ঐতিহাসিক সিরিজে টি-টোয়েন্টিতেও হোয়াইটওয়াশ টাইগ্রেসরা
প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবার সিরিজ খেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে দুই ফরম্যাটের সিরিজে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে স্বাগতিকরা। ওয়ানডের পর টি-টোয়েটিতেও ৩-০ তে সিরিজ জিতেছে অজিরা। এতে ঐতিহাসিক সিরিজের দুই ফরম্যাটেই হোয়াইটওয়াশ হয়েছে টাইগ্রেসরা।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) প্রথমে ব্যাট করতে নেমে টাইগ্রেসদের ১৫৬ রানের বড় লক্ষ্য দেয় সফরকারীরা। জবাব দিতে নেমে মাত্র ৭৮ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। এতে ৭৭ রানের জয় পায় অজিরা। ফলে ৩-০ ব্যবধারে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ৪৪ রানেই সাত উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ইনিংসের পঞ্চম বলে ১ রান করে আউট হন মুর্শিদা খাতুন। ১১ বলে ১০ রান করে রিতু মনি আউট হলেও শূন্য রান করে তাকে সঙ্গ দেন স্বর্ণা আক্তার।
১৮ বলে ১২ রান করে আউট হন আরেক ওপেনার দিলারা আক্তার। এরপর উইকেট মিছিলে যোগ দেন রাবেয়া খান (১), ফাহিমা খাতুন (১১), শরিফা খাতুন (০), নাহিদা আক্তার (১) এবং মারুফা আক্তার। শেষদিকে ফারিহাকে সঙ্গে নিয়ে অলআউট না হওয়ার জন্য প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন নিগার সুলতানা জ্যোতি।
কিন্তু ১৯তম ওভারের প্রথম বলে জ্যোতি বোল্ড আউট হলেও ৭৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এতে ৭৭ রানের বড় জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। ৩১ বলে ৩২ রান করেন টাইগ্রেস দলপতি।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন টেলা ভ্লেমিঙ্ক। এ ছাড়াও জর্জিয়া ওয়ারহ্যাম দুটি, মেগান স্কট, এলিশ পেরি, অ্যাশলেঘ গার্ডনার, শফি মোলিনেক্স ও আনাবেল সাদারল্যান্ড একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই অজি ওপেনার এলিশা হিলি ও বেথ মুনি। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি মুনি। ১৩ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
ফিফটির কাছ থেকে ফেরেন হিলিও। ২৯ বলে ৪৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন অজি দলপতি। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি এলিস পেরি। ১১ বলে ৮ রান করে আউট হন তিনি। অ্যাশলেঘ গার্ডনার করেন ২১ বলে ১৬ রান।
জর্জিয়া ওয়েরহাম ৬ বলে ৪ রান করে আউট হলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন তাহলিয়া ম্যাকগার্থ। শেষ পর্যন্ত গ্রেস হ্যারিসের ১১ বলে ১৯ রান এবং ম্যাকগার্থের ২৯ বলের অপরাজিত ৪৩ রানে ভর করে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানের বড় পুঁজি পায় অজিরা।
মন্তব্য করুন