• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এমভি আবদুল্লাহর ওপর সতর্ক নজর রাখছে ভারতীয় নৌবাহিনী
ভারতীয় নৌপ্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার বলেছেন, সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ওপর ভারতীয় নৌবাহিনী সতর্ক নজর রাখছে। শনিবার (২৩ মার্চ) দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। রোববার (২৪ মার্চ) ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় নৌবাহিনী নিরাপদ এবং আরও সুরক্ষিত ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিশ্চিত করার জন্য ‘ইতিবাচক পদক্ষেপ’ নেবে বলে বাহিনীটির প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার জানিয়েছেন। গত ১০০ দিনে দেশটির নৌবাহিনীর গৃহীত জলদস্যুতা বিরোধী এবং অন্যান্য সামুদ্রিক নিরাপত্তা অভিযানের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে শনিবার তিনি একথা বলেন। অ্যাডমিরাল কুমার বলেন, ‘আপনারা যেমন জানেন, এমভি আবদুল্লাহ নামের একটি জাহাজ হাইজ্যাক করে সোমালিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাই আমরা এখন এটির ওপর সতর্ক নজর রাখছি। মূলত এটিকে এখন জলদস্যু জাহাজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে নাকি (অন্যকোনও জাহাজ ছিনতাইয়ের জন্য এটিকে) জলদস্যুদের মাদার জাহাজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। তাই, সোমালি জলসীমায় চলাচলকারী জাহাজগুলোর ওপর আরও ঘনিষ্ঠ নজরদারি করতে চলেছি আমরা।’ সামুদ্রিক নিরাপত্তা অভিযানের অংশ হিসেবে ভারতের নৌবাহিনী জলদস্যুতা বিরোধী, ক্ষেপণাস্ত্র বিরোধী এবং ড্রোন বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে দেশটির নৌবাহিনীর কর্মকর্তার পিপিটি প্রেজেন্টেশনে দেওয়া তথ্য অনুসারে, ‘অপারেশন সংকল্প’-এর এসব অভিযানে ১১০ জনের মধ্যে ৪৫ জন ভারতীয় এবং ৬৫ জন বিদেশি নাগরিকের প্রাণ রক্ষা করা হয়েছে। প্রেজেন্টেশনে আরও উল্লেখ করা হয়, গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৫৭টি ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলাসহ ৯০টিরও বেশি সামুদ্রিক ঘটনা ঘটেছে; এছাড়া জলদস্যুতা, ছিনতাই বা সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডসহ ৩৯টি ঘটনা ঘটেছে। এর আগের দিন সোমালিয়ার উপকূলে সাম্প্রতিক অভিযানে ধরা পড়া ৩৫ জন জলদস্যুকে নিয়ে আইএনএস কলকাতা মুম্বাই পৌঁছায় বলে নৌবাহিনী জানিয়েছে। এই জলদস্যুদের বিরুদ্ধে ভারতীয় আইন বিশেষ করে মেরিটাইম অ্যান্টি-পাইরেসি অ্যাক্ট, ২০২২-এর অধীনে আরও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুম্বাই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ দুপুরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে নাবিক ও ক্রুসহ জাহাজটিতে ২৩ জন বাংলাদেশি রয়েছেন। বন্ধ করে দেওয়া হয় জাহাজের ইন্টারনেট সংযোগও। ছিনিয়ে নেওয়া হয় নাবিকদের কাছে থাকা মোবাইল, সঙ্গে থাকা ডলার।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১২:৫০

রমজানে যানজট নিরসনে বিশেষ নজর দিতে হবে : ডিএমপি কমিশনার
