• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শিশুদের মাঝে তুলনা নয়

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ০৫ মে ২০১৭, ১৬:১৭

শিশুদের দক্ষতা নির্ণয়ে আরেকটি শিশুর সঙ্গে তুলনা করা যেন আমাদের চিরাচরিত একটি অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।শিশুটির সহপাঠী বা খেলার বন্ধুদের মধ্যে কেউ ভালো করলে তার সামনে ওই শিশুটিকে উদাহরণ হিসেবে দাঁড় করিয়ে সেই অনুযায়ী চলার কথা আমরা বারবার বলে থাকি।

কিন্তু আমাদের ভেবে দেখা উচিত যে, এমনটা করা ঠিক হচ্ছে কিনা?

আপনি যখন অন্য শিশুর সঙ্গে নিজের শিশুটির তুলনা করবেন, তখন ওই শিশুকে আইডল মনে করে কখনো কখনো আপনার শিশুটি প্রতারিত হতে পারে। তুলনা করার কারণে শিশুটিকে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য একধরনের জোর করা হয়ে থাকে। তুলনামূলক মনোভাব শিশুর চালিকাশক্তিকে অনেকটা কমিয়ে দেয়। তাছাড়া তুলনা করে কোনো কাজ যে করা যায় এমনটাও না।

মনে রাখতে হবে, দুটি শিশু কখনোই এক রকম নয়। তাদের আলাদা আলাদা প্রতিভা, ইচ্ছা এবং নিজেকে বিকশিত করার শক্তি রয়েছে। সত্যি কথা বলতে কী, বাবা-মা শিশুদের ভেতরে আস্থা তৈরি বা ভাঙা এবং আত্মসম্মান তৈরির প্রকৃত শিক্ষক। তাহলে জেনে নিন শিশুর তুলনা করার নেতিবাচক দিকগুলো।

চাপ তৈরি হয় : সবসময় শিশুর তুলনা করলে তার মনের উপর একটি চাপ তৈরি হয়। তুলনা করলে শিশু উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে এবং অনিদ্রায় ভোগে। যদি শিশুটির পারফরমেন্সে আপনি অসন্তুষ্ট হন, তাহলে তার সঙ্গে বসে আলোচনা করার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।

আত্মসম্মান কমে যায় : এমনটা করলে শিশুটি মনে করতে শুরু করে যে, অন্য শিশুরা তার থেকে ভালো এবং সে ভালো পারফর্ম বা আলাদাভাবে কিছু করার ক্ষমতা রাখে না। শিশুর ভেতরে যদি এই ধারণা একবার তৈরি হয়ে যায়, তাহলে তা তার ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

মূল্যহীন মনে হয় : শিশুটির প্রচেষ্টা সত্ত্বেও যখন সে বারবার শুনতে থাকে যে, তাকে অন্য শিশুটির মতো ভালো ফলাফল করতে হবে; তখন তার আত্মবিশ্বাস ভেঙে যায়। তার কোনো কাজই ভালো না এমন ধারণা মনে গেঁথে যায়। এটা তার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পাড়ে।

সামাজিক পরিস্থিতি থেকে দূরে থাকা : ক্রমাগত তুলনার ফলে শিশুটি নিজেকে অবহেলা ও উপহাসের পাত্র মনে করে। এর ফলে সে সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রম, এমনকি আপনাকেও এড়িয়ে চলতে শুরু করে।

প্রতিভা অপ্রকাশিত থাকে : আপনার শিশু পেইন্টিং করতে পছন্দ করে, অন্যদিকে আপনি তাকে ব্যাডমিন্টন প্র্যাকটিস করতে নিয়ে যাচ্ছেন। এমনটা হলে সে উভয়সঙ্কটে পড়ে যায়। যদি পেইন্টিংয়ে সে উৎসাহ না পায় এবং ব্যাডমিন্টন প্র্যাকটিস করতে যায়, তাহলে সেখানে ভালো স্কোর করতে ব্যর্থ হবে সে। একপর্যায়ে দেখা যাবে পেইন্টিংয়ে তার যে প্রতিভা রয়েছে সেটা বিকশিত হওয়ার সুযোগ না পেয়ে তা হারিয়ে যাচ্ছে। তাই লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার শিশু কোন কাজটি করতে পছন্দ করে এবং তাকে সে কাজটিই করতে দিতে হবে।

আরকে/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh