পুলিশ মায়ের কুচকাওয়াজে পা মিলালো শিশু, ভিডিও ভাইরাল
![পুলিশ মায়ের কুচকাওয়াজে পা মিলালো শিশু, ভিডিও ভাইরাল](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2022/01/14/image-162257-1642152723.jpg)
ফাইল ছবি
মাঠে নারী পুলিশের প্রশিক্ষণ চলছিল। সেখানে এক নারী পুলিশের সঙ্গে তার শিশু সন্তানও আসে। কিন্তু বাহিনীর সদস্যরা যখন কুচকাওয়াজের ছন্দে আগ-পিছ করছিলেন তখন মাঠের এক পাশে থাকা শিশুটি দ্রুত দৌড়ে এসে তাদের অনুকরণ করতে থাকে। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) মাত্র ২১ সেকেন্ডের এই ভিডিওটি ফেইসবুকে পোস্ট করেছেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের পিবিআই-এর এসপি রহমান শেলী।
ক্যাপশনে শেলী লেখেন, মা এসেছেন প্রশিক্ষণে। আমি মাকে দেখতে এসেছি। মায়ের সঙ্গে এট্টুখানি আমিও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করি। মা অনেক কঠিন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। মা দেশ ও দশের কল্যাণের জন্য তৈরি হচ্ছেন। আই লাভ মা। আই লাভ বাংলাদেশ পুলিশ।
অবশ্য ভিডিওটি কোথায় বা কখন ধারণ করা হয়েছে- এর কিছুই উল্লেখ করেনি এ পুলিশ কর্মকর্তা।
আরএ/টিআই
মন্তব্য করুন
মায়ের মৃত্যুর পর সবাইকে সতর্ক করে যা বললেন ভ্লগার নাদির
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ট্রাভেল ভ্লগার নাদিরের মা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। সোমবার (২০ মে) নাদির তার ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে এ কথা জানান।
সেই সঙ্গে সবাইকে সতর্ক করে পোস্টে নাদির লিখেন, ‘যদি আপনাদের মধ্যবয়স্ক কেউ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন, তাহলে তাকে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভ্যাকসিন দিবেন।’
পোস্টের প্রথমেই মায়ের জন্য দোয়া চেয়ে নাদির লিখেন, ‘আমার প্রিয় মামনি আর আমাদের মাঝে নেই। দয়া করে আপনারা তাকে আপনাদের দোয়ায় রাখবেন। গত সপ্তাহে তিনি অসুস্থা হয়ে পরলে আমরা ভেবেছিলাম এটি মৌসুমী ফ্লু। আমার বাবাও গত সপ্তাহে সেরে উঠেছেন মৌসুমী ফ্লু থেকে। কিন্তু সব কিছু ঠিক থাকলেও দুইদিন আগে মায়ের কফের সঙ্গে রক্ত যাওয়াতে সে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। এ সময় আমি ইন্দোনেশিয়া ছিলাম।’
তিনি আরও লিখেন, ‘শনিবার সন্ধ্যায় যখন আমি জানতে পারি যে সে সত্যিই অসুস্থ, তখন সে ইতোমধ্যেই আইসিইউতে ভর্তি। মায়ের নিউমোনিয়া ধরা পরে সেই সঙ্গে সাদা রক্ত কণিকার সংখ্যা অনেক কমে যায়। আমি দেশের ফেরার জন্যে দ্রুততম ফ্লাইটটি ধরার আগেই সে আমাদের ছেড়ে চিরদিনের জন্যে চলে যান’
নাদিরের জন্ম দিনাজপুরে। পুরো নাম নাদির নিবরাস। জন্ম দিনাজপুরে হলেও মা, বাবা ও বোনসহ ঢাকায় থাকতেন। ঢাকার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল থেকে ও এবং এ লেভেল করে ২০১০ সালে নাদির চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে যন্ত্রকৌশলে স্নাতক ও ডেটা সায়েন্স অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন। পিএইচডি শুরু করলেও এখন আর শেষ করার ইচ্ছা নেই।
ট্রাভেল ভ্লগ দুনিয়ায় সবাই নাদিরকে ‘নাদির অন দ্য গো’ নামেই চেনেন বেশি। ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলা ও ইংরেজি ভ্লগ বানিয়ে এরই মধ্যে তিনি হয়ে উঠেছেন দারুণ জনপ্রিয়। ২০১৬ সালে ইউটিউবে চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোড শুরু করলেও সেটা ছিল নিতান্তই শখের কাজ।
২০২০ সালে করোনার ঘরবন্দী সময়ে মনোযোগ দেন ট্রাভেল চ্যানেলে। এর পর থেকেই পরিচিতি পেতে শুরু করেন। ২০২১ সালে সেরা ট্রাভেল ভ্লগ বিভাগে নাদির পেয়েছেন ব্লেন্ডারস চয়েস-দ্য ডেইলি স্টার ওটিটি অ্যান্ড ডিজিটাল কনটেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২১।
![মায়ের মৃত্যুর পর সবাইকে সতর্ক করে যা বললেন ভ্লগার নাদির](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/05/21/image-274602-1716285241.jpg)
ফেসবুকে এমপি আনারের মেয়ের আবেগঘন স্ট্যাটাস
