করেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
প্রধান বিচারপতির নির্দেশে রেজিস্ট্রার জেনারেল বিচারকের অভিযোগ বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠানো হয়।
হাইকোর্টে পাঠানো আবেদনে বলা হয়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুক কর্তৃক অত্র কোর্টে প্রেরিত পত্রে জানানো হয়েছে যে, তিনি গত ২ জানুয়ারি পূর্বাহ্নে যথাসময়ে বিচার কার্য পরিচালনার জন্য এজলাসে আরোহণ করে দৈনন্দিন কার্য তালিকায় নির্ধারিত মামলাসমূহের শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এজলাস চলাকালীন সময়ে বার সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. তানভীর ভূঞা, সম্পাদক প্রশাসন অ্যাডভোকেট মো. আক্কাস আলী, অ্যাড. জুবায়ের ইসলামসহ প্রায় আনুমানিক ১০/১৫ জন আইনজীবী আসেন এবং তারা অশালীন ও অসৌজন্যমূলক ভাবে তাকে এজলাস হতে নেমে যাওয়ার জন্য বলেন। বারের সভাপতি আদালতকে উদ্দেশ্য করে উচ্চস্বরে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ ঘটনার সময় আদালতের এজলাসে কোর্ট ইন্সপেক্টর, আদালতের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্য, আদালতের কর্মচারী ও বিচারপ্রার্থী জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের মধ্য থেকে একজন সদস্য ঘটনাটি ভিডিও করেন। পরে ভিডিওটি তার হস্তগত হয়। তার দরখাস্তের অংশ হিসেবে ভিডিও ক্লিপটি তিনি আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন।
হাইকোর্টে পাঠানো আবেদনে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ অন্যান্য আইনজীবীগণ কর্তৃক এজলাস চলাকালীন সময়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারকগণের নিরাপত্তা, বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি এবং শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে উক্ত অভিযোগের বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়া আবশ্যক। এজলাস চলাকালীন সময়ে আদালতে বিচারক ও কর্মচারীগণকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের জন্য আদালত অবমাননার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৪ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি হাইকোর্টে প্রেরণ করেন।
দুই পক্ষের এই উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হলেও শেষ হয়নি। এখনো তা বিচারক আর কাঠগড়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
এদিকে দেশের রাজনীতি আদালতপাড়ায়ও আছরে পড়েছে গেল বছর। সারা বছর চলমান থাকলেও বড় ঝাপটা আসে। ২৮ অক্টোবর সহিংসতার পর। এদিন বিএনপির সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে রূপ নেয়। আর সরকার কৌশলে তাদেরকে আদালতের দিকে ধাবিত করে। বছরের শেষ দিকে তাইতো একের পর এক বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সাজার রায় ঘোষণা হতে থাকে আদালত থেকে।
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল অভিযোগ করেন, বিএনপির নেতারা যাতে ভবিষ্যতে প্রার্থী হতে না পারে সেজন্যই এই সাজা দেয়া হয়েছে।
এসব অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।
গত ২০ নভেম্বর ঢাকা ও রংপুরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিএনপির ১৩০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়ার রায় দিয়েছে।
যাদের বিরুদ্ধে রায় দেয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের মে মাস থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যানবাহনে আগুন দেয়া, ভাংচুর, পুলিশের উপর হামলা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অভিযোগে বিভিন্ন থানায় আলাদা মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস প্রধান বিচারপতির কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়ে নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করেছেন। এসময় তিনি ৯২জন নেতার নামের একটি তালিকা দেন।
সেই তালিকা ধরলে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বাইরে যাদের নাম উঠে আসে তারা হলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী ও হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সফু, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহ সম্পাদক বেলাল আহমেদ, সহ প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, জাতীয় কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবি ও মামুন হাসান, ঢাকা মহানগর নেতা এসএম জাহাঙ্গীর, রাজশাহী জেলা বিএনপি সভাপতি আবু সাঈদ চাঁদ, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আকরামুল হাসান, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান-সহ আরও কয়েকজন।
এর বাইরেও বিভিন্ন মামলায় আসামী হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন, শামসুজ্জামান দুদু, মুজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, খায়রুল কবির খোকন, রফিকুল ইসলাম মজনু, আমিনুল হক, জহির উদ্দিন স্বপন, শরিফুল আলম, আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েল, যুবদল সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না-সহ দলের অনেকগুলো জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতারা।
বিএনপির মতে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা রয়েছে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৫০ এবং মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে ১০২ টি মামলা চলমান আছে।
দলের প্রবীণ নেতা ও সাবেক স্পীকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও সেলিমা রহমানের বিরুদ্ধেও চারটি করে মামলার রয়েছে।
এছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর্জা আব্বাসে বিরুদ্ধে ৪৮টি, আমির খসরু চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাতটি, গয়েশ্বর রায়ের বিরুদ্ধে ৩৬টি, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বিরুদ্ধে মোট ৯ টি, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বীর বিক্রমের বিরুদ্ধে ৬টি, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১১টি, আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে ১০৬টি, বরকত উল্লাহ বুলুর বিরুদ্ধে ২০৪টি, রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে ১৮০টি, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে ২৫৪টি, হাবিব উন নবী খান সোহেলের বিরুদ্ধে ৪৫১টি, মীর নেওয়াজ আলীর বিরুদ্ধে ৮৩টি মামলা আছে বলে দাবি করে আসছে দলটি।
বিএনপি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গত চার মাসে অন্তত একাশিটি মামলায় দলটির নয়জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়েছে।
আরেক হিসেবে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয় গত পনেরই নভেম্বর সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৫হাজার ৫৫৩ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে আসামি করে ৪২৩টি নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে আটক দেখানো হয়েছে অন্তত ১১ হাজার ৭৫৫ জনকে। যাদের অধিকাংশের আদালতের বারান্দায় দিনের বেশির ভাগ সময় থাকতে হচ্ছে।
এসব ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দেখাতে কম যায়নি বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
গত ৩ আগস্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবাইদা রহমানের কারাদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট বারের দক্ষিণ হলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। তবে সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে সেখানে উপস্থিত হয়ে হট্টগোল শুরু করেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা।
এ সময় দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে বিএনপির সিনিয়র আইনজীবীরা তা নিয়ন্ত্রণ করেন।
সেই সংবাদ সম্মেলন শেষে বিক্ষোভ করেন দুই পক্ষের আইনজীবীরা। এ সময় উভয়পক্ষ মুখোমুখি হলে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে বারের সভাপতির কক্ষের সামনে থেকে নেমপ্লেট খুলে ফেলা হয়। এ ছাড়া ভাঙচুর করা হয় সম্পাদকের কক্ষের জানালা।
তার আগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের ২০২২-২৩ সেশনের নির্বাচন নিয়ে বেশ উত্তেজনা চলে দুই পক্ষের। অনুষ্ঠিত এ নির্বাচন নিয়ে প্রায় প্রতিদিন আওয়ামী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি মিছিল-মিটিং হয় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সমিতি ভবনে।
এর আগে ৬ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ইফতার আয়োজনে ভাঙচুর, হাতাহাতি, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ইফতার আয়োজনের ব্যানার, চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ৯ এপ্রিল সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তা রবিউল হাসান শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। পরে ১০ এপ্রিল এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন বিএনপিপন্থী ২৪ আইনজীবী।
এরপর ৩ মে ফের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, হাতাহাতি, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন আতাউর রহমান নামের এক বয়োজ্যেষ্ঠ আইনজীবী। তিনি আওয়ামীপন্থী আইনজীবী হিসেবে আদালতে পরিচিত।
মন্তব্য করুন