৪ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ, বাবা গ্রেপ্তার
এবার নিজ ঔরসজাত ৪ বছর বয়সী মেয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ফুলঢলুয়া গ্রামে। এমন অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বাবা রফিক ওরফে মিলনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার (২৪ অক্টোবর) গ্রেপ্তারকৃত রফিককে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে করাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গতকাল শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে বরগুনা সদর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ওই ব্যক্তির নাম রফিক ওরফে মিলন (৩৫)। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ফুলঢলুয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী শিশুর মা রুমা বলেন, গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে আমার ৪ বছরের মেয়েকে আমার স্বামী পাশবিক নির্যাতন করছে। আমি তাকে নিষেধ করলেও তিনি এ নির্যাতন বন্ধ করেননি। আর বিষয়টি লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে বলতেও পারিনি।
তিনি আরো বলেন, আমার স্বামীর এমন ধারাবাহিক ভাবে অনৈতিক ও পৈশাচিক কর্মকাণ্ডে নিজেও লজ্জিত ও বিব্রত ছিলাম। তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার রাতেও আমার স্বামী আবারো আমার শিশুকন্যার সাথে পাশবিক আচরণের পাশাপাশি পাশবিক নির্যাতন করেন। তাই আমার স্বামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য আমি মামলা দায়ের করেছি।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম বলেন, নিজের শিশু কন্যাকে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হলে আসামি রফিক ওরফে মিলনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। রফিক পুলিশের কাছে তার অপরাধ স্বীকার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বলে, আমি কিছু করিনি, শয়তান আমাকে দিয়ে করিয়েছে।
মিলনের স্ত্রী রুমা আরো বলেন, ১৫ বছর আগে মিলনের সাথে আমার বিয়ে হয়। মিলন পেশায় একজন রং মিস্ত্রী। যৌন নির্যাতনের কারনে আমার শিশু মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিশুটি আমাকে ব্যথার জায়গা দেখিয়ে বলে, বাবা তাকে ব্যথা দিয়েছে। স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পেরে মিলনকে মারধর করে বিষয়টি ফয়সালা করে। এরপরেও মিলন একই কাজ করে। পরে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।
শিশুটিকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম।
জিএম/কেএফ
মন্তব্য করুন