রমজানে যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগকে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন ঢাকা মট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। শনিবার (২৩ মার্চ) রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, রমজানে ট্রাফিক ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত বেশ ভালো। এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে। এরই মধ্যে ট্রাফিক বিভাগের অফিসারদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ট্রাফিকের সিনিয়র অফিসারদের পাশাপাশি ক্রাইম বিভাগের অফিসারদেরও দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ সময় সড়ক ও যানবাহনে তৃতীয় লিঙ্গের কেউ চাঁদাবাজি করলেই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে হুঁশিয়ার করেন ডিএমপি কমিশনার হাবিব। তিনি বলেন, সম্প্রতি শেরেবাংলা নগরের একটি ঘটনায় তৃতীয় লিঙ্গের একজনের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তৃতীয় লিঙ্গের বিভিন্ন সদস্যের নামে বিভিন্ন ধরনের চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এসব অভিযোগের আলোকে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে ডিএমপি সব ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানান হাবিবুর রহমান। সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপপুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৫

রাজধানীর রেস্টুরেন্টে নজর রাখছে গোয়েন্দা পুলিশ : ডিবিপ্রধান
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশর (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, রাজধানীর বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও নজর রাখছে। যেসব রেস্টুরেন্টে অগ্নিঝুঁকি রয়েছে, নিরাপত্তা নেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান। ডিবিপ্রধান বলেন, গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে নিহতের তালিকায় একজন পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে বুয়েটের শিক্ষার্থী রয়েছেন। এই এক আগুনে কত মায়ের কোল খালি হয়েছে। যার সন্তান মারা যায় সেই শোক বোঝেন। হারুন অর রশীদ বলেন, মানুষ মারা যাওয়ার পর শোক করি, কান্না করি, জ্ঞান দেই। আসলে প্রতিটি সংস্থার যে দায়িত্ব আছে, সেগুলো যদি পালন করতাম, তাহলে এমন ঘটনা ঘটতো না। তাই আমরা প্রতিটি রেস্টুরেন্টে খোঁজ নিচ্ছি। ডিবিপ্রধান আরও বলেন, ঢাকা শহরে এমন কোনো রেস্টুরেন্ট আছে কি না যেগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তা মানা হচ্ছে না, দ্রুত বের হওয়ার রাস্তা আছে কি না, বাতাস চলাচলের রাস্তা আছে কি না- আমরা সবকিছুর খোঁজ নিচ্ছি। কোনো অনিয়ম পেলে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো। আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এমন দুর্ঘটনার পেছনে গাফিলতি থাকেই। ঘটনা ঘটার পর আমরা গাফিলতি খুঁজি। নিয়মকানুন না মেনে যত্রতত্রভাবে ভবন বানানো হচ্ছে। এসব ভবনের খোঁজখবর যদি আগে থেকে নিয়ে রাখা হতো তাহলে এমন ঘটনা ঘটতো না। বঙ্গবাজার, নিমতলী, বনানীর এফ আর টাওয়ারে মতো এমন ঘটনা বারবার ঘটতো না।  
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৮:২৩

রমজানে বাজারে নজর রাখতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটা সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে উন্নয়নটা টেকসই হয় না, এটায় প্রমাণিত। আমরা চাই, আমাদের দেশ এগিয়ে যাক, এটাই আমাদের লক্ষ্য। সমালোচকরা শুধু তাৎক্ষনিক নিজেদের সুবিধা চায়। জনগণের কল্যাণের কথা আমাদের চেয়ে ভালো কেউ জানে না। কে কি বললো তা না শুনে প্রতিটি প্রকল্প গ্রহণের সময় সাধারণ মানুষ ও দেশের উপকারের কথা বিবেচনা করতে হবে। রোববার (৩ মার্চ) সকালে নিজ কার্যালয়ের শাপলা হলে ডিসি সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি ডিসিদের এই আহ্বান জানান।  জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজানে বাজারের দিকে নজর দিতে হবে, যেন ভোক্তারা হয়রানির শিকার না হয়। নিত্যপণ্য যেন সহজে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মজুতদারদের ঠেকাতে এবং খাদ্যে ভেজাল বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। রোজায় কেউ যেন পণ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।     এসময় তিনি জনগণের সেবার কথা মাথায় রাখতে জেলা প্রশাসকদের তাগিদ দিয়েছেন। কিশোর গ্যাংয়ের বিষয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নজর দিতে হবে যেন কেউ এ পথে না যায়। যুবসমাজকে দেশের ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।  এ বছর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ৩৫৬টি প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা। গত বছর এই প্রস্তাবের সংখ্যা ছিল ২৪৫। জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনাররা এ প্রস্তাব দিয়েছেন। এ সম্মেলনে মোট ৩০টি অধিবেশন হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্য অধিবেশন ২৫টি। শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোতে জনসেবা বাড়ানো, জনদুর্ভোগ কমানো, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনের বিকাশ, আইন-কানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাজানো হয়েছে। বেশি প্রস্তাব সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সংক্রান্ত। এ সংক্রান্ত মোট প্রস্তাব ২২টি পাওয়া গেছে।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:০১

ঝলমলে শাড়িতে বাফটার মঞ্চে নজর কাড়লেন দীপিকা
বলিউড অভিনেত্রী  দীপিকা পাডুকোন। বলিউডের পাশাপাশি কাজ করেছেন হলিউড সিনেমাতেও। গেল বছর অস্কারের পর এবার বাফটার মঞ্চে হাজির হয়েছেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি)  সন্ধ্যায় লন্ডনের রয়্যাল ফেস্টিভ্যাল হলে আয়োজিত হয় দ্য ব্রিটিশ একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস (বাফটা) অ্যাওয়ার্ডসের ৭৭তম আসর। এবারের আসরে অ-ইংরেজি ভাষার সেরা চলচ্চিত্র (বেস্ট ফিল্ম নট ইন ইংলিশ ক্যাটাগরি) পুরস্কার ঘোষণার দায়িত্ব দেওয়া হয় দীপিকাকে। তিনি ব্রিটিশ নির্মাতা জোনাথন গ্লেজারের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। এ বিভাগে আরও মনোনয়ন পেয়েছিল ‘টোয়েন্টি ডে’স ইন মারিউপোল’, ‘অ্যানাটমি অব অ্য ফল’, ‘পাস্ট লাইভস’ এবং ‘সোসাইটি অব দ্য স্নো।’ বাফটার মঞ্চে দীপিকাকে একটি শিমারি গোল্ডেন শাড়িতে দেখা গেছে। চুলে খোঁপা, শাড়ির সঙ্গে ম্যাচ করা স্লিভলেস ব্লাউজ তবে তেমন একটা গয়না পরেননি তিনি। শাড়িটি ডিজাইন করেছেন প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার সব্যসাচী। দীপিকার সঙ্গে তারকা ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যাম, অভিনেত্রী কেট ব্ল্যানচেট, সংগীতশিল্পী দুয়া লিপা, ‘এমিলি ইন প্যারিস’ সিরিজের লিলি কলিন, ‘ব্ল্যাক মিরর’ সিরিজেরর হিমেশ প্যাটেল এবং ইদ্রিস এলবাও এবার মঞ্চে পুরস্কার প্রদানের দায়িত্বে ছিলেন।  
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৭

বাণিজ্য মেলায় বিশেষ ছাড়, নজর কেড়েছে ক্রেতাদের
হরেক রকমের পণ্য কিনতে ছুটির দিনে বাণিজ্য মেলায় ভিড় বেড়েছে দর্শনার্থীদের। তৃতীয় সপ্তাহে এসে চিরচেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে দেশের সবচেয়ে বড় এই বাণিজ্য মেলা। বাড়ছে দর্শক সমাগম। আর দর্শকদের মেলামুখী করতে ব্যবসায়ীরাও আকর্ষণীয় অফারে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার কেনাবেচা তেমন নেই। তাই বিক্রি বাড়াতে বিভিন্ন পণ্যে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় বেশ জমজমাট পরিবেশ মেলায়। বরাবরের মতোই গৃহস্থালি পণ্য, হোম টেক্স ও অন্যান্য পোশাক, কসমেটিকস, খাবারসহ বিভিন্ন স্টলে দেখা মিলছে ক্রেতা উপস্থিতি। সময় কম তাই কেনাকাটাতেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন তারা। হাতে আছে আর মাত্র কয়েক দিন। তাই লাভের অঙ্ক কমিয়ে এখন পণ্য বিক্রিতে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন বিক্রেতারা। রয়েছে মূল্যছাড়। কারও ব্যবসা আশাবাদী হলেও এবার বিক্রি কম বলে মনে করছেন অনেকে। এদিকে আগামী কয়েক দিনে কেনাবেচা বেশি হওয়ার আশা জানান ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা ছুটির দুদিন শুক্র ও শনিবারকে কেন্দ্র করে নিয়েছেন বিশেষ উদ্যোগ, ক্রেতা বাড়াতে দিচ্ছেন নানান অফার সকল প্রকার পণ্যে মূল্যছাড়। ক্রেতা টানতে বিশেষ ছাড় ও অফার নিয়ে হাজির হয়েছে বিভিন্ন স্টল-প্যাভিলিয়নগুলো। খাদ্যপণ্যের ওপর স্পেশাল ছাড় দিচ্ছে বিস্ক ক্লাব। তাদের স্টলে ওয়েফার, কুকিজ ও কেকের স্পেশাল বক্সে ৩১০ টাকার আইটেম পাওয়া যাচ্ছে ২৪৯ টাকায়। এর সঙ্গে বক্স দেওয়া হচ্ছে ফ্রি। তাদের বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, স্টলের প্রতিটি পণ্যেই রয়েছে বিশেষ ছাড়। এ ছাড়া বিভিন্ন কম্বো ও ফ্যামিলি কম্বো প্যাকেও রয়েছে আকর্ষণীয় ছাড়। মি. নুডলসের কম্বো প্যাকের সঙ্গে টমেটো সসের বোতল দেওয়া হচ্ছে ফ্রি। পোশাক ও ক্রোকারিজ আইটেমেও রয়েছে ছাড়। মেলায় ক্লাসিক্যাল হোমটেক্স বিশেষ ডিসকাউন্টে কম্বল, কমফি, ব্রেড কাভার, পিলো, কাশমিরি চায়না পর্দা বিক্রি করছে। হোমটেক্সও দিচ্ছে কম্বল, বিছানার চাদরসহ আরও কয়েকটি পণ্য। প্রভিডেন্স দিচ্ছে জুতা, জ্যাকেট, শার্ট, পলো শার্ট, প্যান্টসহ আরও কয়েকটি পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়। বনানী ও উত্তরায় শোরুমেও চলছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। ক্রোকারিজ আইটেমেও চলছে নানা অফার। এ ছাড়া ছাড় দিচ্ছে আরএফএলের প্লাস্টিক পণ্যসহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ফার্নিচার প্রতিষ্ঠানগুলোও। রয়েছে উপহারও। স্টল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুরু হওয়া এই মেলায় এতদিনে দর্শনার্থী থাকলেও তেমন ক্রেতা দেখা যায়নি। তবে ছুটির দিনগুলোতে ক্রেতা ও দর্শনার্থী অনেক বেশি দেখা গেছে। মেলার শেষ সময়ে বিক্রি আরও বাড়বেন বলে জানান বিক্রেতারা।    এদিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে রাত পর্যন্ত জমজমাট থাকে খাবারের স্টলগুলো। বসার স্থান না পেয়ে অনেকেই দাঁড়িয়ে সেরে নেন খাওয়ার কাজ। এবারের মেলায় ফুড বাংলো, সুলতান কাচ্চি, লাইবা রেস্টুরেন্ট, পুরান ঢাকার শাহি বিরিয়ানি, হাজির বিরিয়ানি, পুরান ঢাকার চিংড়ি ঝালফ্রাই, কস্তুরি কাবাবসহ বেশ কিছু খাবারের স্টল রয়েছে। মেলায় বিভিন্ন খাবারের মধ্যে কাবাব, চিকেন মাসালা, বিরিয়ানি, হাঁসের মাংস, কাচ্চি, রাজাবাবুর চা ও তান্দুরি চায়ের চাহিদা বেশি। এ ছাড়া চিকেন বিরিয়ানি, চিকেন সাসলিক, ফালুদা, বিফ কাচ্চি, মাংস, সবজি, বডি কাবাব, মাটন হালিম, ফ্রাইড চিকেন, লাচ্ছি, নুডুলস, চিকেন চাপ, মাছ, কফি, মাটন কাচ্চি, জুস, ফুসকা, চিকেন গ্রিল, ডাল-পরোটা, ভাত, পানীয়, চটপটি, কাবাব ও খিচুড়ি থেকে শুরু করে থাই স্যুপের বেশি চাহিদা রয়েছে। তবে লুচি আর চিকেন চাপের চাহিদা বেশি। অনেকেই মাটির পাত্রে স্পেশাল চা, রাজাবাবুর চা ও তান্দুরি চা খেতে স্টলগুলোতে ভিড় জমান। রাজধানীর