• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কোটা আন্দোলন নষ্ট করতেই ভিসির বাসভবনে হামলা: আনু মুহাম্মদ

ঢাবি সংবাদদাতা

  ১৯ জুলাই ২০১৮, ১৮:৪০

কোটা সংস্কার আন্দোলন নষ্ট করতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা চালানো হয়েছিল।

বললেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে আয়োজিত সংহতি সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ভল্টের সোনা নিয়ে অনিয়ম হলে তদন্ত হবে: কাদের
--------------------------------------------------------

আনু মুহাম্মদ বলেন, ভিসির বাড়ি আক্রমণটা ছিল একটি অন্তর্ঘাত। এটির উদ্দেশ্যে ছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনকে নষ্ট করা, বির্তকিত করা। ভিসির বাড়িতে যখন হামলা হয়েছে। তখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এ হামলার সাথে আন্দোলনকারী কেউ জড়িত নয় । তাহলে কেন আজকে আন্দোলনকারীদেরকে গ্রেফতার করে নিযার্তন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ না করে,উল্টো আন্দোলনকারীদের রিমান্ডে নিয়ে নানা রকম নির্যাতন করা হচ্ছে। এতে স্পষ্ট হয় যে ভিসির বাড়ি আক্রমণ একটি অন্তর্ঘাত।

তিনি আরো বলেন, দেশে কোনো ন্যায্য আন্দোলন করলে সরকার বলছে এসব আন্দোলনের পেছনে জামাত-শিবির আছে। যদি সব আন্দোলনকে জামাত-শিবিরের আন্দোলন বলেন, তাহলে আপনারা জামাত-শিবিরকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছেন। কারণ দেশে জামাত-শিবিরের আন্দোলন না করলেও আপনারা তাদের নামে আন্দোলনকে বির্তকিত করার চেষ্টা করেছেন।

অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বৈতপ্রশাসন দেখতে পাচ্ছি। একটি হল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং অন্যটি হল হলে যারা আধিপত্য বিস্তার করে গেস্টরুমে শিক্ষার্থীদের নানারকমের নির্যাতন করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি যদি হলের কর্তৃত্ব হল প্রশাসনকে দিতে ব্যর্থ হয়, যদি তিনি ক্ষমতাসীনদের চাপে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হন,তাহলে আপনাকে বলব যে আপনি নিজ ইচ্ছায় পদত্যাগ করুন।

সমাবেশে অধ্যাপক গীতিআরা নাসরিন নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকদের পক্ষে ৬ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।

দাবিগুলো হলো, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার, শিক্ষার্থীদের ওপর দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গ্রেফতারকৃতদের নি:শর্ত মুক্তি দেওয়া, ছাত্রীদের ওপর যৌন নিপীড়ন কারীদের বিচার করা, জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কোটা সংস্কার করা, দ্রুত ডাকসু সহ সকল ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া।

সংহতি সমাবেশে আন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আসফার হোসেন, অধ্যাপক আকমল হোসেন, অধ্যাপক নাসরিন ওয়াদুদ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, বুয়েটের অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশিদ প্রমুখ।

সমাবেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৮০ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। পরে একটি মৌন মিছিল নিয়ে শিক্ষকরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

আরও পড়ুন :

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
লিফট কিনতে ফিনল্যান্ডের পথে ঢাবির প্রো-ভিসিসহ ৪ জন
পরীক্ষার আগে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নের সমাধান হতো ঢাবির হলে
ঢাবিতে ছাত্রলীগের ‘গেস্টরুমে’ অচেতন শিক্ষার্থী, তদন্ত কমিটি গঠন
‘ইনস্যুরেন্স পাঠ্যক্রম যুগোপযোগীকরণে অংশীজনের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল
X
Fresh