• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ : প্রধান বিচারপতিকে ইমরানের চিঠি
পাকিস্তানে বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করে যারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, তাদের বিচার দাবি করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপের বিষয়ে ইসলামাবাদ হাই কোর্টের ছয় বিচারপতির দেওয়া অভিযোগের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসার কাছে চিঠি দিয়ে এই দাবি জানিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) নেতা। পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম ডন জানিয়েছে, গত ২৫ মার্চ পাকিস্তানের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে চিঠি দেন হাই কোর্টের ছয় বিচারপতি। তারা ওই চিঠিতে বলেন, বিচারপতিদের পরিবারের সদস্যদের গুম, অপহরণ ও তাদের বাড়িঘরে নজরদারি চালানোর মাধ্যমে বিচারবিভাগের ওপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে। বিচারপতি মহসিন আখতার কায়ানি, তারিক মেহমুদ জাহাঙ্গিরি, বাবর সাত্তার, সরদার এজাজ ইসহাক খান, আরবাব মুহাম্মদ তাহির এবং সামান রাফাত ইমতিয়াজ চিঠিতে স্বাক্ষর করেন। এই ঘটনাকে ‘বিদ্রূপাত্মক’ বলে অভিহিত করেন ইমরান খান। কারণ যাদের বিচার করার কথা, তারাই এখন বিচার চাইছেন। পাকিস্তানে বিচারবিভাগে কী পরিমাণ হস্তক্ষেপ রয়েছে, তা হাই কোর্টের বিচারকদের বিচারিক তদন্তের দাবিই স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। যেখানে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অস্ত্রে সজ্জিত ব্যক্তিরা কলমের ধারক বাহকদের পরাস্ত করে চলেছে। এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট এখন পর্যন্ত যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা জোরালো ও যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইমরান খান।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৮

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি: বিচার মেলেনি ১১ বছরেও
দেশের ইতিহাসে বড় হৃদয় বিদারক ঘটনা সাভারের রানা প্লাজা ধস। এই ট্র্যাজেডির ১১ বছর পূর্ণ হলো আজ ২৪ এপ্রিল। ২০১৩ সালের এই দিনে সাভার বাসস্ট্যান্ডের কাছে ১০ তলা রানা প্লাজা ভবন ধসে নিহত হন এক হাজার ১৩৬ জন শ্রমিক। আহত হন দুই হাজারের বেশি মানুষ। জীবিত উদ্ধার করা হয় দুই হাজার ৪৩৮ জনকে। শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয় এই শিল্প দুর্ঘটনা।  কিন্তু  দীর্ঘ ১১ বছরেও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত হয়নি। যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাননি নিহত শ্রমিকদের স্বজন ও আহত শ্রমিকরা।  এ ঘটনায় মোট তিনটি মামলা হয়। হত্যা মামলার ৫৯৪ সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৮৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। এত দিনেও বিচার শেষ না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে শ্রমিক মৃত্যুর এই মামলাটি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। অপরদিকে, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা আইনে দায়ের করা মামলাটিও হাইকোর্টে স্থগিত হয়ে আছে। ফলে, আইনি জটিলতার কারণে এগোচ্ছে না এই মামলার কার্যক্রম।  শ্রমিক মৃত্যুর হত্যা মামলাটি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে। ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করে আসামিপক্ষ। হাইকোর্টে পাঁচ বছর মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকে। পরে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর গত বছরের ৩১ জানুয়ারি মামলার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। গত এক বছর তিন মাসে এ মামলায় অভিযোগপত্রের ৫৯৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিমল সমদ্দার মামলাটি সম্পর্কে জানান, মামলাটিতে দীর্ঘ সময় লেগে যায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিলে আসামিরা সেই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যান। শুরু থেকে মামলাটি বিভিন্নভাবে সময় নষ্ট হয়েছে। অন্যান্য আইনগত বাধা পেরিয়ে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে এসেছে। কিন্তু সাক্ষীরা ঠিকমতো হাজির না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।  মামলায় কারাগারে থাকা রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্ট জামিন দেয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে জামিন স্থগিতের আবেদন জানায়। ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ বছরের ১৫ জানুয়ারি সোহেল রানার জামিন স্থগিত করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির বেঞ্চ।  আইন না মেনে ভবন নির্মাণের অভিযোগে ওই সময় সোহেল রানাসহ ১৩ জনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় আরেকটি মামলা করেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তৎকালীন (রাজউক) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল আহমেদ। ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর সোহেল রানাসহ ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার সাক্ষী করা হয় ১৩০ জনকে।  জানতে চাইলে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল গণমাধ্যমকে বলেন, গত বছরের ১৯ নভেম্বর ঢাকার সাবেক জেলা ও দায়রা জজের বিচারক এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়ার আদালত বিচারিক ক্ষমতা বলে হত্যা মামলার পাশাপাশি ইমারত নির্মাণ আইনের মামলাটিও নিয়ে যান। যাতে একইসঙ্গে দ্রুত এই দুই মামলার বিচারকাজ শেষ হয়। তবে উচ্চ আদালতে মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা যায়নি। মামলাটির এখনো কোনো অগ্রগতি নেই। এই মামলায় ১৬  আসামির মধ্যে সবাই জামিনে আছেন।  রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় হত্যা ও ইমারত নির্মাণ আইনের দুই মামলায় আট বছর আগে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ। তিনি বলেন,  মামলা দুইটির বিচার শেষ না হওয়ায় আসামি সোহেল রানা কারামুক্ত হতে পারছেন না। তার মতে আসামি সোহেল রানা বিচারহীনভাবে কারাগারে আটক রয়েছেন।  অনুসন্ধানে দেখা যায়, রানা প্লাজা নির্মাণে ছয় তলার অনুমোদন থাকলেও আট তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। এ কারণে ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে আরেকটি মামলা দায়ের করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৬ জুলাই রানাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক মফিদুল ইসলাম। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ এস এম জিয়াউর রহমানের আদালতে বিচারাধীন। এ মামলায় মোট ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেছেন আদালত। সর্বশেষ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক এম এ মফিদুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। তবে তার জেরা শেষ না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলমান রয়েছে। আগামী ২৮ এপ্রিল জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। রানা প্লাজা ধসের মামলাকে একটি দুর্ঘটনার মামলা উল্লেখ করে এ বিষয়ে আসামি রানার আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন,  এই মামলায় রানা গত ১১ বছর ধরে জেলহাজতে রয়েছে। বাকি সবাই জামিনে পেলেও রানা জামিন পাচ্ছেন না। মামলার রায়ে যা হওয়ার তাই হবে। এভাবে বিনা বিচারের ১১ বছর জেলে থাকা মানবিক দিক থেকে অন্যায়। তাই আদালতের উচিত হয়তো মামলাটির বিচার দ্রুত শেষ করা, নয়তো আসামিকে জামিন দেয়া। আশা করছি এ মামলার রায়ে রানাসহ অন্যান্য আসামিরা খালাস পাবেন। এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রম শেষে মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করছি। এ মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- ভবন মালিক সোহেল রানা, তার বাবা আব্দুল খালেক ওরফে কুলু খালেক, মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার মেয়র রেফায়েত উল্লাহ, কাউন্সিলর মোহাম্মাদ আলী খান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান রাসেল, নিউওয়েব বাটন লিমিটেডের চেয়ারম্যান বজলুস সামাদ আদনান, সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. সারোয়ার কামাল, আমিনুল ইসলাম, নিউওয়েব স্টাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুর রহমান তাপস, ইথার টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান ওরফে আনিসুজ্জামান, সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মাহবুবুল আলম, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, নগর পরিকল্পনাবিদ ফারজানা ইসলাম, নান্টু কন্ট্রাকটার এবং রেজাউল ইসলাম। রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় তিন মামলার বাইরে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলাটিই কেবল নিষ্পত্তি হয়েছে।  ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট এ মামলার রায় ঘোষণা ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর তৎকালীন বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস। রায়ে সোহেল রানাকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই মামলায় তার মা মর্জিনা বেগমকেও তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রানা প্লাজা ধসে হাজারের বেশি শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় আজও কাঁদছেন তাদের স্বজনরা। পঙ্গু হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন অসংখ্য শ্রমিক। এ ঘটনার ১১ বছরেও ভবন মালিক সোহেল রানাসহ দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। রানা প্লাজার সামনে অঝরে কাঁদছিলেন ৭০ বছর বয়সী সাফিয়া বেওয়া। রানা প্লাজা ধসে মেজ ছেলে লাল মিয়াকে হারিয়েছেন তিনি। লাল মিয়া কাজ করতেন ভবনটির তৃতীয় তলায়। এ ঘটনায় বিচার না হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়ে নেতারা বলছেন 'রানা প্লাজা ধসের পর থেকেই আমরা বেশ কয়েকটি দাবি তুলে আসছি। গত ১১ বছরেও আমাদের দাবিগুলো পূরণ হয়নি। এত বছর পর আমরা একই দাবি জানাচ্ছি।' গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য লীগের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন বলেন, রানা প্লাজা ধসের ঘটনা একটি হত্যাকাণ্ড। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এটা শুধু আমাদের দাবি নয়, এটা সবার দাবি।' এ ঘটনায় আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, ‘১১ বছরেও আমাদের কোনো দাবি পূরণ করা হয়নি। এ বিষয়ে রাষ্ট্রের সুদৃষ্টি আশা করছি।   