কমলাপুর থেকে সপরিবারে মেলায় ঘুরতে আসা এক গৃহবধূ বলেন, স্টলগুলোতে খাবারের দাম বেশি। খাবারের মান ও পরিমাণ অনুযায়ী দাম আরেকটু কম হওয়া উচিত। রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে মেলায় আসা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রী বলেন, স্টলগুলোতে খাবারের বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে। অধিকাংশ স্টলে মূল্যতালিকা নেই। আবার কেউ কেউ তালিকায় নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও খাবারের দাম বেশি রাখছেন। কেউ কেউ খাবার খেয়ে বিল দিতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন। কেউবা খাবারের পর বিলের রসিদ দিচ্ছেন না। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নাম না প্রকাশের শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, খাবারের মূল্যতালিকা প্রদর্শন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা প্রদর্শন করা না হলে কিংবা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করা কিংবা খাবারের দাম বেশি রাখা হলে আইনের আওতায় আনা হবে।   উল্লেখ্য, রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে শুরু হওয়া ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা মেলা চলবে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। ছুটির দিন মেলা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০২

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিশেষভাবে নজর রাখছে বাংলাদেশ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি শাখার মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন জানিয়েছেন, মিয়ানমারে চলমান সংঘাতে নতুন করে যেন কোনো অনুপ্রবেশ না ঘটে সে বিষয়ে বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে বাংলাদেশ?- প্রশ্নের জবাবে সেহেলী সাবরীন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাত দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে সংঘাতে বাংলাদেশ বা বাংলাদেশিরা যেন কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং নতুন কোনো অনুপ্রবেশ না ঘটে সে বিষয়ে বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশটিতে আমাদের দুটি কূটনৈতিক মিশন রয়েছে। মিশন দুটির কর্মকর্তারা সার্বিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন। একই সঙ্গে প্রয়োজনে দেশটির সরকারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। তিনি আরও বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতি এবং সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে মন্ত্রণালয় সরকারের সব কর্তৃপক্ষ এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাসের সঙ্গে নিবিড় ও তড়িৎ যোগাযোগ রক্ষা করছে। সেই সঙ্গে আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৬

‘সতর্ক আছি, মিয়ানমারের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে বাংলাদেশ’
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির তীব্র লড়াই চলছে। সেই সংঘাতের মর্টারশেল এসে পড়েছে বাংলাদেশে। এ ঘটনায় মিয়ানমারে দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে সরকার বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আরাকান আর্মি ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চলছে। সেই সংঘাতের মর্টারশেল আমাদের দেশে এসে পড়েছে। এটি আমরা অবশ্যই নজর রাখছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের সীমান্তরক্ষীরা