• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফ্লাইওভার থেকে ৫০ যাত্রী নিয়ে পড়ে গেল বাস, নিহত ৫ 
ভারতের উড়িষ্যায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফ্লাইওভার থেকে নিচে পড়ে গেছে একটি বাস। এতে এক নারীসহ পাঁচজন জন নিহত হয়েছেন। সেইসঙ্গে আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে উড়িষ্যার পুরী থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল বাসটি। পথিমধ্যে জাজপুর জেলার বারাবতীর কাছে জাতীয় সড়ক-১৬ ওপরে একটি ফ্লাইওভারে ওঠার সময় বাসটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাসটিতে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।  প্রতিবেদনে জানা গেছে, ফ্লাইওভারে ওঠার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ৫০ জন যাত্রীসহ ফ্লাইওভার থেকে সোজা নিচে পড়ে যায় বাসটি। সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশের লোকজন জড়ো হন সেখানে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ ও দমকল বাহিনী। এরপর স্থানীয়দের সহযোগীতায় উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেন তারা। আহতদের ১০টি অ্যাম্বুলেন্সে স্থানীয় ধর্মশালা হাসপাতালে পাঠানো হয়।  উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, আহত অবস্থায় ৫০ জনকে উদ্ধার করে ধর্মশালা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ৫ জনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ৪০ জন। তাদেরকে কটকের এসসিবি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। গুরুতর আহত এই ৪০ জনের মধ্যে ৩০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে এসসিবি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র।  এদিকে এ দুর্ঘটনায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শোক প্রকাশ করেছেন উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। সেখানে তিনি লিখেছেন, জাজপুর জেলার বারবাটি এলাকার যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনার খবরে আমি ব্যথিত। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৪

‘বিআরটি প্রকল্পের সাত ফ্লাইওভার প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার’
গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের (বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট) সাতটি ফ্লাইওভারের উদ্বোধনের পর সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের জন্য এই সাতটি ফ্লাইওভার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার।  রোববার (২৪ মার্চ) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভিডিও কানফারেন্সের মাধ্যমে তিনি ফ্লাইওভারগুলোর উদ্বোধন করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, এই সাতটি ফ্লাইওভার দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে। ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের জন্য এই সাতটি ফ্লাইওভার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার। এ প্রকল্প নির্মাণে বিলম্ব হয়েছে। যথাসময়ে শেষ করা সম্ভব হয়নি। এটি বাস্তবায়নে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটেছে। তারপরও দেরিতে হলেও কাজটি শেষ হওয়ার পথে। মন্ত্রী বলেন, এখন থেকে এই ফ্লাইওভারগুলো দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে। যার মধ্যে রয়েছে ৩২৩ মিটার এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (বাঁ-পাশ), ৩২৩ মিটার এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (ডান-পাশ), ১৮০ মিটার জসীমউদ্‌দীন ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার ইউ-টার্ন-১ গাজীপুরা ফ্লাইওভার, ১৬৫ মিটার ইউ-টার্ন-২ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ফ্লাইওভার, ২৪০ মিটার ভোগড়া ফ্লাইওভার এবং গাজীপুরের চৌরাস্তায় ৫৬৮ মিটার ফ্লাইওভার। ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে কি না জানতে চাইলে কাদের বলেন, ঈদযাত্রার বিষয়ে আমরা সভা করেছি। ট্রাক-ভারী পরিবহন বন্ধ রাখা আগে ও পরে, সেটির সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার যেটি কাজ, সেটি তারা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাতে যানজট দূর করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। গাজীপুর কিছুটা সমস্যার কারণ ছিল। কিন্তু সেটির এবার আরও সমাধান হয়ে গেলো। এবার ঈদযাত্রা পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক হবে। যানজট কেন কমছে না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যানজট নিরসনে সিগন্যাল সিস্টেমটা জরুরি। প্রধানমন্ত্রীও এটি বলেছেন। সিগন্যাল সিস্টেমটা চালু হলে যানজট নিরসনে এটির ভূমিকা থাকবে। গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট— প্রকল্পের (বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট) আওতায় উড়াল সড়ক তৈরি হচ্ছে গাজীপুর থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ উত্তরা হাউজ বিল্ডিং থেকে টঙ্গী চেরাগ আলী মার্কেট পর্যন্ত এলাকার সড়কের কাজ করছে। বাকিটা হচ্ছে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে। ঢাকার সঙ্গে গাজীপুরের যোগাযোগে মানুষের ভোগান্তি দূর করতে শুরুতে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল চার বছরের মধ্যে, যদিও তা গড়িয়েছে ১২ বছরে। প্রকল্পের সময় আর অর্থ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে মানুষের ভোগান্তিও বেড়েছে অনেক। ২০১১ সালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক প্রকল্পের প্রাথমিক সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করে। ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর একনেকে বিআরটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। শুরুতে ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। এরপর কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছিল। প্রকল্পের সবশেষ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। শুরুতে প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ছিল চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত। কিন্তু পরে সময় বৃদ্ধি করে প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো হলেও পথ ছোট করে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে কেরানীগঞ্জের পরিবর্তে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত করা হয়।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৫

যেদিন থেকে বাণিজ্যমেলা শুরু
পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার এবারের আসর আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা হায়দার আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করবেন। পূর্বাচলে বিবিসিএফইসিতে মাসব্যাপী চলবে এ মেলা। ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকায় এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। রীতি অনুযায়ী, নতুন বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি মেলা শুরু হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকার শেরে বাংলা নগরে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। অবশ্য মহামারি করোনার কারণে ২০২১ সালে এ মেলা হয়নি। ২০২২ সালে মেলার ভেন্যু পরিবর্তন হয়ে পূর্বাচলে চলে যায়। মেলার স্থায়ী ঠিকানা পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার (বিবিসিএফইসি)। রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভার এলাকা থেকে ১৪ কিলোমিটার পূর্বদিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। এখানেই ২০২৩ সালেও ১ জানুয়ারি বাণিজ্যমেলা শুরু হয়। তবে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে ২০২৪ সালের বাণিজ্যমেলা ১ জানুয়ারি আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। ইপিবি বলছে, এবারের বাণিজ্য মেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ অংশ নেবে। পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশীয় পণ্য রপ্তানির বড় বাজার খোঁজার লক্ষ্য রয়েছে।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়