• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রাথমিকে ২৫ ও মাধ্যমিকে ৫১ শতাংশ পারিবারিক শিক্ষা ব্যয় বেড়েছে
২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে দেশে পারিবারিক শিক্ষা ব্যয় প্রাথমিক স্তরে বার্ষিক ২৫ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরে ৫১ শতাংশ বেড়েছে। গণসাক্ষরতা অভিযান পরিচালিত ‘বাংলাদেশে বিদ্যালয় শিক্ষা মহামারী উত্তর টেকসই পুনরুত্থান’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন গণসাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক ও গবেষক দলের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান। গবেষণার তথ্য বলছে, ২০২২ সালে দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিশুর শিক্ষার জন্য বার্ষিক পারিবারিক গড় ব্যয় ছিল ১৩ হাজার ৮৮২ টাকা, যেখানে গ্রাম ও শহরে কিছু ভিন্নতা রয়েছে। একই সময়ে মাধ্যমিক স্তরের একজন শিক্ষার্থীর জন্য পারিবারিক ব্যয় ছিল ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। উভয় স্তরেই প্রধানত ব্যয় হয়েছে প্রাইভেট টিউটরের বেতন ও গাইডবই বা নোটবই বাবদ। ২০২৩ সালের প্রথম ৬ মাসে পারিবারিক শিক্ষা ব্যয় ২০২২ সালের তুলনায় প্রাথমিক স্তরে বার্ষিক ২৫ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরে ৫১ শতাংশ বেড়েছে। গবেষণার সুপারিশে বলা হয়, প্রাইভেট টিউটরিং, কোচিং, বাণিজ্যিক গাইডবই এবং বিভিন্ন স্কুল ফি-র ক্রমবর্ধমান খরচ পরিবারগুলোর ওপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করেছে, যা বৈষম্য এবং শিক্ষাবঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং পরিবারের ওপর অর্থনৈতিক বোঝা কমানোর লক্ষ্যে শিক্ষায় ন্যায়সঙ্গত সুযোগের জন্য পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে। এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন ও জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, গবেষণা দলের প্রধান ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমদ, গবেষণার পর্যালোচক আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী, গবেষক দলের সদস্য সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন, মো. আহসান হাবিব বক্তব্য রাখেন।
৩০ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৮

চলতি মাসের ৮ দিনে এলো ৫১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
মার্চ মাসের প্রথম আট দিনে দেশে এসেছে ৫১ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্র‌তি ডলার ১১০ টাকা ধ‌রে) যার পরিমাণ ৫ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৬ কোটি ৪১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। রোববার (১০ মার্চ) এই তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে পাঁচ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯৭ লাখ ২০ হাজার ডলার।  একই সময়ে দেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আসা প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ৪৪ কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার ডলার। ১৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার এসেছে বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার। আর ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। ওই মাসে গড়ে প্রতিদিন সাত কোটি ৭৩ লাখ ৫৭ হাজার ১৪৩ ডলার দেশে আসে। আগের বছরের মার্চ মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছিল ছয় কোটি ৭৬ লাখ ১৫ হাজার ৬৬৬ ডলার। সে হিসাবে মার্চের প্রথম সপ্তাহে প্রবাসী আয়ের গতি কমেছে। তবে রোজার শুরু থেকে ঈদ পর্যন্ত প্রবাসী আয় বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা।
১০ মার্চ ২০২৪, ২১:৫০

আরও ৫১ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু নেই
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৮৪ জনে অপরিবর্তিত রয়েছে। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫১ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭১ জনে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৪ হাজার ৮৫৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয় ৫২৮ নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৬

এক কলেজের ৫১ শিক্ষার্থী পেল মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ
নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীরা এমবিবিএস ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় এবারও সাফল্য পেয়েছে। এ বছর ৫১ জন শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ খবর নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আজাদ আবুল কালাম।  গত বছরও সাফল্য পেয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। ওই বছর ৩৫ জন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। সৈয়দপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল নামে ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি কলেজে উন্নীত করে নাম দেওয়া হয় সৈয়দপুর সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ। এরপর ২০১৯ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আজাদ আবুল কালাম বলেন, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিবছর মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ধারাবাহিক সফলতা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে। প্রসঙ্গত, রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন এমবিবিএস ২০২৩-২৪ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন। এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন ৪৯ হাজার ৯২৩ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৪৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ।  
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়