• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

স্টিফেন হকিং কী সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী ছিলেন?

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ১৭ মার্চ ২০১৮, ১৪:৩৪

একুশ শতকের বিশ্বে বিস্ময় স্টিফেন হকিং। কাজে, জীবন-যাপনে, ভাবনায় এবং বেঁচে থাকায়। ৭৬ বছর বয়সে সেই বর্ণাঢ্য জীবনের ইতি ঘটে গত ১৪ মার্চ বুধবার।কেমব্রিজে নিজের বাড়িতেই জীবনাবসান হয় তার। স্টিফেনের সন্তানেরা বিবৃতি দিয়ে জানান, ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে স্টিফেনের।

১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি অক্সফোর্ডে জন্ম হয় এই ব্রিটিশ বিজ্ঞানীর। ছোটবেলা থেকেই মহাকাশের প্রতি তার অমোঘ টান। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শুরু করেন হকিং। বিষয় ছিল পদার্থ বিজ্ঞান। কিন্তু তার সে সময়ের শিক্ষক বার্মেন জানিয়েছেন, মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হকিং পড়াশোনার ইচ্ছে হারান। কারণ, হকিংয়ের মনে হচ্ছিল, যা তিনি পড়ছেন তা খুবই সহজ। তবে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষে গিয়ে বিষয়ের প্রতি খানিকটা উৎসাহ ফিরে পান তিনি। তবে ক্লাসে সবচেয়ে মিশুক ছাত্রদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হকিং। গান বাজনা, খেলাধুলো সবেই তার উৎসাহ ছিল।

শুধু জীবন যাপনেই না, বিশ্বাস আচরণেও স্টিফেন ছিলেন অন্যান্য বিজ্ঞানীদের চেয়ে কিছুটা ব্যতিক্রম। সাধারণত যেখানে বিজ্ঞানীরা অলৌকিক কোন শক্তি, ধর্ম বা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করেন না। সেখানে স্টিফেনের ক্ষেত্রে তার মৃত্যুর পর ব্যতিক্রমী কিছু বিষয় উঠে আসছে।

হকিং বিশ্বাস করতেন মহাকাশ সৃষ্টি ও পরিচালনার জন্য একজন আছেন। অর্থাৎ তিনি সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তার ‘গ্র্যান্ড ডিজাইন’ গ্রন্থে তিনি নিজের তত্ত্বেরই বিরোধিতা করেন।

এদিকে শুক্রবার ১৬ মার্চ ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন দাবি করেছেন স্টিভেন হকিং বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের চেয়ে হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থ বেদকে বেশি গুরুত্ব দিতেন।

তবে ২০১০ সালে প্রকাশিত ‘দ্য গ্র্যান্ড ডিজাইন’ বইয়ে তার একটি বক্তব্যের ব্যাপক সমালোচনা হয়। সেখানে হকিং বলেন, ‘মহাবিশ্বকে চালিয়ে নেওয়ার জন্য কোনো ঈশ্বরের প্রয়োজন নেই।’

বৈচিত্রময় জীবন, তত্ত্ব, গবেষণা ও কাজের জন্য স্টিফেন হকিং সমসাময়ীক বিজ্ঞানীদের থেকে নিজেকে আদালা করেছেন।

হকিংয়ের বিদায়ে তার সহকর্মীদের দেওয়া শোকবার্তায় শুধু তার বিজ্ঞানী সত্তাটিই উঠে আসেনি, সেখানে তার রসবোধ, প্রাণময় উপস্থিতি থেকে শুরু করে বহু কিছুই উঠে এসেছে।

হকিং তত্ত্ব, মহাজগত নিয়েই ছিলেন তা নয়। ইতিহাস-সচেতনও ছিলেন তিনি। তাইতো নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেও ভোলেননি। ২০১৩ সালে ফিলিস্তিনের শিক্ষাবিদদের আহ্বানে হকিং ইসরায়েলে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞানীদের একটি বড় সম্মেলন বয়কট করেন। সর্বশেষ ২০১৬ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান মনোনয়ন পাওয়ার পর ব্যাপক শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ট্রাম্পের মস্তিষ্কই শঙ্কার কারণ হতে পারে বলে মন্তব্য করেন। এই শঙ্কা যে অমূলক ছিল না, তা এখন দৃশ্যমান।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিজ্ঞান এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কেমব্রিজ ইংলিশ প্রোগ্রামের জন্য সিডনি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চুক্তি সম্পাদন
X
Fresh