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪৬

এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা / ন্যক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চান রিয়াজ 
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। এদিন এফডিসিতে অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়ায় শিল্পীরা।  সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে সাংবাদিক-শিল্পীদের মধ্যে।  এদিকে খবরটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি বিষয়টি চরম ন্যক্কারজনক বলে মনে করছেন শোবিজের তারকারাও। সাংবাদিকদের ওপর এই বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সবাই। ন্যক্কারজনক এমন ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়েছেন চিত্রনায়ক রিয়াজ।    সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে তিনি বলেন, এফডিসিতে যে ঘটনা ঘটেছে তা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। যদিও এই ঘটনার সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম সূত্রে এ ঘটনা সম্পর্কে জেনেছি। বিষয়টি নিয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের  কাজের সঙ্গে দর্শকদের সেতুবন্ধন বা মেলবন্ধন তৈরি করে দেন। সেই সাংবাদিক ভাইদের এমন নির্মমভাবে এফডিসির অভ্যন্তরে পেটানো হয়েছে, এটা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক একটি ঘটনা।  রিয়াজ আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার যেসব ছবি ও ভিডিও দেখেছি তাতে আমার খুবই খারাপ লেগেছে। এমনটা আসলে হতে পারে না। চলচ্চিত্র শিল্পী ও সন্ত্রাসীর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। চলচ্চিত্র শিল্পীরা সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না।  অপ্রীতিকর এ ঘটনার বিচার চেয়ে অভিনেতা বলেন, আমি আহত সাংবাদিক ভাই-বেনাদের প্রতি ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। সবার সঙ্গে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। এর আগে মঙ্গলবার রাতেই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে রিয়াজ লিখেছেন, ‘প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আজকে আমি লজ্জিত ও আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ জানা গেছে, নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ শেষে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা সানুর সঙ্গে ইউটিউবারদের কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সাংবাদিকেরা হাজির হলে তাদের সঙ্গেও বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। মূলত চিত্রনায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার চাওয়াতেই মারামারির সূত্রপাত ঘটেছে।  ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের পক্ষ থেকে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব এই ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকারও করেছে সংগঠনটি। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই জানান, এই হামলার মূল হোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এরপর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টরেরাও হামলায় অংশ নেন। এ ঘটনায় দৈনিক খবরের কাগজের বিনোদন প্রতিবেদক মিঠুন আল মামুন ও তার ক্যামেরাম্যানসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫০

আরটিভিতে আজ যা দেখবেন
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১। একনজরে জেনে নিন আরটিভির আজকের আয়োজন— সকাল ৯টায় টকশো ‘আজ পত্রিকায়’।  সকাল ৯টা ৪৫মিনিটে ‘সকালের সংবাদ’।  সকাল ১০টা ১০মিনিটে বাংলা ছায়াছবি ‘বিচার হবে’। অভিনয় করেছে- সালমান শাহ, শাবনূর।   বিকেল ৫টা ৩০মিনিটে অটিজম বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘হাত বাড়িয়ে দিলাম’ গ্রন্থণা। উপস্থাপনা ও পরিচালনা- সৈয়দা মুনিরা ইসলাম।  সন্ধ্যা ৬টা ৫মিনিটে লাইভ ইসলামী আলোচনা অনুষ্ঠান ‘প্রশ্ন করুন’।  সন্ধ্যা ৬টা ৪৫মিনিটে ‘সন্ধ্যার সংবাদ’।  রাত ৭টা ৫মিনিটে নির্বাচিত নাটক।  রাত ৮টায় বিশেষ নাটক।  রাত ৯টা ২০মিনিটে প্রতি সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার ধারাবাহিক- ‘গোলমাল’।  পরিচালনা- কায়সার আহমেদ ও আল হাজেন।   অভিনয় করেছেন- আনিসুর রহমান মিলন, শ্যামল মাওলা, রওনক হাসান, নাদিয়া আহমেদ, সালহা খানম নাদিয়া, প্রাণ রায়, মুনিরা ইউসুফ মেমী, আজিজুল হাকিম প্রমুখ।   রাত ১০টায় প্রতি মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতিবার ধারাবাহিক নাটক- ‘জাদুনগর’। রচনা- আহমেদ শাহাবুদ্দীন ও পরিচালনা- কাওসার আহমেদ।  অভিনয় করেছেন- মীর সাব্বীর, নাদিয়া আফরীর মীম, জয়রাজ ওবিদ রেহান, শায়েদ আলী, ড: এজাজ, ওলিউৃল হক রুমি, বিনয় ভদ্র প্রমুখ।  রাত ১০টা ৪৫মিনিটে ‘রাতের সংবাদ’।  রাত ১১টা ২০মিনিটে লাইভ ‘গণতন্ত্র সংলাপ’।  রাত ১২টা ১৫মিনিটে লাইভ ‘উন্নয়নে বাংলাদেশ’।  রাত ১টায় ‘মধ্যরাতের সংবাদ’।   
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৭

বিচার না হওয়ায় চিকিৎসকদের ওপর হামলা বাড়ছে : ড্যাব
দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসকদের ওপর হামলাকে ন্যক্কারজনক অ্যাখ্যা দিয়ে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ ও মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, মূলত বিচার না হওয়ায় চিকিৎসকদের ওপর হামলা বেড়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে একটি পরমুখাপেক্ষী চিকিৎসা ব্যবস্থা কায়েম করার লক্ষ্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রদানে যারা তাদের শ্রম ও মেধা ব্যয় করছেন তাদের ওপর সরকার দলীয় ক্যাডার বাহিনী ও দুর্বৃত্তদের হাতে চিকিৎসকদের ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের ওপর শারীরিক নির্যাতন অমানবিক এবং অযাচিত।  তারা বলেন, কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের ওপর আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে নিজের হাতেই আইন তুলে নিয়ে সরকার দলীয় ক্যাডার বাহিনী একের পর এক চিকিৎসক এবং চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী ব্যক্তিবর্গ এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর আক্রমণ ভাঙচুর এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে রক্তিম দাস নামের একজন চিকিৎসককে চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ার অভিযোগে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা আক্রমণ করে। প্রচণ্ড আঘাতের কারণে ওই ডাক্তারের মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ হয়। আহত চিকিৎসক মামলা করতে গেলে দুর্বৃত্তরা যেহেতু এমপির কাছের লোক তাই পটিয়া থানার ওসি মামলা নিতে চায়নি। শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে মামলা নেওয়া হয় বটে, কিন্তু মামলার ধারা পরিবর্তন করে সেটাকে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা নেওয়া হয়।  ড্যাবের নেতৃদ্বয় বলেন, পহেলা বৈশাখের দিনে চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টারে কতিপয় দুর্বৃত্ত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রিয়াজ উদ্দিন শিপলুর ওপর এনআইসিইউতে গুরুতর অসুস্থ শিশুর মৃত্যু হলে তার আত্মীয়-স্বজনরা হামলা করলে ডাক্তার রিয়াজ উদ্দিন মারাত্মকভাবে আহত হন। তিনি এখন আইসিইউতে ভর্তি আছেন। এর কিছুদিন আগে একজন চিকিৎসক তার সন্তানকে কিশোর গ্যাংয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে হামলার শিকার হন এবং পরে মারা যান।  তারা আরও বলেন, আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং বিচার না হওয়ায় চিকিৎসকদের ওপর এই ধরনের হামলা ক্রমাগত বেড়েই যাচ্ছে। এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি। আজ আইনের শাসন ভূলুণ্ঠিত, জবাবদিহিতার সংস্কৃতি এবং সামাজিক অবক্ষয়ের চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে বর্তমান বাংলাদেশ, যেখানে বিচারহীনতাই সংস্কৃতিতে রূপ নিয়েছে।  ড্যাবের সভাপতি ও মহাসচিব অনতিবিলম্বে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে তাদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং ডাক্তারদের নিরাপদ কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছে। অন্যথায় দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকবে এবং এর দায়ভার সম্পূর্ণভাবে সরকারের ওপর বর্তাবে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩১

পর্নো তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় ট্রাম্পের বিচার শুরু
পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় নিউইয়র্কের ম্যানহাটন আদালতে হাজির হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) ফৌজদারি মামলায় তার বিচার শুরু হলো।  