• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মোবাইল ফোন রেডিয়েশন

আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই চলছে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ০১ আগস্ট ২০১৭, ২০:১৪

বিশ্বে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে স্মার্টফোনের ব্যবহার। বিজ্ঞানের মঙ্গলে আজ মানুষের হাতে হাতে অত্যাধুনিক সব স্মার্টফোন। কিন্তু মোবাইল ফোন থেকে নির্গত রেডিয়েশনের বিষয়ে মানুষের মাঝে আছে উৎকণ্ঠা। দিনদিন যেভাবে বেড়ে চলছে মোবাইল ফোন ব্যবহার, তার সাথেই তো বাড়ছে রেডিয়েশন।

মোবাইল ফোন থেকে রেডিয়েশন কতটুকু ছড়াচ্ছে বা তা কোন মাত্রায় ক্ষতিকর সেবিষয়টি সঠিকভাবে জানা নেই অনেকেরই।

জার্মানির প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবপোর্টাল ইনসাইডহ্যান্ডি’কে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ স্টেফ্যান উইনোপ্যাল বলেন, ‘যে সব স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ফোনে বেশি কথা বলেন, তাদের ফোন থেকে ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক বিকিরণ নির্গতের পরিমাণ বেশি হয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিকিরণ মূলত মোবাইল ফোন এবং মোবাইল টাওয়ারের মধ্যে সংকেত পাঠানোর সময় উৎপন্ন হয়।’

একটি মোবাইল ফোন থেকে ঠিক কী পরিমাণে ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক বিকিরণ উৎপন্ন হয় তার একটি নির্দিষ্ট মানদন্ড রয়েছে। টাওয়ারের বিকিরণ ও মোবাইল ফোনের সেই বিকিরণ গ্রহণের মাত্রা বা স্পেসিফিক অ্যাবজর্পশন রেট বা এসএআর-এর ওপর নির্ভর করে স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি। আর এটি পরিমাপ করা হয় প্রতি কিলোগ্রাম-ওয়াটে।

উইনোপ্যাল বলেন, ‘এসএআর উষ্ণতার পরিমাণ নির্দেশ করে ঠিক তখনই যখন এই বিকিরণকে শোষণ করে টিস্যু। আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অন নন-আইওনাইজিং রেডিয়েশন প্রটেকশন অনুযায়ী মোবাইল ফোনের বিকিরণ গ্রহণের মাত্রা প্রতি কিলোগ্রামে ২ ওয়াটের বেশি হতে পারবে না। রেডিয়েশন সুরক্ষায় ১৯৯৮ সালে মোবাইল ফোনের সর্বোচ্চ বিকিরণ গ্রহণের এই সর্বোচ্চ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।’

সাম্প্রতিক এক গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, এবছরের আলোচিত স্মার্টফোন গুলোর মধ্যে অ্যাপলের আইফোন ৭ থেকে প্রতি কিলোগ্রামে রেডিয়েশন নির্গতের পরিমাণ ১.৩৮ ওয়াট এবং হুয়াওয়ের পি ১০ থেকে প্রতি কিলোগ্রামে ০.৯৬ ওয়াট।

উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের ডিভাইসগুলো থেকে ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অন নন-আইওনাইজিং রেডিয়েশন প্রটেকশনের বেঁধে দেয়া মাত্রার চেয়ে কম রেডিয়েশন নির্গত হয়। ফলে ডিভাইসগুলো ব্যবহারে কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই বললেই চলে।

ক্রেতাদের একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, তারা যে ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠানের হ্যান্ডসেট ক্রয় করুক না কেনো তা যেনো হয় নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত দোকান, শোরুম কিংবা ব্র্যান্ড শপ থেকে। তবেই স্বাস্থ্যঝুঁকি ও প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা এড়িয়ে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যাবে পছন্দের স্মার্টফোনটি।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
হারানো ১০৯ মোবাইল উদ্ধার করে মালিককে বুঝিয়ে দিলো পুলিশ
বাংলাদেশে ফের নকিয়া ফোন উৎপাদন শুরু
নোয়াখালীতে পাওয়া যাবে আকর্ষণীয় ফিচারের মোবাইল ফোন রিভো
কতটি ফোন লাগে গুগল প্রধানের, দিলেন অবাক করা তথ্য
X
Fresh