• ঢাকা শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo

শাহ আব্দুল করিমের ১০২ তম জন্মবার্ষিকী

যার গান ছাড়া আসর জমে না

পাভেল রহমান

  ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২২:২০
ছবি : সংগৃহীত

স্কুলে গিয়েছিলেন মাত্র আট দিন। প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখার অভিজ্ঞতা এটুকুই। কিন্তু ব্যক্তিজীবনে তিনি নিজেই হয়ে উঠেছেন একটা বড় প্রতিষ্ঠান। এখন তাকে নিয়েই হচ্ছে নানারকম গবেষণা।

গলির মোড়ের চায়ের দোকান থেকে অভিজাত পাড়ার পার্টিতে তার গান ছাড়া যেন আসর জমে না। বলছি শাহ আব্দুল করিমের কথা। উপমহাদেশের প্রখ্যাত মরমী সাধক শাহ আব্দুল করিমের ১০২ তম জন্মবার্ষিকী ১৫ ফেব্রুয়ারি।

বরেণ্য এই মরমী সাধকের প্রতি সম্মান জানিয়ে তার জীবন ও কর্মের ওপর ভিত্তি করে ঈগল মিউজিক সম্প্রতি নির্মাণ করেছে একটি তথ্যচিত্র। এটি গ্রন্থনা ও পরিকল্পনা করেছেন সঙ্গীতশিল্পী সারোয়ার শুভ। শাহ আব্দুল করিমের জন্মবার্ষিকীতে বৃহস্পতিবার এই তথ্যচিত্রটি প্রকাশ করা হবে।

ঈগল মিউজিকের চেয়ারম্যান কচি আহমেদ বলেন, ‘শাহ আব্দুল করিম বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি অসংখ্য বাউল গান রচনা করেছেন, যা এখনো সমানভাবে জনপ্রিয়। বরেণ্য এই মরমি কবিকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।’

শাহ আব্দুল করিমের জন্ম ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামে। কালনী নদীর তীরে কেটেছে তাঁর শৈশব-কৈশোর। শেষ জীবনে আকাশছোঁয়া তারকাখ্যাতি আর জৌলসময় জীবনের হাতছানি দূরে রেখে সেই কালনীর তীরেই থেকেছেন আমৃত্যু।

করিমের গান দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সমান জনপ্রিয়তা পায়। বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের আমন্ত্রণ পান তিনি। কিন্তু শত প্রলোভন অবজ্ঞা করে কালনীর তীরে উজানধল গ্রামেই কাটিয়েছেন পুরো জীবন। গান গাইতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। দেশের সীমানা পেরিয়ে ইংল্যান্ডেও আসর মাতিয়েছেন।

শাহ আব্দুল করিমের উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে- ‘বন্দে মায়া লাগাইছে’, ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘আমি কূলহারা কলঙ্কিনী’, ‘কোন মেস্তরি নাও বানাইছে’ ‘কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু’, ‘বসন্ত বাতাসে সইগো’, ‘আইলায় না আইলায় নারে বন্ধু’, ‘সখী কুঞ্জ সাজাও গো’, ‘রঙ এর দুনিয়া তরে চায় না’সহ অসংখ্য গান।

প্রায় দেড় সহস্রাধিক গান লিখেছেন এবং সুরারোপ করেছেন তিনি। বাংলা একাডেমীর উদ্যোগে তার ১০টি গান ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে। প্রকাশ হয়েছে ৬টি গানের বই। সেগুলো হল- আফতাব সংগীত, গণ সংগীত, কালনীর ঢেউ, ভাটির চিঠি, কালনীর কূলে, দোলমেলা।

বাউল শাহ আব্দুল করিম ২০০১ সালে একুশে পদক অর্জন করেন। ২০০৯ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর সিলেটের একটি ক্লিনিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

পিআর/এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh