হোলিতে প্রেমের বলি রওনক
গত ১ মার্চ হোলি উৎসবে কলেজছাত্র রওনককে প্রেমের কারণে হত্যা করা হয় বলে জানালো পুলিশ। এই ঘটনায় ইতোমধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত রওনক আজিমপুর নিউ পল্টন লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তার বাবার নাম শহীদ মিয়া। তার বাড়ি কামরাঙ্গীরচরে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রিয়াজ আলম ওরফে ফারহান, ফাহিম আহাম্মেদ ওরফে আব্রো, ইয়াসিন আলী, আলামিন ওরফে ফারাবি খান এবং লিজা আক্তার মাইশা।
মঙ্গলবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার(ডিসি) ইব্রাহিম খাঁন।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ওসির বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা, বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ
--------------------------------------------------------
তিনি জানান, প্রথমে মাইশা নামের এক মেয়ের সঙ্গে প্রেম ছিল রওনকের। পরে তুহু নামের আরেক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন করেন তিনি। আরও একজনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তুহুর। মাইশা এবং তুহুরের ওই প্রেমিক মিলে রওনককে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
ইব্রাহিম খাঁন বলেন, ঘটনার দিন রওনক কামরাঙ্গীরচরের বাসা থেকে কলাবাগানে বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হন। তুহুরের ওই প্রেমিকের পরিকল্পনায় এবং মাইশার প্ররোচনায় রওনক ও তার আট বন্ধু শাঁখারিবাজার যান।
তিনি বলেন, ওইদিন দুপুরে শাঁখারিবাজারে দেখা করেন রওনক ও মাইশা। এসময় তুহুর ওই প্রেমিকসহ ৪ থেকে ৫ জন রওনকের সঙ্গে ইচ্ছা করে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে রওনককে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান তারা। পরে রওনককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
উপ-কমিশনার আরও বলেন, রওনক, মাইশা, তুহু বা এই বন্ধুদের কেউ কোনো নির্দিষ্ট এলাকা বা একই প্রতিষ্ঠানের নন। তারা ফেসবুকের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হন। নির্দিষ্ট সময়ে একসঙ্গে মিলিত হন তারা। তাদের মধ্যে কলেজছাত্র যেমন আছেন, তেমনি ফলের দোকানিও আছেন।
তবে রওনককে হত্যার মূলহোতা তুহুর ওই প্রেমিককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তার নামও প্রকাশ করা হয়নি সংবাদ সম্মেলনে।
আরও পড়ুন:
এমসি/কে
মন্তব্য করুন