রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের সমাপ্তি ইনিংস ব্যবধানে হেরে
টেনেটুনে চতুর্থ দিনের সকালে গড়াল রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট। ভারতে আড়াই দিনে দুই টেস্ট শেষ করার পর বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরে উন্নতি হয়েছে বলাই যায়।
তিন দফা পাকিস্তান সফরের প্রথম দফায় লাহোরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হারের পর দ্বিতীয় দফায় টেস্ট ম্যাচ খেলতে গিয়েছিল রাওয়ালপিন্ডি। এই দফায়ও হারল বাংলাদেশ।
রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগার ব্যাটিং লাইনআপে ধ্বংসযজ্ঞ চালান পাক দুই পেসার শাহিন আফ্রিদি ও মোহাম্মদ আব্বাস।
দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল শিকার হন ৩ রানে আব্বাসের। অভিষিক্ত সাইফ হাসানের অভিষেক ম্যাচের প্রথম ইনিংসে খুলতে পারেননি রানের খাতা।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ মিঠুন। এছাড়া নাজমুল হাসান শান্তর ৩৩ আর মুমিনুল হকের ৩০ রানে কোনোমতে ২৩৩ রান সংগ্রহ করে প্রথম দিনেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় দিনে স্বাগতিক পাকিস্তান ব্যাট করতে নেমে শান মাসউদ ও বাবর আজমের শতকে ৩৪২ রানে দিন শেষ করে। তৃতীয় দিনে বাবর আজম ইনিংস টেনে নেন ১৪৩ রানে। পাকিস্তান অল-আউট হয় ৪৪৫ রানে।
বাংলাদেশের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন আবু জায়েদ ও রুবেল হোসেন।
তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ২১২ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে হারিয়ে বসে ১২৬ রান করতে ৬ উইকেট। নাসিম শাহ’র হ্যাট-ট্রিক এলোমেলো করে দেয় সফরকারী বাংলাদেশকে।
নাজমুল হাসান শান্ত, তাইজুল ইসলাম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের উইকেট নেন ৪৪ ওভারের শেষ তিন বলে।
আজ চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নামে ৮৬ রানে পিছিয়ে থেকে। ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪ রান যোগ করেই দিনের প্রথম ওভারে শাহিন আফ্রিদির শিকার হন টাইগার অধিনায়ক।
লিটন দাস একা আর পেরে উঠতে পারেননি। ৪৫ ওভারে দিন শুরু হবার পর বাংলাদেশ ব্যাটিং করেছে ৬২ ওভার দুই বল পর্যন্ত। ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ দলের স্কোর বোর্ডে জমা হয় মাত্র ৪২ রান। ইনিংস ও ৪৪ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক পাকিস্তান। নাসিম শাহ ও ইয়াসির শাহ নেন সমান ৪টি করে উইকেট।
এমআর/পি
মন্তব্য করুন