• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মোদির কথায় প্রতি শুক্রবার জনতা-মন্ত্রী বৈঠক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১১ মে ২০১৮, ২০:০৮
ফাইল ছবি

রাজনীতিতে ছুটি বলে কিছু নেই। তবু সপ্তাহান্তের আগে শুক্রবার কাজের চাপ একটু হাল্কা থাকে। সেই দিনটাতেই নিজের মন্ত্রীদের আমজনতার সঙ্গে ঘরোয়া মেজাজে আড্ডার দাওয়াই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খবর আনন্দবাজারের।

এক মাস হলো দিল্লির অলিন্দে প্রায় নিঃশব্দেই শুরু হয়েছে এমন রেওয়াজ। এ পর্যন্ত চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী— ধর্মেন্দ্র প্রধান, মেনকা গান্ধী, মুখতার আব্বাস নকভি ও অর্জুন মেঘওয়াল এমন ঘরোয়া বৈঠকে সামিল হয়েছেন। আজ শুক্রবার ‘আড্ডায়’ বসার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী মহেশ শর্মার।

এক মন্ত্রী জানালেন, প্রধানমন্ত্রীর এই ভাবনাটি নতুন নয়। কিন্তু এবার এটি বেশ গুছিয়ে করা হচ্ছে। একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দেয়া হয়েছে। সেখানে যে কেউ নিজের পরিচয় দিয়ে জানাতে পারছেন তার আগ্রহের বিষয়টি কী, বা কী নিয়ে তিনি সরকারের সঙ্গে মতবিনিময় করতে চান। সরকারের তরফেও ওই নম্বরে আসা বার্তাগুলো খুঁটিয়ে দেখে বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে, কোন বিষয়ে কাদের পারদর্শিতা রয়েছে। সেই মতো প্রেরকদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে বেছে নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গে তাদের বৈঠকের আয়োজন করা হচ্ছে।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : সৈনিকের হাতের ভেতর জন্ম নেয়া কান প্রতিস্থাপিত
--------------------------------------------------------

মন্ত্রীর মতে, এটি দুপক্ষের জন্যই উপযোগী। এর ফলে আমজনতার থেকে আরও নতুন বিষয় যেমন সরাসরি সরকারের কানে পৌঁছাচ্ছে, তেমনই সরকারের থেকে জনতার প্রত্যাশা কী, কোথায় আরও সংশোধন জরুরি— তা জানা যাচ্ছে। আবার সরকার সেই বিষয়গুলোতে কী কাজ করছে, তা সরাসরি জানতে পারছেন সাধারণ নাগরিকেরা।

ক্ষমতায় আসার পরেই সরকারি কাজে জনতার অংশীদারিত্ব বাড়ানোয় জোর দিয়ে এসেছেন নরেন্দ্র মোদি। জনতাকে অংশীদার করেই ‘স্বচ্ছ ভারত’ প্রকল্প চালু করেছিলেন। আগামী লোকসভা নির্বাচনের ফলের অপেক্ষা না করেই ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছরপূর্তি উপলক্ষে ‘নতুন ভারত’ গড়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। সেটিও জনতাকেও শামিল করে।

বিজেপির একটি সূত্র মেনেই নিচ্ছে যে, মন্ত্রী-জনতার সরাসরি যোগাযোগের এমন পদক্ষেপের নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। সাধারণত মন্ত্রীরা জনতার নাগালের বাইরে থাকেন। কিন্তু এই ব্যবস্থা চালুর পর থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এটিও এক ধরনের ‘জনতা-দরবার’।

সূত্র জানাচ্ছে, বৈঠকগুলোতে যুব সম্প্রদায়ের উপস্থিতিই থাকছে বেশি। ভোট যখন একেবারে দোরগোড়ায়, তখন পুরো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধারণ নাগরিকদের এই অংশকে পাশে টানার চেষ্টা করছে বিজেপি। সব দেখে এখনই বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি ঢাক পেটাতে চাইছে না মোদির দল।

আরও পড়ুন :

এ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দিল্লিকে গুঁড়িয়ে দুর্দান্ত কামব্যাক কলকাতার
ঘরের মাঠে দিল্লিকে অল্পতেই আটকে দিলো কলকাতা
ইডেন গার্ডেন্সে টস জিতে ব্যাটিংয়ে দিল্লি
মুম্বাইকে হারিয়ে দিল্লির পঞ্চম জয়
X
Fresh