প্রসঙ্গত, ট্রাম্পই হচ্ছেন প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। এ মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে। অবশ্য সবগুলো অভিযোগই অস্বীকার করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আইনের দিক থেকে ভুল কিছু করেননি বলে দাবি তার। এমনকি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে সম্পর্কের কথাও অস্বীকার করেছেন তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, তার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। ওই অর্থ লেনদেনের বিষয়টি গোপন রাখতে নিজের ব্যবসায়িক রেকর্ডেও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। এদিকে মুখ বন্ধ রাখতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৎকালীন আইনজীবী মাইকেল কোহেন প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস। উল্লেখ্য, সোমবার জুরি নির্বাচনের মাধ্যমে শুরু হওয়া বিচার প্রক্রিয়ায় ছয় সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের সর্বোচ্চ চার বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে জরিমানা দিয়ে তিনি কারাবাস থেকে রেহাই পেতে পারবেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চারটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তবে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষের এই মামলাতেই আদালতকক্ষে হাজির হতে হল রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য এই প্রার্থীকে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৫

রমনার বটমূলে বোমা হামলার ২৩ বছরেও হয়নি বিচার
২৩ বছর আগে রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছিলেন। চাঞ্চল্যকর এই বোমা হামলার এখনো বিচার হয়নি। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনার বটমূলে বোমা হামলার পর হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এর মধ্যে হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে নিম্ন আদালত রায় ঘোষণা করে। আদালতে রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। একইসঙ্গে কারাবন্দি আসামিরা আপিল করে। উভয় আবেদনের ওপর ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। আদালত বদল হওয়ায় শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে মামলাটি। ১০ বছরে অন্তত ৪০০ বার পিছিয়েছে শুনানি। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ওই বেঞ্চের একজন বিচারপতি আইনজীবী হিসেবে এই মামলায় কাজ করেছিলেন। তাই তিনি শুনানি করতে পারেননি। এ কারণে হয়ত কিছুটা সময় লেগেছে। তবে এবার তার বেঞ্চে শুনানি হবে। আমরা প্রস্তুত আছি।   অন্যদিকে বিস্ফোরক মামলাটি এখনো বিচারিক আদালতের গণ্ডি পার হতে পারেনি। কারণ হিসেবে সাক্ষী হাজির না হওয়ার কথা বলছে রাষ্ট্রপক্ষ।   আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুলাহ আবু বলেন, সাক্ষীরা একবার সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। কিন্তু পরবর্তীকালে ওই সাক্ষীদের সহজেই পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন হয়ে গেছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিচার কাজ শেষ হওয়া উচিত। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ ১৪০৮ বঙ্গাব্দ) ভোরে রমনার বটমূলে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানস্থলে দুটি বোমা পুঁতে রাখা হয় এবং পরে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে সেগুলোর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নৃশংস ওই বোমা হামলায় প্রাণ হারান ১০ জন। আহত হন আরও অনেকেই। এ ঘটনায় হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনকে আসামি করে ওইদিনই রমনা থানার পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে আলাদা দুটি মামলা করেন। ২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর শীর্ষ হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে সিআইডির পরিদর্শক আবু হেনা মো. ইউসুফ আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে আলাদা দুটি সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রুহুল আমিন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আট জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন মামলার অন্যতম আসামি মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী হত্যা মামলায় ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রাতে মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয়। বর্তমানে মামলাটিতে মোট ১১ জন আসামি রয়েছেন। তারা হলেন- মাওলানা তাজউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, মাওলানা আবু বকর, হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা আকবর হোসাইন, মাওলানা শাহাদাৎ উল্লাহ জুয়েল, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা সাব্বির ও মাওলানা শওকত ওসমান। এর মধ্যে তাজউদ্দিন, আবদুল হাই ও জাহাঙ্গীর পলাতক।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৯

বর্ষবরণে শ্লীলতাহানি : ৯ বছরেও শেষ হয়নি বিচার
