টাইগারদের দুর্দান্ত বোলিং, লক্ষ্যটা বড় নয়
বাংলাদেশ ক্রিকেটের আকাশে জমে থাকা কালো মেঘ সরে গেছে। দিল্লির বায়ুদূষণও মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারেনি শেষ পর্যন্ত। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হয়েছে ঠিক সময়েই।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ১ হাজার তম ম্যাচে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।
ভারতের লম্বা ব্যাটিং লাইন-আপের সামনে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়াটাও সাহসের ব্যাপার বটে। তার উপর টাইগার একাদশে নেই দলের দুই সেরা খেলোয়াড় সাকিব ও তামিম।
রোহিত শর্মাকে নিয়ে যতো ভয়। শফিউল ইসলামের শুরুর ওভারের পাঁচ বলে দুই চার হাঁকিয়ে ভয়ই ধরিয়ে দিয়েছিলেন রো হিট শর্মা খ্যাত রোহিত।
কিন্তু থিতু হতে পারলেন না বেশিক্ষণ। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলেই লেগ বিফোরের ফাঁদে মাত্র ৯ রাঙ করে পথ ধরেন সাজঘরের।
শিখর ধাওয়ান-রোহিতের ওপেনিং জুটি ১০ রানে ভাঙার পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ২৬ রান। ইনিংসের ৭ ওভারের সময় প্রথম ওভার করতে এসে তৃতীয় বলের মাথায় তুলে নেন লোকেশ রাহুলকে।
১৭ বলে ১৫ করা রাহুলের বিদায়ের পর আবারও ব্লুজ শিবিরে আমিনুলের আঘাত। ১৩ বলে ২২ রান করা শ্রেয়াস আয়ারকে ফেরান এই লেগ-স্পিনার।
৭০ রানে টপ-অর্ডার হারিয়ে চাপের মুখে ধাওয়ান ব্যাট চালাচ্ছিলেন ধীরে সুস্থে। কিন্তু ৪১ (৪২) রানে ফিরতে হলো রান আউটের ফাঁদে পড়ে।
অভিষেক ম্যাচে শুভাম দুবেও প্রমাণ করতে পারেননি নিজেকে। আফিফ হোসেনের দুর্দান্ত ক্যাচে ৪ বলে মাত্র ১ রান করে ফেরেন সাজঘরে।
---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দেখবেন যেখানে
---------------------------------------------------------------
এরপর দলীয় ১২০ রানের মাথায় রিষাব পন্থকে ২৭ রানে বিদায় করেন শফিউল ইসলাম।
কিন্তু আল-আমিনের করা ইনিংসের শেষ ওভারে ওয়াশিংটন সুন্দরের কুৎসিত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের লক্ষ্য গিয়ে দাঁড়ায় ১৪৯ রানে।
শফিউল ও আমিনুল ইসলাম নেন সমান ২টি করে উইকেট। এছাড়া আফিফ হোসেন নেন ১ উইকেট।
এমআর/এমকে
মন্তব্য করুন