গুলির লক্ষ্যবস্তু আনাসের বদলে আমিও হতে পারতাম: আসিফ মাহমুদ
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্টের একটি ঘটনার স্মৃতিচারণ করে তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ওই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, সেদিন স্নাইপারের গুলিতে শহীদ হওয়া আনাসের একটি চিঠি শেয়ার করে এই স্মৃতিচারণ করেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে আসিফ মাহমুদ লেখেন, ৫ আগস্ট নাজিমউদ্দীন রোডের দিক থেকে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করছিলাম আমরা। চানখারপুল থেকে পুলিশ, বিজিবি গুলি করছিল থেমে থেমে। আবার বার্ন ইউনিট থেকে স্নাইপার ব্যবহার করা হচ্ছিল। স্নাইপারের গুলিতে আমার পাশে দাঁড়ানো অবস্থাতে শহীদ হয় আনাস। গুলির লক্ষ্যবস্তু আনাসের বদলে আমিও হতে পারতাম।
লংমার্চের ডাক দেওয়ার পর এই চিঠি লিখে বের হয়েছিল আনাস।
আরটিভি/এমএ-টি
মন্তব্য করুন
উপদেষ্টা আসিফকে নিয়ে এক্স পোস্টে যা বললেন পাকিস্তান হাইকমিশনার
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠান শেষে উপদেষ্টা আসিফের সঙ্গে সেলফি তোলেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার।
এর কিছুক্ষণ পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (টুইটার)-এ সেই ছবি পোস্ট দেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।
টুইটে হাইকমিশনার লিখেন, আজকে যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ হয়েছে। এ সময় বিপিএলের (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি কিংবদন্তি গায়ক রাহাত ফতেহ আলী খানের পারফরম্যান্সসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে এসেছে।
আরটিভি/এএইচ-টি
শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এ কথা কি সত্যিই বলেছেন ট্রাম্প?
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’ সম্প্রতি নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন একটি বক্তব্য সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তবে ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেননি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফরাসি বার্তা সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে ওই সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’-এমন মন্তব্য তো দূরের কথা বাংলাদেশ প্রসঙ্গেও কোনো কথা বলেননি।
এতে আরও বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বিপ্লবের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাতের প্রায় ৩ মাস পর স্যোসাল মিডিয়ার একাধিক পোস্টে অসত্য দাবিটি করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘যেহেতু শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি, তাই তিনি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।’ সম্প্রতি স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি দেখাতে পারেননি বলে সংবাদ প্রকার করেছে।
এএফপির প্রতিবেদনে গত ৯ নভেম্বর ফেসবুকে লেখা একটি পোস্টের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পোস্টটিতে লেখা হয়েছে, পিবিডিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলে মনে করেন তিনি। বাংলাদেশ সরকারের অবৈধ দখলদারদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, যারা বলছেন শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, তারা আমাকে পদত্যাগপত্রটি দেখান। ওই পোস্টের ছবিতে দেখা যাচ্ছে পিবিডি পডকাস্টের উপস্থাপক প্যাট্রিক বেট-ডেভিডের সঙ্গে বসে আলাপচারিতা করছেন ট্রাম্প। ছবির ওপর বাংলায় লেখা, ‘আমি মনে করি হাসিনা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী : ট্রাম্প’। একই ধরনের দাবি করে ফেসবুকে আরও অনেক পোস্ট দেওয়া হয়েছে।
ফরাসি বার্তা সংস্থা বলেছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র দেখেননি, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে এমন কথা বলার পরই শেখ হাসিনাকে নিয়ে ট্রাম্পের নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ কথা ছড়ায়। রাষ্ট্রপতির ওই মন্তব্য হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি অবৈধ হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান। সেদিনই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ঘোষণা দেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন।
আরটিভি/এসএপি-টি
