আরটিভি নিউজ
১০ নভেম্বর ২০২০, ১২:৫৩
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২০, ১৫:৪০
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২০, ১৫:৪০
এএসপি আনিসুল করিমের হত্যার ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ

পুলিশ সুপার আনিসুল করিম
এএসপি আনিসুল করিমকে হত্যার ঘটনায় মামলা, আটক ১০গতকাল সোমবার রাজধানী আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম শিপনকে ভর্তির কিছু সময় পরই তার মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, ওই হাসপাতালে ভর্তির পরই সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। সেই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, সোমবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমকে টানাহেঁচড়া করে একটি কক্ষে ঢোকানো হয়। তাকে হাসপাতালের ছয়জন কর্মচারী মিলে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন। এরপর নীল পোশাক পরা আরও দুজন কর্মচারী তার পা চেপে ধরেন। এসময় মাথার দিকে থাকা দুজন কর্মচারী হাতের কনুই দিয়ে তাকে আঘাত করছিলেন। হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ তখন পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। একটি নীল কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুলের হাত পেছনে বাঁধা হয়। চার মিনিট পর আনিসুলকে যখন উপুড় করা হয়, তখনই তার শরীর নিস্তেজ ছিল। একজন কর্মচারী তখন তার মুখে পানি ছিটান। তাতেও আনিসুল করিম নড়াচড়া করছিলেন না। তখন কর্মচারীরা কক্ষের মেঝে পরিষ্কার করেন। সাত মিনিট পর সাদা অ্যাপ্রোন পরা একজন নারী কক্ষে প্রবেশ করেন। ১১ মিনিটের মাথায় কক্ষের দরজা লাগিয়ে দেয়া হয়। ১৩ মিনিটের মাথায় তার বুকে পাম্প করেন, সাদা অ্যাপ্রোন পরা নারী। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আনিসুল করিম ৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। সর্বশেষ বরিশাল মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন তিনি। পারিবারিক জটিলতায় কিছুটা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। রাতে ওই হাসপাতালে গেলে কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। আজ মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরে তার নিজ বাসভবনে আনিসুল করিমকে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে। এমকে
যেভাবে হত্যা করা হয় এএসপি আনিসুল করিমকে