• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘ভারত বর্জনের ডাকে পাকিস্তান আমলের রাজনীতি চালুর চেষ্টা চলছে’
ভারত বর্জনের ডাক দিয়ে দেশে পাকিস্তান আমলের রাজনীতি চালুর অপচেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। সোমবার (২৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন তিনি। মেনন বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। কিন্তু এখনও তারা এবং তাদের সংগঠন রাজনীতি করে চলেছে। সম্প্রতি তারা নতুন করে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। বয়কট ইন্ডিয়া স্লোগান তুলেছে। এই স্লোগান দিয়ে তারা কার্যত পাকিস্তান আমলের রাজনীতিকেই বাংলাদেশে চালুর চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা রাষ্ট্রের। কিন্তু আমরা দেখেছি, বিএনপির শাসনামলে আমাদের শহীদদের সংখ্যা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর দীর্ঘ সময় পার গেছে, কিন্তু গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে খুব একটা ব্যবস্থা নিতে পারিনি। গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর দেশে দেশে যে গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে, আজ ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা হচ্ছে অথবা এর আগে যেখানে গণহত্যা হয়েছিল সেগুলোর বিচারের জন্য এই স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ।’  বিএনপি-জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি উল্লেখ করে মেনন এরপর বলেন, যুদ্ধাপরাধীরা এখনও দেশে রাজনীতি করছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সহযোগীদের ঘৃণ্য রাজনীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে আমাদের।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:০১

ভোটের ফলাফল নিয়ে ১৪ দলে বিরূপ প্রভাব পড়বে না : মেনন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ১৪ দলে বিরূপ প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বরিশাল প্রেস ক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল মূল্যায়ন নিয়ে দলগুলো এখন পর্যন্ত নিজেরা বসতে পারেনি। তবে এ নিয়ে সামগ্রিকভাবে বড় ধরনের কোনো প্রতিক্রিয়া হবে বলে মনে করি না। রাশেদ খান মেনন বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। ভোটের পরে যেসব বিদেশি রাষ্ট্র বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে, এটা তাদের কূটনৈতিক তৎপরতার রুটিন ওয়ার্ক। তাদের এসব প্রতিক্রিয়ায় কোনো প্রভাব পড়বে না। বিদেশি কয়েকটি রাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তাদের হস্তক্ষেপ নির্বাচনকে অবাধ করার উদ্দেশ্যে ছিল না। তারা হস্তক্ষেপ করেছিল নির্বাচন বানাচাল করার জন্য। বাংলাদেশের মানুষ তাদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির বরিশাল জেলা সভাপতি অধ্যাপক নজরুল হক নীলু ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক টিপু সুলতানসহ আরও বেশকয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৮

শপথ নেওয়ার পর যা বললেন মেনন
বরিশাল-২ আসনে (উজিরপুর-বানারীপাড়া) ১৪-দলীয় জোটের প্রার্থী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, সামনের দিনে বিএনপি বা সাম্রাজ্যবাদীদের চক্রান্ত মোকাবেলা করতে হবে। এটা বড় চ্যালেঞ্জ। দেশি-বিদেশি চক্রান্ত উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করায় দেশবাসীকে ধন্যবাদও জানান তিনি। বুধবার (১০ জুলাই) জাতীয় সংসদ ভবনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার পর তিনি এসব কথা বলেন।  জোটের বেশ কয়েকজন গত সংসদে এমপি ছিলেন, এবার আপনি একা, অনুভূতি কেমন? এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান মেনন বলেন, হারাধনের একটি ছেলে। টেকাটাই গুরুত্বপূর্ণ। সংগ্রাম করে টিকে থাকাটা বড় ব্যাপার। বিশেষ করে আমরা যারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে চলি, যাদের অর্থবিত্ত নেই তাদের এ ধরনের নির্বাচনে বেরিয়ে আসা কঠিন কাজ। আমার বিজয়টা এবার বিস্ময়কর লেগেছে কারণ আমি ৭৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত নির্বাচন করে এবার সর্ববৃহৎ ব্যবধানে জিতেছি। প্রায় ৯০ হাজার ভোটে আমি জিতেছি। ভোটে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা আমার ভালো লেগেছে। রাজধানী ছেড়ে নিজের এলাকায় ফিরে গেলেন, সে অনুভূতিটা কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই আসনে ১৯৯১ সালেও আমি এমপি ছিলাম। সেখানে পিছিয়ে থাকা লোকজন রয়েছে। তারপরও আমি মনে করেছি যে মানুষ আমাকে পুরোনোভাবেই গ্রহণ করেছে। সেভাবেই তারা আমাকে দেখতে চায়। নির্বাচনের আগে শরীকদের জন্য যে ক’টি আসন ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ, তারমধ্যে দু’টি বরাদ্দ ছিল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির জন্য। একটি পেয়েছিলেন রাশেদ খান মেনন। রাজশাহী-২ আসনটি ছাড়া হয়েছিল ফজলে হোসেন বাদশাকে। যদিও শেষ পর্যন্ত মেনন জিতলেও ভোটের মাঠে হেরে গেছেন বাদশা। ওই আসনে জয়লাভ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা।  
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৯

নৌকা নিয়ে জিতলেন রাশেদ খান মেনন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৪-দলীয় জোটের প্রার্থী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে আসনটির সবগুলো কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এতে দেখা যায়, ১৪-দলীয় জোটের প্রার্থী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ২২ হাজার ১৭৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী একে ফাইয়াজুল হক ঈগল প্রতীবে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৩৯৭ ভোট। রংপুর-৩ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৮ হাজার ২৪৬ জন। এর আগে, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে ২৯৯টি আসনে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। এ সময়ে কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন গোলযোগ হয়েছে। ৩০ থেকে ৩৫ জায়গায় ভোট কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। কোথাও ভোটকেন্দ্রের পাশে ককটেল বিস্ফোরণেরও ঘটনা ঘটেছে। অনিয়মের কারণে সাতটি কেন্দ্রে ভোট বাতিল করা হয় এবং জাল ভোটে সহায়তা করার জন্য ১৫ ব্যক্তিকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কারচুপি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে। ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী ছিল আওয়ামী লীগের। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি। এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়