মাহমুদুর রহমান সৎসাহস ও দেশপ্রেমের জীবন্ত প্রতীক: আসিফ নজরুল
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে সৎসাহস আর দেশপ্রেমের জীবন্ত প্রতীক বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এ অ্যাখ্যা দেন।
এ সময় আইন উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে নিজের কয়েকটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে আরও লিখেছেন, বহু বছর পর দেখা হলো প্রিয় মাহমুদ ভাইয়ের সঙ্গে। দুইদিন আগে বাংলা একাডেমিতে।
সবশেষে তিনি কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ও লতিফুল ইসলাম শিবলীকে ধন্যবাদ জানান।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পোস্টটিতে দেড় হাজারেরও বেশি পাঠক মন্তব্য করেছেন।
ইয়াসিন সোহাগ নামে একজন লিখেছেন, সময়ের সাহসী সন্তান মাহমুদুর রহমানের সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি।
রুমন আহমেদ লিখেছেন, রক্তাক্ত অবস্থায় যখন তিনি বলেছিলেন এই দেশের জন্য এবং ইসলামের জন্য আমি জীবন দেব, তখন থেকে উনার প্রতি আলাদা একটা ভালোবাসা জন্ম নিয়েছে, আল্লাহ উনাকে নেক হায়াত দান করুন।
আবুল বাসার আব্দুল আওয়াল লিখেছেন, আপনারা সুপরামর্শ করে দেশকে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, সেই চিন্তাভাবনা করবেন। ইনশাআল্লাহ্, দেশ এগিয়ে যাবে।
ফেরদৌস আকন্দ নামে আরেকজন লিখেছেন, আপনাদের উভয়ের জন্যই অনেক অনেক শুভকামনা। দেশ ও জাতির কল্যাণে আপনাদের ভূমিকা বলিষ্ঠ হোক।
আরটিভি/আইএম/এস
‘মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি’, এই দাবির সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল
আবারও আলোচনায় এসেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মীর মাহফুজুর রহমান। তবে এই আলোচনা শুরু হয়েছে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকের কিছু পোস্টকে ঘিরে। সেগুলোতে দাবি করা হয়েছে, মুগ্ধ মারা যাননি, মুগ্ধ-স্নিগ্ধ দুই ভাই নয়, মুগ্ধই স্নিগ্ধ ছিল।
তবে ফ্যাক্ট চেক প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার বাংলাদেশ জানিয়েছে, এসব দাবি মিথ্যা। মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ পৃথক দুই ব্যক্তি। তারা দুজন যমজ ভাই। ওপেন সোর্স অনুসন্ধানের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত মুগ্ধ ও স্নিগ্ধের একসঙ্গে তোলা অসংখ্য ছবি ও ভিডিওর বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে তারা।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের পানি খাওয়াতে গিয়ে শহীদ হন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। অথচ সম্প্রতি মুগ্ধের মৃত্যু নিয়ে সংশয় ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট করা হয়। তার মধ্যে একটি পোস্টে দাবি করা হয়, ‘মুগ্ধ মারা যায়নি, মুগ্ধ নামে কেউ ছিলই না! মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ দুই ভাই নয়, মুগ্ধই স্নিগ্ধ ছিল। মানুষ একজনই!’
সাপোর্টারস অব বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপের পোস্টে মুগ্ধের মৃত্যুর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ পোষণ লেখা হয়েছে, ‘মুগ্ধর ডেডবডির ছবি কেউ দেখে নাই, মুগ্ধর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট, জানাজা, কবর কই?’
তবে এর জবাব দিতেও ছাড়েনি জুলাই আগস্ট আন্দোলনের সমর্থকরা। একজন লিখেছেন, মুগ্ধরা মরে না, তারা চিরদিন বেঁচে থাকবে আমাদের মনে। তাদের এ আত্মত্যাগ যুগ যুগ ধরে সবাই মনে রাখবে। আল্লাহ মুগ্ধকে বেহেশতের উচ্চতর শিখরে পৌঁছে দিক।
আরটিভি/এসএপি/এস
নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ভঙ্গুর রাষ্ট্র ব্যবস্থার মেরামত তত দেরি হবে: তারেক রহমান
নির্বাচন যত দেরিতে হবে, আওয়ামী লীগের নিজ স্বার্থে গড়ে তোলা ভঙ্গুর রাষ্ট্র ব্যবস্থার মেরামত তত দেরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেছেন, নিজেদের স্বার্থ হাসিলে আওয়ামী লীগ যে ভঙ্গুর রাষ্ট্র ব্যবস্থা নির্মাণ করেছিলো, তা দীর্ঘায়িত হবে যদি নির্বাচন দেরিতে হয়।
জনস্বাস্থ্য খাত, শিক্ষা ব্যবস্থা, বহুমুখী সংকটের আবর্তে আটকে পড়া কৃষক ও কৃষি ব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনে ব্যাপকভাবে রাজনীতিকরণের ফলে সৃষ্ট সংকটগুলো দূর করে বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে দ্রুত নির্বাচন প্রয়োজন বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তারেক রহমান আরও লিখেন, একমাত্র জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত সরকারের পক্ষেই জাতির পুনর্গঠন সম্ভব।
