‘হালকা গড়নের কম বয়সী দুজন ইউএনও’র ওপর হামলা করে’
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলাকারী হালকা গড়নের কম বয়সী দুজন। বাসভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দুজনের উপস্থিতির বিষয়টি দেখা গেলেও তাদের চেহারা অস্পষ্ট। তাদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত এবং গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে- বলেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইউএনও ওয়াহিদার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ওয়াহিদা খানমের সেন্স আছে, তিনি স্পষ্ট কথা বলতে পারছেন। ওয়াহিদা জানিয়েছেন হামলাকারী কাউকে চেনেন না। তার ভাষ্যমতে কারও সঙ্গে কোনো ধরনের শত্রুতা ছিল না। এখন পর্যন্ত হামলার কারণটি অস্পষ্ট। তদন্ত চলছে। হামলাকারীদের বের করার চেষ্টা চলছে।
শারীরিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে ফরহাদ হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যগত অনেক প্যারামিটার ইমপ্রুভ করলেও ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে আউট অব ডেঞ্জার বলা যাচ্ছে না। কারণ নিউরো রোগীর ক্ষেত্রে পুরোপুরি সব কিছু বলা যায় না। তাকে আপাতত বিদেশ নেয়ার পরিকল্পনা নেই, প্রয়োজন হলে সব ব্যবস্থা হবে। তবে আমাদের রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসা বিশ্বমানের। এখানে ব্লাডের ব্যবস্থাও রয়েছে। প্রয়োজনে সিনিয়র নিউরো চিকিৎসকদের সহযোগিতা নেয়া হবে।
জড়িতদের গ্রেফতার বিষয়ে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় পুলিশ সুপার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আশা করছি, দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতার সম্ভব হবে। ক্লু পেতে কাজ করছেন তারা।
উল্লেখ্য, বুধবার মধ্য রাতে ঘোড়াঘাটে সরকারি বাসায় হামলার শিকার হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা। এরপর তাকে ও তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার বাবা চিকিৎসাধীন আছেন। তবে ইউএনওর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় আনা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
আরও পড়ুন: ‘তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েই শুনি মেয়ের চিৎকার’
জিএ
মন্তব্য করুন