• ঢাকা শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সরকারি হাসপাতালে অবৈধ ফার্মেসি-ক্যান্টিন বন্ধের নির্দেশ
সরকারি হাসপাতালে অবৈধভাবে তৈরি করা ক্যান্টিন ও ফার্মেসি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।  এতে বলা হয়, দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর, জেনারেল হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে অবস্থিত অবৈধ, অনুমোদনবিহীন, ইজারার মেয়াদোত্তীর্ণ ফার্মেসি, ক্যান্টিন বা ক্যাফেটেরিয়ার কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে যদি সরকারি বকেয়া পাওনাদি থাকে তবে তা আদায় করে অপসারণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। এ ছাড়া হাসপাতালের ভেতরে নতুনভাবে কোনো ফার্মেসি, ক্যান্টিন বা ক্যাফেটেরিয়া স্থাপনের অনুমতি দেওয়া যাবে না। এরই মধ্যে স্থাপিত ফার্মেসি-ক্যান্টিনের অনুমোদন নবায়ন না করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে

বিএটির নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধের দাবিতে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন
ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বগুড়া জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন।  বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১১টায় বগুড়া কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা। তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো, বঙ্গবন্ধুর আমলে বিড়ি শিল্পে কোনো শুল্ক ছিল না, তাই চলতি বাজেটে বিড়ি শিল্পে উপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার, বিড়ির অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, বিড়ি শিল্পের শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি এবং নকল বিড়ি বাজারজাত বন্ধে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। মানববন্ধন শেষে বগুড়া কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের সহকারী কমিশনারের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর পাঁচ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।  মানববন্ধনে শ্রমিকরা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিড়ি শিল্পের মালিকদের অবদান অপরিসীম। তারা এ দেশে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। অথচ বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি ও দেশের কিছু এনজিও এই শিল্পকে ধ্বংস করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বর্তমানে নিম্নস্তরের সিগারেট টোব্যাকো মার্কেটের ৭৫ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ দখল করে আছে। এসব নিম্নস্তরের সিগারেট ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির। সুতরাং দেশীয় শ্রমঘন বিড়ি শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষার্থে এই দেশে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, সিগারেট ও বিড়ি একই গোত্রভূক্ত হওয়া সত্ত্বেও দুটোর মাঝে বৈষম্য বিরাজ করছে এবং বিড়িকে অসম প্রতিযোগিতায় বাধ্য করা হচ্ছে। আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী বিড়িতে অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ আর সিগারেটে ৩ শতাংশ। বিড়ি দেশীয় শ্রমিক নির্ভর শিল্প হিসেবে বিড়ির অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে। একইসঙ্গে বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে। এ ছাড়া কতিপয় অসাধু বিড়ি ব্যবসায়ী বিড়ি শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে নকল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে কোটি কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। এতে একদিকে সরকার বছরে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। আর অন্যদিকে প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি শিল্প মালিকরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নকল বিড়ি বাজারজাত বন্ধে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সহসভাপতি নাজিম উদ্দিন, লুৎফর রহমান, আনোয়ার হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর, আবুল হাসনাত লাভলু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান, শ্রমিক নেতা সোহেল রানা এবং জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
০৯ মে ২০২৪, ১৪:০৭

সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট
পরিবেশ রক্ষায় ঢাকাসহ সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধে রিট আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে অতি প্রয়োজনে গাছ কাটার অনুমতি প্রদানে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে। সাম্প্রতিক সময়ে তাপমাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে মর্মে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে রোববার (৫ মে) জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এ রিট দায়ের করে। রিটে বিবাদীরা হলেন কেবিনেট বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্যসচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি), ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বন সংরক্ষক, সড়ক মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)। এইচআরপিবি’র পক্ষে রিট পিটিশনার হলেন অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মো. এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ। রিটের বিষয়ে সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলেন, সম্প্রতি তাপমাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে মর্মে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে এইচআরপিবি এ রিট পিটিশন দায়ের করে। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট পিটিশনটি সোমবার (৬ মে) শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি। রিটে এইচআরপিবি’র পক্ষে দাবি করা হয়, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার তা দিন দিন কমছে এবং সম্প্রতি তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। যে কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অন্যদিকে সামাজিক বনায়ন চুক্তিতে সারাদেশে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে, যা বন্ধ না হলে দেশে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে এবং মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রিটে যেসব নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে: ১. গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে সাত দিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশ বিজ্ঞানী, প্রফেসর, পরিবেশ বিজ্ঞান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর পরিবেশ বিজ্ঞান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে একটি সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন, যারা প্রয়োজনে ঢাকা শহরে গাছ কাটার অনুমতি প্রদান করবে। ২. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাত দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না। ৩. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাত দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার ইস্যু করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে; কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজকল্যাণ অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব ল্যান্ড এবং এলজিইডি এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারে সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না। ৪. কমিটি গঠন হওয়ার আগ পর্যন্ত সব বিবাদী নিজ নিজ এলাকায় যেন কোনো গাছ কাটা না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ চাওয়া হয় এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দাখিল নির্দেশনা চাওয়া হয়। ৫. গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪ এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ দেওয়ার বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না সে মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।
০৫ মে ২০২৪, ১৭:৫৫