জনগণের পছন্দের প্রতিনিধিকে সম্মান করা হবে এবং প্রতিনিধিদের অবশ্যই জনগণের সেবা করতে হবে। উভয়পক্ষকেই রাষ্ট্র পরিচালনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে, যাতে সবার জন্য সমতা, অন্তর্ভুক্তি এবং উন্নয়ন নিশ্চিত হয় বাংলাদেশে।
ফেসবুকে যে বার্তা দিলেন মাহফুজ আলম
চট্টগ্রামের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ছাত্র জনতাকে অভিবাদন! দায়িত্ব ও দরদের নজির দেখিয়ে আপনারা বাংলাদেশকে গর্বিত করেছেন। বাংলাদেশ আর কারও ষড়যন্ত্রের সামনে পরাস্ত হবে না। ইনশাআল্লাহ।
‘আমাদের ব্যক্তি ও সমষ্টির ‘শক্তি’ সাধনায় দরদি ও দায়িত্ববান হয়ে রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হয়ে ওঠা মোক্ষ। আমাদের এ অভ্যন্তরীণ শক্তি যেকোন বহিঃশত্রুকে পর্যুদস্ত করবে। আমরা আর Colonizable হবো না।’
মাহফুজ আরও লিখেছেন, বিশেষ ধন্যবাদ প্রাজ্ঞ আলেম ও মুসলিম নেতৃবৃন্দের প্রাপ্য। আপনারা এ গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে বাঙ্গালি মুসলমানকে দায়িত্বশীল আচরণে অনুপ্রাণিত করেছেন। ধর্ম, বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সমান অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে আপনাদের আজ ও আগামীর প্রাজ্ঞ উদ্যোগ বাংলাদেশ রাষ্ট্রে আপনাদের ইজ্জত ও শরিকানা নিশ্চিত করবে।
‘হঠকারিতা, নেতিবাচকতা ও ভাঙ্গনের মানসিকতা থেকে বের হয়ে আমাদের সৃজনশীল ও ইতিবাচক মানসিকতায় এ রাষ্ট্রকে গড়তে হবে। এ রাষ্ট্র পরিগঠন করলেই কেবল জুলাই শহিদানসহ শহিদ আলিফের শাহাদাত অর্থবহ হয়ে উঠবে।’
আরটিভি/আরএ
হাসনাত-সারজিসের গাড়িবহরে দুর্ঘটনার বর্ণনা দিলেন রাফি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়ক খান তালাত মোহাম্মদ রাফি বলেছেন, আমাদের নিরাপত্তাঝুঁকি আছে। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুক। শহীদ অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আরিফ ভাইয়ের কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আমাদেরকে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক লাইভে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
রাফি জানান, হয়তো তাদের বেঁচে থাকার কথা ছিল না। অথচ এখন কথা বলতে পারছেন। বিভিন্ন ষড়যন্ত্র প্রতিনিয়তই ঘিরে আছে এবং বিভিন্নভাবে তাদেরকে বিপদের সম্মুখীন করার চেষ্টা চলছে। সারজিস ও হাসনাতসহ তারা আজ নিহত আলিফের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাদের সাথে তিনটা গাড়ি ছিল। তারা কবর জিয়ারত করতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে সৌভাগ্যবশত তারা গাড়ি চেঞ্জ করে ফেলেছিলেন। হাসনাত ও সারজিস একটা গাড়িতে ছিলেন, সে একটা গাড়িতে ছিলেন। এবং রাফির বন্ধুরা ও ভাইয়েরা অন্য আরেকটা গাড়িতে ছিলেন। তাদের সামনে ওই গাড়িটা ছিল। একটা ট্রাক এসে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের সামনের গাড়িকে চাপা দেয়। যখন ট্রাক আসতে দেখেছে, তখনই গাড়িটা ব্রেক করা হয়। কিন্তু গাড়ি ব্রেক করা স্বত্তেও ট্রাক চাপা দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, গাড়িতে ট্রাকচাপা দেওয়ার পরও আরও দুটি বাইক দিয়ে চাপা দেওয়া হয়। এ সময় ড্রাইভারকে ধরে জিজ্ঞেস করা হলে সে বলে, তাকে মেরে ফেললে মেরে ফেলন। মামলা দেবেন? দিন। মানে সে ভিত্তিহীন কথা বলতে থাকে। পরে রাফিরা জানতে পারেন যে ট্রাকটি চাপা দেয়, সেই চালক হলো আওয়ামী দোসর। তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
রাফি বলেন, আমাদের নিরাপত্তাটা কোথায়? আমরা জানিনা। আমরা শুরু থেকে বলে আসছি, দিন নাই রাত নাই আমরা ছুটে চলছি। যখন যেখানে যে সমস্যা হচ্ছে আমরা যাচ্ছি। কথা বলতেছি। কিন্তু কিছু মহল শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের পেছনে লেগে আছে আমাদের ক্ষতি করার জন্য। যার প্রতিফিলন আজ আপনারা দেখেছেন।
এ সময় তিনি এই ঘটনা পরিকল্পিত বলে দাবি করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়ক।
এর আগে বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়িবহরের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে। এদিন দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মহানগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে ওই জানাজায় অংশ নেন হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।
আরটিভি/এসএপি