সতর্ক আছে এবং মিয়ানমার বাহিনীর সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ আছে। আমরা আশা করবো সেখান থেকে কোনও মর্টারশেল এখানে আসবে না। আমরা সতর্ক আছি। মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহীদের মধ্যে ফের প্রচণ্ড গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় সীমান্তের এপারে কক্সবাজারের টেকনাফ ও বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ির বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন।  তারা সীমান্তের কাছে হেলিকপ্টার উড়তে দেখেছেন। ভারী মর্টারশেলের শব্দও তারা শুনতে পাচ্ছেন। আতঙ্কে থাকার কথা বলেছেন ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গারাও।  রোববার ওপার থেকে বাংলাদেশের ভেতরে অন্তত ৫টি মর্টারশেল ছিটকে আসার বিষয়ে খবর প্রকাশ হয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।  মর্টারশেল উড়ে আসার বিষয়ে উদ্বিগ্ন কি-না, এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা আশা করব যে, সেখান থেকে কোনো মর্টারশেল আমাদের দেশে আসবে না। তবে আমরা সতর্ক আছি এ ব্যাপারে। আবারও সংঘাতের ফলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অনুপ্রবেশের কোনো শঙ্কা করছেন কি না, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এখনও কোনো কিছু দৃশ্যমান হয়নি। উল্লেখ্য, দেশটিতে সংঘাতের মধ্যে ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্টের পর সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। আগে থেকে থাকা রোহিঙ্গাদের নিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার ক্যাম্পগুলোতে এখন ১১ লাখ রোহিঙ্গার বাস।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:২৩

'শরীফার গল্প' নিয়ে শিক্ষাবিদদের ভাবনা / বিতর্ক না বাড়িয়ে ধারণাগত ত্রুটির দিকে নজর দিতে পরামর্শ
পাঠ্যপুস্তক ছেড়ে মানববন্ধন ও ধর্মঘটের মতো কর্মসূচি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশের অন্যতম আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ হওয়ার গল্প। তৃতীয় লিঙ্গ নাকি রূপান্তরিত- কোন শ্রণির প্রতিনিধিত্ব করছে গল্পটি, একরকম ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে তা নিয়ে। দুই মেরুতে অবস্থানরতদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশের পাশাপাশি চলছে পাল্টাপাল্টি যুক্তিতর্ক। তবে, নেতিবাচক বিতর্ক না বাড়িয়ে গল্পটিতে ধারণাগত ত্রুটির দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ শিক্ষাবিদদের। শিক্ষা গবেষকদের মতে, ‘শরীফ থেকে শরীফা’ গল্পে হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গকে পরিচয় করাতে গিয়ে ট্রান্সজেন্ডারের অবতারণা করাটা ধারণাগত ত্রুটি। আর সমাজকল্যাণ গবেষকরা মনে করছেন, বিষয়টি উচ্চশ্রেণির পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হলে তা কার্যকরী হতে পারতো হয়তো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক হাফিজউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ক্লাসের পাঠ্যসূচিতে যদি অন্তর্ভুক্ত করতে তা হলে আমাদের হিজড়া সম্প্রদায়কে ফোকাস করা জরুরি এবং এটা প্রয়োজনে সপ্তম শ্রেণি থেকে আরও ওপরের ক্লাসে নেওয়া যেতে পারে, যাতে করে তারা বিষয়টি বুঝতে সক্ষম হয়।  বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সালাম বলেন, ‘শরীফ থেকে শরীফা’ গল্পে মানসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় চরিত্রের যে শারীরিক পরিবর্তন দেখানো হয়েছে সেটা ট্রান্সজেন্ডারের ধারণা দেয়। আবার একইসঙ্গে পরবর্তীতে ফোকাস করা হয়েছে হিজড়ার বিষয়ে। সুতরাং এটা তথ্যগত ভ্রান্তি, যেটা সংশোধন করা যেতে পারে। শিক্ষা গবেষকদের মতে, যেকোনো বিষয়ে ভিন্নমত থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। তবে যে উপায়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে তা কাঙ্খিত নয়। এ বিষয়ে প্রতিবাদের ভাষা এমন হওয়া উচিত নয়। পাঠ্যপুস্তকের এই একটি গল্প আবারও বিভেদের রেখা টেনেছে ধর্মীয় চিন্তাবিদ ও প্রগতিশীলদের মাঝে। ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতেই অবস্থান ধর্মীয় চিন্তাবিদ ও প্রগতিশীলদের। এ বিষয়ে ইসলামি চিন্তাবিদ শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে আল্লাহর সৃষ্টিতে কোনো প্রকার পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা চলবে না। অর্থাৎ মৌলিক কোনো পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। মানবাধিকার কর্মী খুশি কবীর জানান, সংবিধান সব নাগরিককে সমান অধিকার দিয়েছে। তাই ভিন্নতা আমাদের মেনে নিতে হবে। তিনি মনে করেন, এ বিষয়টা সরকারকে আরও স্পষ্ট করা উচিত। থার্ডজেন্ডার রাখি শেখ জানান, চাইলেই তো আর মেয়ে হওয়া যায় না। আমি নিজেকে মেয়ে দাবি করলাম আর মেয়ে হয়ে গেলাম, এমন হয় না। থার্ডজেন্ডার আর ট্রান্সজেন্ডার এক না। প্রসঙ্গত, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে সংযোজিত ‘শরীফার গল্পে’র সমাধান টানতে ইতোমধ্যে কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৫

বিপিএলে নজর থাকবে যেসব অলরাউন্ডারের ওপর
আর মাত্র তিনদিন পরই মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসর। আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠেয় এই টুর্নামেন্টে দেশি তারকাদের পাশাপাশি বিদেশিরাও মাঠ মাতাবেন। আর অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়ে কারা এনে দেবেন কাঙ্ক্ষিত জয়, সেই দিকেও বাড়তি নজর থাকবে ক্রীড়াপ্রেমীদের। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে অলরাউন্ডারদের বাড়তি চাহিদা নতুন কিছু নয়। ব্যাটিং-বোলিং, দুই জায়গাতেই কার্যকরী তারা। বিপিএলের আগের আসরগুলোতে কোনো না কোনো অলরাউন্ডারই টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন। এবারও আলো ছড়াতে মুখিয়ে আছেন সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজরা। দেশি তারকাদের পাশাপাশি দুই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল ও সুনীল নারাইনও এবার থাকছেন।  এই তালিকায় আরও আছেন মঈন আলী, শোয়েব মালিক, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, কার্টিস ক্যাম্ফারের মতো অলরাউন্ডাররা। তবে বিপিএলের শুরু থেকে অনেক বিদেশি তারকাকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা আছে। এবারের বিপিএলে যাদের ওপর বাড়তি নজর থাকবে...  ক্রিকেটার দল রান উইকেট সাকিব আল হাসান রংপুর রাইডার্স ২১৪২ ১৩২ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফরচুন বরিশাল ২২৮৩ ৪৬ মেহেদী হাসান মিরাজ ফরচুন বরিশাল ১০০০ ৫৪ আন্দ্রে রাসেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৮৫৭ ৬০ সুনীল নারাইন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৬৯৫ ৪১ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা সিলেট স্ট্রাইকার্স ৫৯৪ ৯৭ শেখ মেহেদী হাসান রংপুর রাইডার্স ৬৪১ ৪৭ ***বর্তমানদের মধ্যে ৫০০ রান এবং ৪০ উইকেট নিয়েছেন, এর ভিত্তিতে এই তালিকা করা হয়েছে।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়