আমদানি বন্ধের অজুহাতে হিলিতে বেড়েই চলেছে দেশি পেঁয়াজের দাম
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের কারণে দিনাজপুরের হিলিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ২০ টাকা বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। আমদানি বন্ধের কারণে মোকামগুলোতে কৃষকরা সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধি করেছে বলে অভিযোগ খুচরা ব্যবসায়ীদের। দ্রুত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির দাবি সাধারণ ক্রেতাদের। শনিবার (৪ মে) সকালে হিলির বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়। হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মিজানুর রহমান বলেন, আমার একটি হোটেল আছে। সেই খাবার হোটেলে বিভিন্ন রান্না করতে প্রতিদিন তার ৫ কেজি পেঁয়াজের প্রয়োজন হয়। হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাকে। কারণ, পর্যাপ্ত পেঁয়াজ দিয়ে রান্না করতে পারছেন না তারা। যদি পেঁয়াজের দাম কমতো তাহলে হোটেল মালিকদের অনেক সুবিধা হতো। সেই সঙ্গে তিনি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনুরোধ জানান।  হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল মাহমুদ বলেন, প্রতিদিনই মোকামে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ, কৃষকরা এখন পেঁয়াজ সিন্ডিকেট করে বিক্রি করছেন। প্রায় সব পেঁয়াজ শুকনো যার ফলে তারা বেশি দিনে স্টক করে রাখছেন। এতে করে মোকামে বৃদ্ধি পেয়েছে দেশি পেঁয়াজের। যদি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয় তাহলে দেশি পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কমে যাবে। পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ার কারণে আগের থেকে ক্রেতা অনেকটাই কমে গেছে। যার ফলে বিক্রিও অনেক কম হচ্ছে। 
০৪ মে ২০২৪, ১২:৫৭

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দ্বিতীয় দিন, হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা এবং হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলেও তা মানছেন না বেশিরভাগ শিক্ষার্থী। তবে প্রশাসনের দেওয়া ৫টি বাসে করে কিছু শিক্ষার্থী হল ছেড়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে অনেকেই প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে রয়ে গেছেন আবাসিক হল গুলোতে।  বৃহস্পতিবার (২ মে) দ্বিতীয় দিনের মতো হল ও ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন তারা। শিক্ষার্থীরা জানান, প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ায় শিক্ষার্থী বাধ্য হয়েই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। হলে থাকা শিক্ষার্থীদের দাবি, শিক্ষক দ্বন্দ্বের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কোন ভাবেই বন্ধ থাকতে পারে না। এদিকে, মঙ্গলবার সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। হল ছাড়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ও হল খোলা রাখার দাবিতে আন্দোলন ও বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জানান, খুব শীঘ্রই আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে, বুধবার (১ মে) সকাল থেকে দলে দলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে তারা কেন ভোগান্তির শিকার হবেন, সেই প্রশ্ন তোলেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থী সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, হল বন্ধ হলেও শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করলেও তাদের বেরিয়ে যেতে বাধ্য করা হবে না। পাশাপাশি উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্ব নিরসনে তারা কাজ করবেন। মানববন্ধনে অংশে নেওয়া নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা হল ছেড়ে কোথাও যাবো না, আমাদের ক্লাস ও পরীক্ষা চালু করতে হবে। ভিসি ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে আমরা কেনো বলির পাঠা হবো, আমরা এসব নাটকের প্রতিকার চায়। এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ভিসি-শিক্ষক সমিতির চলমান দ্বন্দ্বে নিরসনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয় চলমান সংকট নিরসনের জন্য জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
০২ মে ২০২৪, ১৫:৪০

খেয়াল-খুশিমতো ওষুধের দাম বাড়ানো বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
খেয়াল-খুশিমতো ওষুধের দাম বাড়ানো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওষুধ কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে। এ সময় আদালত ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোকে অনুমোদনহীন কাঁচামাল আমদানি বন্ধে নির্দেশ দেন। এমনকি, অনুমোদন ছাড়া বিদেশি ওষুধ বিক্রি বন্ধের নির্দেশও দেন আদালত। স্বাস্থ্য সচিব, ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালককে এই আদেশ বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।   এ-সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে সোমবার (২৯ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।  ‘স্বেচ্ছাচারী ও আইনবহির্ভূতভাবে’ কোম্পানিগুলোর ওষুধের দাম বৃদ্ধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে ক্যাব। রিটে যেসব কোম্পানির ওষুধের দাম ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট-২০২৩-এর ৩০ ধারা অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়নি, সেগুলোর কাঁচামাল আমদানি ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩৪

ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধের হুঁশিয়ারি মেটার
তথ্য-প্রযুক্তি খাতে ২০২১ সালের এক আইন কার্যকর করতে চাইছে ভারত সরকার। সে আইন অনুসারে হোয়াটসঅ্যাপকে তার এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন নীতি ভঙ্গ করে ইউজারদের তথ্য ও তাদের বার্তাগুলো দিতে বলা হয়েছে সরকারকে। কিন্তু ভারত সরকারের এ নির্দেশনা মানতে রাজি নয় হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। আর তাই তারা আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে দ্বারস্ত হয়েছে আদালতের।  দিল্লি হাইকোর্টে মেটার মুখপাত্র তেজস করিয়া স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, আমাদের যদি এনক্রিপশন ভাঙতে বলা হয় তাহলে হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করতে হবে। কারণ, মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে শুধুমাত্র তার গোপনীয়তা নীতির জন্য।  প্রসঙ্গত এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন হলো এমন একটি প্রাইভেসি ফিচার যা অনেক বছর ধরেই হোয়াটসঅ্যাপ তার ব্যবহারকারীদের দিয়ে আসছে। এটির সুবিধা হল প্রেরক বা সেন্ডার যা পাঠাচ্ছেন তিনি এবং যিনি রিসিভ করছেন অর্থাৎ প্রাপক- এ দুজন ছাড়া আর কেউ জানতে পারবে না। সেটা মেসেজই হোক কিংবা ছবিই হোক। হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসিতেও এই ফিচারের উল্লেখ করা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ভারত সরকারের নতুন আইটি নিয়মে হোয়াটসঅ্যাপকে চ্যাটগুলো ট্রেস করতে এবং বার্তাগুলো যারা পাঠিয়েছেন তাদের শনাক্ত করতে বলা হয়েছে। কিন্তু এটি তাদের প্রাইভেসি পলিসি বা এনক্রিপশন ব্যবস্থাকে দুর্বল করে। পাশাপাশি ভারতীয় সংবিধানের অধীনে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা নীতি লঙ্ঘন করে। তাই তারা এই এনক্রিপশন ভাঙতে পারবে না। কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি হচ্ছে, অনলাইন সুরক্ষা নিশ্চিতে এবং ক্ষতিকর কনটেন্ট রুখতে মূল ব্যক্তিকে শনাক্ত করা জরুরি। যারা সমাজে ভুয়া তথ্য ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে তাদের চিহ্নিত করা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলোর দায়িত্ব। সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ট্রেস করার জন্য কিছু মেকানিজম বা প্রযুক্তি আনা উচিত। তবে বিষয়টির জটিলতা বুঝতে পেরে প্রাইভেসি ও শনাক্তকরণের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার কথা জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, হোয়াটসঅ্যাপের সবচেয়ে বড় বাজার ভারত। ফেসবুক মালিকাধীন এই অ্যাপের ৯০ কোটির বেশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী রয়েছে ভারতে। সুতরাং, দেশটিতে যদি অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এটা একটা বড় ঘটনা হবে। অবশ্য, ভারতের বাজার ছাড়ার ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি মেটার পক্ষ থেকে। 
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩১

যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধের শর্তেই জিম্মিদের ফিরিয়ে দিবে হামাস
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েল যদি তাদের কোনো জিম্মিকে ফিরিয়ে নিতে চায় তাহলে যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ হবে। এক্ষেত্রে অন্য কোনো শর্ত মানা হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের চাপেও কোনো কাজ হবে না। খবর রয়টার্সের। হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, আমাদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কোনো মূল্য নেই। বুধবার (২৪ এপ্রিল) হামাস হার্স গোল্ডবার্গ-পোলিন নামের এক ইসরায়েলি-আমেরিকান জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করে। এরপর জিম্মিদের ছেড়ে দিতে হামাসের ওপর চাপ দেওয়া শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ১৮টি দেশের সঙ্গে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেনের বিবৃতির পরই যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কোনো মূল্য তাদের কাছে নেই বলে জানিয়েছে হামাস। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে দখলদার ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হয়। ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১ লাখ মানুষ। নিহতদের অধিকাংশ শিশু ও নারী। ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর দিন ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালিয়ে ২৫০ জনকে গাজায় ধরে নিয়ে আসে হামাস। এরমধ্যে ১০৫ জনকে গত বছরের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহের দিকে হওয়া এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির সময় ছেড়ে দেয় তারা। বুধবার আমেরিকান-ইসরায়েলি জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করা হয় তখন থেকেই ফের জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি আলোচনায় আসে।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৪

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি
টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে রোববার (২১ এপ্রিল) খুলছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতদিন পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর, বাংলা নববর্ষসহ বিভিন্ন ছুটি চলছিল। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে, এরই মধ্যে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলুর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষজনকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এরমধ্যে স্কুল-কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা আগামী ৭ দিনের জন্য বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছেন অভিভাবকরা। প্রসঙ্গত, এ বছর শিখন ঘাটতি পূরণে মাধ্যমিকে ১৫ দিন ছুটি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রমজানের শুরুতে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস হয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। অন্যদিকে, রমজানের প্রথম ১০ দিন ক্লাস চালু ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। একইভাবে সব কলেজ ও মাদরাসায়ও ছুটি কমিয়ে রমজানের শুরুর দিকে প্রায় দুই সপ্তাহ ক্লাস হয়। ছুটি শেষে রোববার থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৩

বাংলাদেশসহ ২৮ দেশের ভোটে ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের প্রস্তাব পাস
ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষ থেকে উত্থাপিত এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে ৪৭ সদস্যদেশের মধ্যে বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশ। শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) পাস হওয়া এই প্রস্তাবে ফিলিস্তিনের গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বানও জানানো হয়েছে। জানা গেছে, ওআইসি পক্ষে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাবটি তুলেছিল পাকিস্তান। বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশের ভোটে পাস হয় প্রস্তাবটি। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ ৬টি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল। আর ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ভারত ও ফ্রান্সসহ ১৩টি দেশ। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় ৬ মাস ধরে হামাস নির্মূলের নামে গাজায় নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। দখলদার রাষ্ট্রটির সেনাবাহিনীর অব্যাহত অভিযান ও হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে অবরুদ্ধ উপত্যকাটি। এরই মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মানবিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হলেও তা মানছেনই না বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার মন্ত্রিপরিষদ।   এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার বৈঠকে বসে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ। এ সময় গাজায় সম্ভব্য যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ইসরায়েলের জবাবদিহি চাওয়া হয়। সেইসঙ্গে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করারও দাবি জানায় সংস্থাটি। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, গাজায় ৭ অক্টোবর থেকে অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন চলছে। ছয় মাস ধরে নজিরবিহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাব পাস হলেও এই সিদ্ধান্ত মানার ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে, প্রতীকি অর্থে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবারই প্রথমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই অবস্থান নিয়েছে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই মানবাধিকার পরিষদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে আসছে তেল আবিব। অন্যদিকে, গাজায় আগ্রাসন চালানোর ক্ষেত্রে বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহায়তা পাচ্ছে ইসরায়েল। এ অবস্থায় গত ফেব্রুয়ারিতে তেল আবিবে অস্ত্র রপ্তানি অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানায় জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। এরপরও ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের অন্যান্য মিত্ররা। প্রস্তাবের পক্ষে এবং ইসরায়েলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে যেসব দেশ: বাংলাদেশ, আলজেরিয়া, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, বুরুন্ডি, চিলি, চীন, আইভরি কোস্ট, কিউবা, ইরিত্রিয়া, ফিনল্যান্ড, গাম্বিয়া, ঘানা, হন্ডুরাস, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, কুয়েত, কিরগিজস্তান, লুক্সেমবার্গ, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মরক্কো, কাতার, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুদান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভিয়েতনাম। প্রস্তাবের বিপক্ষে ও ইসরায়েলের পক্ষে ভোটদানকারী ছয় দেশ:  আর্জেন্টিনা, বুলগেরিয়া, জার্মানি, মালাউই, প্যারাগুয়ে ও যুক্তরাষ্ট্র। ভোটদানে বিরত থাকা ১৩ দেশ:  আলবেনিয়া, বুলগেরিয়া, ক্যামেরুন, কোস্টারিকা, ডোমিনিকান রিপাবলিক, ফ্রান্স, জর্জিয়া, ভারত, জাপান, লিথুয়ানিয়া, মন্টিনিগ্রো, নেদারল্যান্ডস ও রোমানিয়া।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়