• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৯ মার্চ)
জাহাজ জিম্মির ঘটনায় এফবিসিসিআইয়ের উদ্বেগ
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ২৩ নাবিক- ঘটনায় এরই মধ্যে কয়েক দিন পার হয়ে গেছে। এ ঘটনার কোনো কুল কিনারা হয়নি। এতে একদিকে যেমন নাবিকদের পরিবারের উদ্বেগ বাড়ছে ঠিক তেমনি এর প্রভাব শিপিং বাণিজ্যে পড়ছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম। এ ধরনের ঘটনা খুবই অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সোমবার (১৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আন্তর্জাতিক নৌ রুটে জাহাজ জিম্মির মতো ঘটনা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অন্তরায়। এসময় ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চান তিনি। জাহাজটি উদ্ধারে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করায় সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে জিম্মি ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি উদ্ধারে সরকার সচেষ্ট হবে। এ ঘটনায় সহমর্মিতা জানাতে এফবিসিসিআই সভাপতি ফোন করেন কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহানকে। তাদেরকে তিনি সান্তনা দেন। নাবিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারে মালিকপক্ষের তৎপরতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। শিগগিরই প্রতিষ্ঠানটি তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।  
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৭ মার্চ)
সরকারের বেধে দেওয়া দামে মিলছে না কোনো পণ্য
রমজানে এবার চাল নিয়ে চালবাজি
পেঁয়াজ নিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সুখবর!
ক্ষমা চাইলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
খেজুরের দাম নির্ধারণ করার আদেশে একপ্রকারের খেজুরকে ‘নিম্নমানের খেজুর’ উল্লেখ করে এর দাম নির্ধারণ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তার  প্রেক্ষিতে ‘নিম্নমানের খেজুর’ সংশোধন করে ‘সাধারণ মানের খেজুর’ লিখে নতুন চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ভুলের কারণে দুঃখপ্রকাশ করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সচিবালয়ে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী ভুলের জন্য ক্ষমা চান। এর আগে গত ১১ মার্চ খেজুরের দাম নির্ধারণ করে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির কাছে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চিঠিতে প্রতি কেজি ‘অতিসাধারণ/নিম্নমানের খেজুর’ এর দাম ১৫০-১৬৫ টাকা এবং ‘বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর’ এর দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। পরে ‘অতিসাধারণ/নিম্নমানের খেজুর’ নির্ধারণ করে দাম বেঁধে দেওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বলা হয়, তাহলে কি সরকারই নিম্নমানের খেজুর আমদানিকে উৎসাহিত করছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর ব্রিফিংয়ে ‘অতিসাধারণ/নিম্নমানের খেজুর’ এর নাম ‘সাধারণ মানের খেজুর’ করে নতুন চিঠি সাংবাদিকদের সরবরাহ করা হয়। পরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার পরিস্থিতি উন্নত করার যে চেষ্টা এবং ভোক্তার অধিকার রক্ষায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে, বিভিন্ন মহল থেকে আমরা এ বিষয়ে অনেক সাধুবাদ পেয়েছি। আমরা এ কাজটা কন্টিনিউ করতে চাই। এরমধ্যে আমাদের ছোটখাটো ভুল হয়, সেটাকে হাইলাইট না করে আমি সবসময় বলি এফোর্টগুলোকে যদি একটু হাইলাইট করা হয়, যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো আমাকে বলা হয় তাহলে চলে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ট্রলিং হচ্ছে, আমাদের ছোট একটা, ছোট না আমি বলবো যে বড়ই ভুল আমাদের ভাষাটা ঠিক হওয়া দরকার ছিল। সাধারণ মানের জায়গায় শব্দটা একটু ই-হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সেটা সংশোধন করে দিয়েছি, কিন্তু সেটা হাইলাইটেড হয়নি।’ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানের খেজুর এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর- এ দুটি নামে সংশোধন করে দিয়েছি।’
হিমাগারে থাকা ১০০ টন খেজুর খালাসের নির্দেশ
হিমাগারে থাকা ১০০ টন খেজুর আগামী সাত দিনের মধ্যে খালাস করতে নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। যদি তা না করা হয় তাহলে তা জব্দ করে নিলামে বিক্রয় করা হবে বলে কোল্ড স্টোরেজ মালিককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত এ অভিযানে রিয়াজুদ্দিন বাজারের একটি কোল্ড স্টোরেজে আনুমানিক ১০০ টন প্যাকেটজাত খেজুর পাওয়া যায়। কয়েকজন আমদানীকারক ও পাইকারি বিক্রেতা গত আগস্ট মাস থেকে হিমাগারটিতে খেজুর মজুত করেছেন। আগামী সাত দিনের মধ্যে এই খেজুর বাজারে না ছাড়লে তা জব্দ করে নিলামে বিক্রয় করা হবে বলে কোল্ড স্টোরেজ মালিককে জানানো হয়েছে। হিমাগারে অভিযান ছাড়াও, মূল্য তালিকা না থাকা ও ক্রয়-বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ না করায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে হিমাগারটিতে অভিযান চালানোর পর এ নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোজার পণ্যে অগ্নিমূল্য, নাজেহাল ক্রেতারা 
প্রতিবছর রমজান মাস আসার পূর্বেই নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। আর রমজানে এই নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে সরকার ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো প্রতিবছর নানারকম অঙ্গীকার-প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। দাম কমানোর জন্য সরকার নানা উদ্যোগের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি পণ্যের শুল্ক কমালেও এর কোনো প্রভাব নেই বাজারে। রোজায় পণ্যের অগ্নিমূল্যে নাজেহাল ক্রেতারা। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর বাজার, মগবাজার ও রামপুরা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা, ময়দা, ছোলা, বেসন, মাছ-মাংসসহ প্রায় সব ধরনের পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। লেবু-শসার দামও অসহনীয়।  ক্রেতারা বলছেন, যারা ব্যবস্থা নেওয়ার, তারা নিচ্ছে না। সিন্ডিকেট এতই প্রভাবশালী, তাদের বিরুদ্ধে কেউ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। বাজারঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়, যা আগে ছিল ৬০-৭০ টাকা। মাঝারি মানের প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, যা সাত দিন আগে ৪০-৫০ টাকা ছিল। পাশাপাশি এক সপ্তাহ আগে প্রতি হালি যে লেবু ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা মঙ্গলবার খুচরা বাজারে ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৩০ এবং গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য দেশে রোজা এলে পণ্যের দাম কমানো হয়। বাংলাদেশে বাড়ে। এদিকে নতুন করে ছোলার দাম কেজিতে বেড়েছে ৭ টাকা। ভারতীয় মসুর ডাল কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। বাড়তি দরের তালিকায় আছে চিনিও। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে দেড় শ টাকার ওপরে। পবিত্র রমজানে ভোক্তা পর্যায়ে খেজুরের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। অতি সাধারণ বা নিম্নমানের খেজুর কেজিপ্রতি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর কেজিপ্রতি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আবার ইফতারে অনেকেই খেজুরের পাশাপাশি মাল্টা, আপেল, পেয়ারা, আনারস, তরমুজ ইত্যাদি রাখার চেষ্টা করেন। ফলের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। যেমন এক কেজি মাল্টা ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা। এদিকে রমজান ঘিরে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম স্থিতিশীল রাখতে বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে তিনটি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করছে। এর আওতায় রোজায় পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পণ্যের আমদানি বাড়াতে ডলারের জোগান দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে কিছু পণ্যের দাম কমেছে। এছাড়া ৮ পণ্য আমদানির এলসি মার্জিন এবং ৪ পণ্যের শুল্ক কমানো হয়েছে। এরপরও পণ্যের দাম কমছে না। এ প্রসঙ্গে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যবসায়ীদের অতিমুনাফা করার প্রবণতায় পণ্যের দামে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। এসব দেখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগও নিয়েছে। তবে সুফল নেই। 
‘দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি’
‘দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি’ বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) সম্পাদনের বিষয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাণিজ্যপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করার। সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। পাইকারি বাজার, খুচরা বাজারে যাচ্ছি। সামাজিক মাধ্যমে ট্রল হচ্ছে, আগে কী সাপ্লাই চেইন ছিল না? আমি কখনও বলিনি, সাপ্লাই চেইন ছিল না, ভ্যালু চেইন ছিল না। এই ভেল্যু চেইনের উপকরণগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘বাজারে চালের দাম স্বস্তিতে আছে বলে আমি মনে করি। এক্ষেত্রে আমি কোনো অস্থিরতা পাইনি, আপনাদের (সাংবাদিক) কাছ থেকে কোনো অভিযোগও পাইনি। তেলের মূল্য ১৭৩ টাকা থেকে ১৬৩ টাকা আমরা নির্ধারণ করে দিয়েছি। খোলা বাজারে ১৪৯ টাকায় তেল বিক্রি হচ্ছে। বাজারে যাতে সরবরাহ ঠিক থাকে, সেটা আমরা নিশ্চিত করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‌‌‘বাজারে চিনি, ডালসহ কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কোনো স্বল্পতা কিংবা সংকট নেই। কাজেই এটিকে আমি অবশ্যই স্বস্তি বলব। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর নিয়ে আমি আজও কথা বলেছি। কৃষিমন্ত্রী, কৃষি সচিব ও জনপ্রশাসনের সঙ্গে আজও কথা বলেছি, যাতে তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।’ আহসানুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষি উৎপাদিত পণ্য কৃষি বিপণন বিভাগ দেখে। আমরা বাজার তদারকি করি। বাজার তদারকি করে আমরা যেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি, অনেকেই আমাদের বাজারে যাওয়াটা লম্ফঝম্ফ মনে করছেন। কেউ মনে করছেন, নতুন আসছেন শিখতে, শিক্ষানবিস হিসেবে দেখছেন। আমরা এই সমালোচনাকে গুরুত্ব দিই না, আমরা নিজেদের চেষ্টার বিষয়টি দেখি।’ তিনি বলেন, ‘উৎপাদক পর্যায়ে যারা উৎপাদন করছেন, সেখানে পরিবহন ব্যবস্থা আছে। সেই পরিবহন ব্যবস্থা থেকে পাইকারি বাজার আছে। এগুলো আরও ভালো করার সুযোগ আছে। আপনারা বলছেন, লেবুর দামের কথা। আমার এলাকায়ও লেবু হয়, দেলদুয়ারে প্রচুর লেবুর বাগান আছে। সেখানে অনেক জায়গায় কেবল লেবুর ফুল উঠছে। কিছু কিছু উৎপাদন হচ্ছে। সেখানে ছয় থেকে সাত টাকায় লেবু বিক্রি হচ্ছে। ছয়-সাত টাকার লেবু, ঢাকায় এসে ২০ টাকা হয় কেন? এটাই ভ্যালু চেইন, সাপ্লাই চেইনে আরও উন্নত করার জায়গা। এটা কী পরিবহনের কারণে বাড়ছে, নাকি আরও কোনো বাধা বিপত্তি আছে? আর কোনো প্রতিবন্ধকতা আছে? আজও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এসেছি, পরিবহনের জায়গাটা যাতে স্বচ্ছ থাকে।’
রোজার শুরুতে বাজারে অস্বস্তি 
প্রথম রোজা পালন করছে বাংলাদেশের মুসলমানরা। কয়েক দিন ধরেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তি ছিল। দাম কমানোর জন্য সরকার নানা উদ্যোগের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি পণ্যের শুল্ক কমালেও এর কোনো প্রভাব নেই বাজারে। বরং  দাম বেড়েছে বেগুন, শষা ও লেবুর। সোমবার (১১ মার্চ) রাজধানীর মিরপুর-৬ নম্বর সেকশন কাঁচাবাজার, পশ্চিম আগারগাঁওয়ের কাঁচাবাজার, মালিবাগ, মগবাজার, রামপুরা কাঁচাবাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা বড় আকারের এক হালি লেবুর দর হাঁকছেন ৮০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি পিস লেবু ২০ টাকা। আকারে ছোট লেবুর পিস কেনা যাচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, গত দুদিনের ব্যবধানে প্রতি হালি লেবু ২০-৩০ টাকা, বেগুন ও শসা কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়েছে। ইফতারে ব্যবহার হয় এমন অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে গত দুদিনে। রমজানে বেশি ব্যবহার হয় এমন বেশির ভাগ কাঁচা পণ্যের দাম বাড়তির দিকে। এদিকে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১১০ টাকা। গত বছর রোজার আগে একই পেঁয়াজের কেজি ছিল ৪০ টাকার মধ্যে। এবার রোজায় দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। এ ছাড়া মসুর ডাল, অ্যাংকর ডাল, মুগডাল, ছোলা, চিনি, সোনালি মুরগি, গরুর মাংস, বিভিন্ন ধরনের মাছ, বেগুনসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি, ধনেপাতা ও ফলের দাম। কমেছে শুধু সয়াবিন তেলের দাম।  বাজারঘুরে দেখা যায়, মানভেদে প্রতিকেজি বেগুনের দাম ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত। শসার কেজি ১০০ টাকা। ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য দেশে রোজা এলে পণ্যের দাম কমানো হয়। বাংলাদেশে বাড়ে। এদিকে নতুন করে ছোলার দাম কেজিতে বেড়েছে ৭ টাকা। ভারতীয় মসুর ডাল কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। বাড়তি দরের তালিকায় আছে চিনিও। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে দেড় শ টাকার ওপরে। বেড়েছে খেজুরের দাম। টিসিবির হিসাবে, সাধারণ মানের খেজুরের সর্বনিম্ন দর এখন ২৮০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও ২৫০ টাকা ছিল। আবার ইফতারে অনেকেই খেজুরের পাশাপাশি মাল্টা, আপেল, পেয়ারা, আনারস, তরমুজ ইত্যাদি রাখার চেষ্টা করেন। ফলের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। যেমন এক কেজি মাল্টা ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা।
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ চায় বেলারুশ
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বেলারুশ। বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, কৃষি যন্ত্রপাতি ও মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায় ইউরোপের দেশটি। রোববার (১০ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলে শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই আগ্রহের কথা জানিয়েছেন বেলারুশের ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার এভজেনি শেস্তাকোভ। এ সময় বাংলাদেশ ও বেলারুশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, দক্ষতা ও প্রযুক্তি বিনিময়সহ পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়। বৈঠকে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী জানান, বাংলাদেশের বিপুল মানবসম্পদ রয়েছে, তবে কৃষি জমি সীমিত। অন্যদিকে বেলারুশের প্রচুর জমি রয়েছে, অথচ জনসংখ্যা অনেক কম। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সুফল পেতে পারে উভয় দেশ। বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য, ঔষধ, সিরামিক, কাগজ তৈরির কাঁচামাল (পেপার পাল্প), পর্যটনসহ তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে বেলারুশের বিনিয়োগ আহ্বান করেন তিনি। এছাড়া, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য ও মানবসম্পদ আমদানিতে বেলারুশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মো. আমিন হেলালী। এ সময় বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের জন্য ভিসা ব্যবস্থা সহজীকরণে বেলারুশের ডেপুটি ফরেন মিনিস্টারের সহযোগিতা চান ব্যবসায়ী নেতারা। বৈঠকে বাংলাদেশ ও বেলারুশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাণিজ্যিক যোগাযোগ ও সমন্বয় আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেন বেলারুশের ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার এভজেনি শেস্তাকোভ। বাংলাদেশ থেকে ফল, পাটসহ কৃষিপণ্য আমদানিতে আগ্রহের কথা জানান তিনি। সেইসঙ্গে মেডিকেল কর্মী তৈরিসহ তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারেও নিজেদের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন বেলারুশের ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক, ব্যবসায়ী নেতা, সরকারি কর্মকর্তা প্রমুখ।  
‘শিগগিরই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে’
শিগগিরিই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। রোববার (১০ মার্চ) মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটে বাজার পরিদর্শন করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিগগিরিই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে। আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে সরবরাহ বাড়াবে। সারাদেশে টিসিবির ১ কোটি মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়ার মাধ্যমে বাজারে চাপ কমবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সাধারণ মানুষকে যৌক্তিক দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য কাজ করছে সরকার। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দায়িত্বভার নিয়ে সংক্ষিপ্ত সময়ে বাজার ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে একাধিক মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। রমজানের শুরুতে পণ্যের চাপ বেশি। ভোক্তা অধিদপ্তরের বিশেষ দল বাজার তদারকিতে কাজ করবে। সরকারের সব উদ্যোগের সুবিধা যেনো সাধারণ মানুষ পায়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান দেশের প্রতিটি বাজার কমিটিকে বাজার মনিটরিং করার আহ্বান রেখে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এটিএন বাংলার নির্বাহী পরিচালক হাসানুল কিরণ, কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম সেন্টু, বাজার কমিটির সভাপতি বাবুল, বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান খানসহ ব্যবসায়ী নেতারা।