মিজু আহমেদকে হারানোর এক বছর
গেলো বছরের ২৭ মার্চ শুটিংয়ের কাজে যাচ্ছিলেন দিনাজপুর। ট্রেনে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন অভিনেতা মিজু আহমেদ। এরপর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা মিজু আহমেদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৭ মার্চ। দিনটিতে তার পরিবারের সদস্য ও ভক্তরা তাকে স্মরণ করবেন গভীর শ্রদ্ধায়।
কুষ্টিয়ায় ১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন মিজু আহমেদ। তার প্রকৃত নাম মিজানুর রহমান। স্ত্রী পারভীন আহমেদ, দুই মেয়ে কেয়া ও মৌ এবং ছেলে হারশাতকে নিয়ে ছিল তার পরিবার।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ১৫ মিনিট নাচতে পারিশ্রমিক ৫ কোটি!
--------------------------------------------------------
শৈশব থেকে থিয়েটারের প্রতি আগ্রহী ছিলেন মিজু আহমেদ। কাজ করেছেন কুষ্টিয়ার স্থানীয় একটি নাট্যদলে। ১৯৭৮ সালে ‘তৃষ্ণা’ ছবির মাধ্যমে ঢালিউডে পা রাখেন। অল্প সময়েই একজন দাপুটে খলনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র প্রযোজনাও করেছেন। তিনি ছিলেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সভাপতি। মিজু আহমেদ অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি পাষাণ। এটি গেলো শুক্রবার মুক্তি পায়। অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯২ সালে সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে- তৃষ্ণা, মহানগর, স্যারেন্ডার, চাকর, সোলেমান ডাঙ্গা, ত্যাগ, বশিরা, আজকের সন্ত্রাসী, হাঙ্গর নদী গ্রেনেড, কুলি, লাঠি, লাল বাদশা, গুন্ডা নাম্বার ওয়ান, ঝড়, কষ্ট, ওদের ধর, ইতিহাস, ভাইয়া, হিংসা প্রতিহিংসা, বিগ বস, আজকের সমাজ, মহিলা হোস্টেল, ভন্ড ওঝা প্রভৃতি।
আরও পড়ুন:
পিআর/পি
মন্তব্য করুন