২০১৫ সালে বর্ষবরণ উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি এলাকায় বেশ কয়েকজন নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আট লাঞ্ছনাকারীকে শনাক্ত করা হয়। তাদের ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করে পুলিশ। এ ঘটনায় করা মামলায় সাত আসামিকে খুঁজে না পেয়ে পরের বছর কামাল নামে এক ব্যবসায়ীকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরের বছরের জুন মাসে আসামি কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন নির্ধারণ করেন আদালত। কিন্তু অভিযোগ গঠনের প্রায় ছয় বছর পরও ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। সাক্ষীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরও তারা সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসছেন না। সাক্ষীরা আদালতে হাজির না হওয়ায় আলোচিত মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম ঝুলে রয়েছে।  জানা গেছে, ঘটনার প্রায় দুই বছর পর কামাল নামে একজনকে আসামি করে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলাটিতে ৯ জনের সাক্ষী নেওয়ার পর সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলার রায় ঘোষণার জন্য ৩১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। এ দিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত ১৩ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন। এদিন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মামলাটি রায় ঘোষণা থেকে উত্তোলন করে পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণ নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৫ এপ্রিল মামলার সাক্ষ্যগ্রহণে নতুন দিন ধার্য করেন। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, আগামী পহেলা বৈশাখের আগে মামলাটি নিষ্পত্তি করা হবে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক দীপক কুমার দাস। প্রতিবেদনে আসামি খুঁজে না পাওয়ার কথা বলা হয়। তবে ওই প্রতিবেদন গ্রহণ না করে মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার। ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক ব্যবসায়ী কামালকে একমাত্র আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ১৯ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, তদন্তে আট লাঞ্ছনাকারীর মধ্যে একজনকে খুঁজে পাওয়া গেছে। অন্য সাতজনকে খুঁজে না পাওয়ায় তাদের চার্জশিটে নাম অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাদের খুঁজে পাওয়া গেলে সম্পূরক চার্জশিট দেওয়া হবে। এ মামলায় ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়। বর্তমানে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম চলছে। এ মামলার একমাত্র আসামি কামাল জামিনে রয়েছেন। এ বিষয়ে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বাংলা নববর্ষের উৎসবে নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় করা মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত করে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। তবে মামলাটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী বাদ পড়ায় আমরা রায় ঘোষণা থেকে উত্তোলন করে আবার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আবেদন করি। আদালত ন্যায়বিচারের স্বার্থে মামলাটির পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ঠিক করেন। তিনি আরও বলেন, মামলাটিতে কিছু পুলিশ সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আসেননি। তাদের সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সমন জারি করা হবে। তারা সাক্ষ্য দিলে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষ করা হবে। আশা করছি, দ্রুতসময়ের মধ্যে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষ করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল টিএসসিতে নারীদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। এসময় সেই নারীদের বাঁচাতে গেলে নিপীড়কদের আঘাতে হাত ভাঙে তৎকালীন ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি লিটন নন্দী। আহত হন ছাত্র ইউনিয়নের আরও দুই নেতা। পরে ছাত্র ইউনিয়ন নেতারা বারবার অভিযোগ করলেও পুলিশ প্রথমে স্বীকার করেনি। পরে ফুটেজ দেখে ঘটনার সত্যতা পায় পুলিশ।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০৯

ভাই হত্যার বিচার চাইলেন শাহনূর
ঢাকাই সিনেমার নায়িকা শাহনূর ভাই হত্যার বিচার চেয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তার দাবি আসামিরা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি সহযোগিতা পাচ্ছেন না।    শাহনূর পোস্টে লেখেন, আমার আপন খালাতো ভাই আলিফ হত্যার সঠিক বিচার আমরা পাইনি। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী এবং শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক ভাইয়েরা কেউ সহযোগিতা করতে পারেননি। আসামিরা দিব্যি বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই আছে। এটা আমাদের সমাজের এবং জাতির কাছে লজ্জাজনক ব্যাপার। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে শাহানূরের খালাতো ভাই আলিফকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। সেসময় বিচারের দাবিতে শাহনূর একাধিক পোস্ট করেন।  শাহনূর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী ১৯ এপ্রিল সংগঠনটির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মিশা-ডিপজলের প্যানেল থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। 
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৭

এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড, পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি বিচার
দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। কালো ধোঁয়ায় অন্ধকারচ্ছন্ন চারপাশ। ২২তলা ভবনটিতে থাকা মানুষের আত্মচিৎকার ও বাঁচার প্রাণপণ চেষ্টা। অনেকে সুউচ্চ ভবনটির কাঁচের দেয়াল বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ হাত ফসকে নিচে পড়ে মারাত্মক আহত হচ্ছেন। খবর পেয়ে মুহূর্তেই ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সংস্থার জরুরি কর্মীরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টার থেকেও পানি ছিটানো হয়। কিন্তু কিছুতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসছে না। আগুন থেকে রক্ষা পেতে অনেকে লাফিয়ে নিচে পড়ছেন। শুনে মনে হতে পারে এটি কোনো হলিউড বা বলিউড সিনেমার দৃশ্য। কিন্তু না এটি কোনো সিনেমার দৃশ্য নয়। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ এমনই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল রাজধানী ঢাকার বনানীর ফারুক-রূপায়ন (এফআর) টাওয়ারে। ভয়াবহ সেই অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জন প্রাণ হারান। এ ছাড়া অনেকে প্রাণে বেঁচে গেলেও পোড়া ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন। পাঁচ বছর পূর্ণ হলেও অগ্নিকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলার বিচারকাজ এখনও শেষ হয়নি।  বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় ওই বছরের ৩০ মার্চ বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মিল্টন দত্ত একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে এস এম এইচ আই ফারুক, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ও তাসভীরুল ইসলামকে আসামি করা হয়। অন্যদিকে নকশা জালিয়াতির অভিযোগে অপর মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পুলিশের মামলার অভিযোগে বলা হয়, ভবনটির জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক। টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভিরুল ইসলাম, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ওরফে মুকুল এবং এফ আর টাওয়ার বিল্ডিং ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা অসৎ উদ্দেশ্যে আর্থিক সুবিধার লোভে নির্মাণ বিধিমালা না মানায় এফআর টাওয়ারে এই মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর পুলিশের দায়ের করা মামলটিতে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জশিটে এস এম এইচ আই ফারুক, তাজভীরুল ইসলাম, সেলিম উল্লাহ, এ এ মনিরুজ্জামান, সৈয়দ আমিনুর রহমান, ওয়ারদা ইকবাল, কাজী মাহমুদুন নবী ও রফিকুল ইসলামকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খানকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক সমীর চন্দ্র সূত্রধর। পরে মামলাটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত না হওয়ায় পিবিআইকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন ঢাকার সিএমএম আদালত। পরবর্তীতে গত ২২ জানুয়ারি একই আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রফিকুল ইসলাম।  পিবিআইয়ের চার্জশিট থেকেও লিয়াকত আলী খান মুকুলকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত ৮ আসামির বিরুদ্ধে পিবিআইয়ের চার্জশিট গ্রহণ করেন। সবশেষ গত ১২ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত বিচারের জন্য মামলার নথি সিএমএম বরাবর পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু গণমাধ্যমকে বলেন, মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। চার্জ গঠন করে বিচার শুরু হবে। আমরা চেষ্টা করবো সাক্ষীদের হাজির করে যতদ্রুত সম্ভব মামলার বিচারকাজ শেষ করার। অন্যদিকে এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর নকশা জালিয়াতির অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৫ জুন দুদকের উপপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক বাদী হয়ে পৃথক মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ইমারত বিধিমালা লঙ্ঘন এবং নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ তলাবিশিষ্ট এফ আর টাওয়ার নির্মাণ করেন। ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুসারে ভবনের দুই পাশে যে পরিমাণ জায়গা রাখার কথা তা–ও রাখা হয়নি। এ ছাড়া আবাসিক ভবন হিসেবে অনুমোদন নেওয়া হলেও পুরো ভবনটি ব্যবহার করা হয়েছে বাণিজ্যিক কাজে। নকশা জালিয়াতির মামলায় ভবন মালিক ও নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলসহ ৪ জনের বিচার চলছে। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। মামলার অপর আসামিরা হলেন, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ূন খাদেম, রূপায়ন গ্রুপের কর্ণধার লিয়াকত আলী খান মুকুল ও রাজউকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়