• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ইন্টারনেট কী দানবের জন্ম দিচ্ছে?

আহাম্মদ উল্লাহ সিকদার

  ০৭ এপ্রিল ২০১৮, ১৯:৪১

বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। তাই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবাই ইন্টারনেটের অসীম জগতের হাতছানি কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। কিন্তু ইন্টারনেট যেমন আলো ছড়ায় তেমনি এর অন্ধকার দিকও রয়েছে। এর সবশেষ উদাহরণ ইউটিউবের সদরদপ্তরে হামলাকারী নাসিম আঘদাম।

ইরানি বংশোদ্ভূত এই নারী ২ এপ্রিল সান ব্রুনোয় ইউটিউবের সদরদপ্তরে হ্যান্ডগান নিয়ে হামলা চালিয়ে তিনজনকে আহত করেন। পরে তিনি আত্মহত্যা করেন। নাসিমের অভিযোগ ছিল, কিছুদিন ধরে ইউটিউব তার ভিডিও ফিল্টার করছে। ফলে তার সাবস্ক্রাইবার কমে যাচ্ছে। হতাশা ঘিরে ধরে নাসিমকে। ভেতরে জমে থাকা খেদ থেকেই এই হামলা ঘটিয়েছেন তিনি।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ঢাকা সাংবাদিক ফোরামের মতবিনিময় সভা
--------------------------------------------------------

ইন্টারনেট আসক্তি অবশ্য নতুন কিছু নয়। সাম্প্রতিক সময়ে বিষয়টি যেন আবারও মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। যেদিন ইউটিউবের সদরদপ্তরে হামলা চালান নাসিম ওইদিনই লন্ডনে ১৭ বছরের কিশোরী তানেশা মেলবোর্ন-ব্লেক নামের এক কিশোরী নিহত হন। গাড়ি থেকে একদল ব্যক্তি ওই গুলি চালিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কি কারণে তানেশাকে হত্যা করা হয়েছে সেটি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে অভিযোগের তীর সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে। চলতি বছর লন্ডনে বিভিন্ন হামলায় প্রায় ৫৫ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই কিশোর-কিশোরী।

পুলিশ জানাচ্ছে, ছোটখাটো বাদানুবাদ সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এরই জেরে এইসব হত্যাকাণ্ড ঘটছে। তানেশা নিহত হওয়ার ৩০ মিনিট পর আমান শাকুর নামের আরও এক কিশোর হামলার শিকার হন। ওই রাতে তিনিও মারা যান। পুলিশ বলছে, ওই হামলার সঙ্গে তানেশা হত্যাকাণ্ডের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে বুধবার আরেক হামলায় ইসরায়েল ওগুনসোলা নামে আরেক কিশোর নিহত হয়। তিনি তানেশার ফেসবুক বন্ধু।

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের তথ্য বেহাত করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটা পুরনো হলেও নির্বাচনী প্রচারণায় গ্রাহকদের তথ্য ব্যবহারের কারণে এটি ব্যাপকতা লাভ করেছে। এর প্রভাব পড়ে ফেসবুকের শেয়ারবাজারেও। লোকসান হয় হাজার হাজার কোটি ডলার।

নিহত কিশোরী তানেশা মেলবোর্ন-ব্লেক

কয়েকদিন আগে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মার্ক জাকারবার্গ স্বীকার করেছেন, মিয়ানমারে সহিংসতার বিষয়টি জেনেও তারা নিশ্চুপ ছিল। গেলো বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে উসকানি দিতে কট্টর বৌদ্ধ নেতারা ফেসবুক ব্যবহার করছিল বলে আগেও অভিযোগ উঠেছিল। যদিও ফেসবুক তখন নিরব থাকার নীতি অবলম্বন করে।

কিন্তু দিন দিন পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে প্রশ্ন উঠছে ভারচুয়াল জগত কী দানব তৈরি করছে? আর সেই দানবরাই কী এখন শিকারে করে বেড়াচ্ছে? এ প্রশ্নের উত্তর পেতে হয়তো অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক বছর।

আরও পড়ুন :

এ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শেরে বাংলার কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে: প্রধানমন্ত্রী
বিয়ের আগেই সন্তান জন্ম, স্বামীকে নিয়ে মুখ খুললেন সেই অভিনেত্রী
হোয়াটসঅ্যাপে ইন্টারনেট ছাড়াই পাঠানো যাবে ছবি-ভিডিও-ডকুমেন্ট
বগুড়ায় জন্ম নিল অদ্ভুত আকৃতির ছাগল
X
Fresh