‘তাবিজ’ নিয়ে খেলেছিলেন মেসি!
২০১৪ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে এই নাইজেরিয়ার বিপক্ষেই জোড়া গোল করেছিলেন বিশ্বসেরা তারকা লিওনেল মেসি। এরপর আর তার পায়ে গোল দেখেনি বিশ্বকাপ। দ্বিতীয় রাউন্ড, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল, ফাইনাল এরপর ওখানে শেষ। আবার চার বছর পর আরেক বিশ্বকাপ কিন্তু সেই অপয়া জারি রইলো। প্রথম দুই ম্যাচে গোল পেলেন না। যাও সুযোগ পেয়েছিলেন কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারলেন না। দলও পড়ে যায় ঝুঁকির মধ্যে।
এরমধ্যে বিশ্বকাপে কেটে গেছে সাড়ে ছয়শো মিনিট। কিন্তু তার জাদুকরী পায়ে গোলের দেখা পাচ্ছিল না বিশ্বকাপ। তাই অনেকটা মেড়মেড়েই দেখাচ্ছিল। অবশেষে ভাগ্য বিধাতা চোখ তুলে তাকালেন বিশ্বকাপ দেখলো জাদুকরের জাদুকরী গোল। আর এতে করে ভাঙলো সাড়ে ছয়শো মিনিটের অপেক্ষা। প্রতিপক্ষ কিন্তু সেই একই অর্থাৎ নাইজেরিয়া।
নাইজেরিয়ার বিপক্ষে স্বরূপে ফিরলেন। খেললেন নিজের স্বভাবসুলভ খেলা, সঙ্গে কাটালেন গোল খরাও। হঠাৎ এলএম টেনের এমন ভালো খেলার পেছনের রহস্য কী? রহস্য বের করতে গিয়ে যা বেরিয়ে এল তা সবাইকে একটু চমকই দিতে পারে। সে তথ্য হল নাইজেরিয়ার বিপক্ষে নাকি পায়ে তাবিজ বেঁধে খেলেছিলেন তিনি!
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: নাটক না করতে নেইমারকে জিকোর আহ্বান
--------------------------------------------------------
ব্যাপারটা একটু আশ্চর্যজনক ঠেকলেও এটাই সত্য। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর আর্জেন্টিনার ভাগ্য যখন অন্যের হাতে চলে যায় তখনই মেসিদের সংস্পর্শে আসেন আর্জেন্টিনার তেলেফে টিভির উপস্থাপক রামা পানতোরোত্তো। ওই সময় মেসিকে একটা ‘অ্যামিউলেত’ দেন পানতোরোত্তো।
অ্যামিউলেত এর বাংলা অর্থ হল, তাবিজ-কবচ, মাদুলি ইত্যাদি। যেটা পানতোরাত্তোর মা মারিয়া কসমিকা মেসির জন্য দিয়েছিলেন। মূলতঃ দুর্ভাগ্য দূর করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে এই অ্যামিউলেত। অধিকাংশ জনই বিশ্বাস করেন এর আশ্চর্য জাদুকরী ক্ষমতা রয়েছে।
মেসি নিজেও কিন্তু অলৌকিক কিছুতে বিশ্বাসী না। তারপরও নাইজেরিয়ার বিপক্ষে লাল রঙের সেই অ্যামিউলেত মোজার নিচে গোড়ালিতে বেঁধে মাঠে নামেন তিনি।
বিশ্বাসীরা বলতেই পারেন। কারণ, বিশ্বকাপে ৬৬২ মিনিট যার পায়ে গোল নেই, সেই ফুটবলারই কি না নাইজেরিয়ার বিপক্ষে করে ফেললেন দুর্দান্ত এক গোল! দলের হয়ে প্রথম গোলটি আসে তার পা থেকেই।
অবশ্য এ তাবিজ পরার ব্যাপারটি ফাঁস হয়ে যায় ম্যাচ শেষে মেসি যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। কারণ সেই সাংবাদিকদের ওখানে উপস্থিত ছিলেন রামা পানতোরোত্তো। তখন তিনি মেসিকে অ্যামিউলেতের কথা জিজ্ঞেস করেন। ওই সময় মেসি সেটা মোজার ভেতর থেকে বের করে দেখান। সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে উল্লসিত হয়ে পড়েন রামা। তার দেয়া অ্যামিউলেতের কল্যাণেই যে মেসির সঙ্গে আর্জেন্টিনার ভাগ্যও ফিরেছে তা বিশ্বাস করে ফেলেন রামা। এখন দেখার বিষয় এ অ্যামিউলেত মেসি ও আর্জেন্টিনাকে কতদূর নিতে পারে?
আরও পড়ুন:
এএ
মন্তব্য করুন