ইউরো কাপ
ইংলিশদের মাঠে ইতালির উৎসব
৫৫ বছর পর বড় কোনও আসরের ফাইনালে উঠেও ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষের উৎসব দেখতে হলো ইংল্যান্ডকে। ‘ইটস কামিং হোম’ স্লোগানে মাতোয়ারা ইংলিশদের ভুল প্রমাণ ইতালিয়ানদের গাওয়া ‘ইটস কামিং টু রোম’ স্লোগানকে সত্যি করে ট্রফি চলে গেল রোমে। রোববার ওয়েম্বলিতে ইউরো কাপের ফাইনালে ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হেরে বেদনায় নীল হতে হলো হ্যারিকেইনদের।
ওয়েম্বলিতে প্রথম মিনিট থেকেই উত্তেজনার পারদ ওঠে দুই দলের আক্রমণে। তবে ম্যাচের ১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের মাথায় ইংলিশরা প্রথম শটেই ইতালির জালে বল পাঠায়। লুক শ’র করা গোলটা ইউরোর ফাইনালের ইতিহাসে দ্রুততম গোল!
এরপর ধার বাড়ে আক্রমণের। গোল হজম করে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে ইতালি। কিন্তু ইংল্যান্ডের রক্ষণভাগ ভেদ করা সম্ভব হয়নি। প্রথমার্ধে আর গোল করতে পারেনি কোনও দল।
বিরতি শেষে দ্বিতীয়ার্ধেরও অনেকটা সময় পার হয়ে যায় গোল ছাড়া। দুই দলের রক্ষণভাগে ভেস্তে যায় বেশ কয়েকটি শট। ৬৪ মিনিটের মাথায় চিয়েসার নেয়া নেয়া দুর্দান্ত শটটাও আটকে দেন পিকফোর্ড।
যদিও ইতালির অপেক্ষা করতে হয়নি বেশিক্ষণ। ৬৭ মিনিটের মাথায় গোটা গ্যালারি স্তব্ধ করে দেয় ইতালিয়রা। কর্নার থেকে মার্কো ভেরাত্তির হেড কোনোমতে ঠেকানো গেলেও বল রাখতে পারেননি পিকফোর্ড। বারে লেগে ফেরা বল আলতো পায়ে জালে পাঠান বোনুচ্চি।
এরপর বাকি সময়ে আর কোনও শটই নিতে পারেনি দুই দল। অতিরিক্ত আরও ৭ মিনিট পেলেও কাজে আসেনি। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। ১০৩ মিনিটের মাথায় গোল করার দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন বের্নারদেস্কি। এর দুই পর ইতালির ফ্রিকিকটাও রুখে দেন ইংলিশ গোল-রক্ষক।
আসে টাইব্রেকার। প্রথম শট নেন ইতালির বেরার্দি। বাঁ পায়ের শটে পরাস্থ করেন পিকফোর্ডকে। এরপর হ্যারিকেইনের নেয়া শটে সমতা আসে ১-১। দ্বিতীয় শট নিতে এসে তালগোল পাকান বেলোত্তি। বাঁ দিকে নেয়া শট রুখে দিয়ে দিয়ে ইংলিশরা এগিয়ে যায়।
মাগুইরের নেয়া দ্বিতীয় শটও সফল হয়। ব্যবধান কমাতে এসে সফল স্পট কিক নেন বোনুচ্চি। এরপর র্যাশফোর্ডের নেয়া ইংল্যান্ডের তৃতীয় শট বাধা পায় বাঁ দিকের পোস্টে। বের্নার্ডেশচির নেয়া চতুর্থ শটে আবারও এগিয়ে যায় ইতালি।
এরপর দুই দলের দুই গোলরক্ষক দুটি স্পট-কিক আটকে দিলে ইতালিয়রা ৩-২ গোলে জিতে ফেটে পড়েন উৎসবে। টানা ৩৪ ম্যাচ অপরাজেয় থাকা ইতালি ১৯৬৮ সালের পর আবারও স্বাদ পেল ইউরোপ জয়ের।
এমআর/পি
মন্তব্য করুন