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে চিকিৎসার জন্য গিয়ে নিখোঁজের ৮ দিন পর কলকাতার একটি এলাকায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আনোয়ারুল আজীম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
বুধবার (২২ মে) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ স্ট্যাটাস দেন তিনি।
স্ট্যাটাসে ফেরদৌস ডরিন লেখেন, ‘আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই। প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, ধৈর্য ধরো বিচার হবে।’
এর আগে দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ডরিন বলেন, ‘আমার বাবাকে হত্যা করে আমাকে এতিম করে দিলো, আমি আমার বাবার হত্যাকারীদের দেখতে চাই, তাদের ফাঁসি চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে সন্দেহ করছি না। তবে আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে তাদের আমি দেখতে চাই।’
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতের পশ্চিবঙ্গে যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার। ১৬ মে দিল্লি যাওয়ার কথা বলে নিখোঁজ হন তিনি। আজ বুধবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধাননগরের নিউটাউন এলাকায় সঞ্জিভা গার্ডেন থেকে নিউটাউনের টেকনোসিটি থানার পুলিশ আনারের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
![ফেসবুকে এমপি আনারের মেয়ের আবেগঘন স্ট্যাটাস](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/05/22/image-274746-1716376033.jpg)
ফেসবুকের ১৪৮ অ্যাকাউন্ট-পেজ বন্ধ নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি
সংঘবদ্ধভাবে অসত্য প্রচারের কারণে বাংলাদেশের ৫০টি ফেসবুক আইডি ও ৯৮টি পেজ বন্ধ করেছে ফেসবুক৷ এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও দলটির গবেষণা সেল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফর্মেশন (সিআরআই)-এর সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে মেটা৷ প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এসব অপকর্মের নেপথ্যে যারা রয়েছে, তারা ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছে, যার অনেকগুলো স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মধ্য দিয়েই চিহ্নিত হয়েছে এবং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷
বৃহস্পতিবার ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটার ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে৷ মেটা যেসব অ্যাকাউন্ট বন্ধের কথা বলেছে তার মধ্যে আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদের টুইটার অ্যাকাউন্টও রয়েছে৷
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তন্ময় আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ফেসবুক যেভাবে লিখেছে, তা দেখে আমি বিস্মিত হয়েছি৷ এভাবে তো তারা লিখতে পারে না৷ এই আইডি বা পেজগুলো কারা চালায়, সেটা তো তারা নিশ্চিত নয়৷ কিন্তু তারা ঢালাওভাবে যে অভিযোগ করেছে, সেটা সত্যি নয়৷ আবার ওই তালিকায় আমার টুইটার অ্যাকাউন্টের কথা বলা হয়েছে, অথচ আমার টুইটার অ্যাকাউন্টটি চালু আছে৷ শিগগিরই আমি আমার ভেরিফাইড টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিয়ে সবাইকে বিষয়টি জানাবো৷
এই ১৪৮টি পেজ ও আইডি বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কিছু জানে কিনা জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের কাছে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই৷ আমরা তাদের কাছে কিছু আইডি বা পেজের ব্যাপারে সুপারিশ করি, সেগুলো নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়৷ এগুলো তারা কিভাবে করেছে, আমরা কিছুই জানি না৷
মেটার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই চক্রটি বাংলাদেশভিত্তিক এবং এদেশের মানুষই ছিল তাদের প্রধান টার্গেট৷ এই পেজগুলোর মধ্যে কোনো কোনোটি একেবারে কল্পিত কোনো সংস্থার পরিচয় দিয়েছে৷ আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমের নাম ব্যবহার করেছে৷ কিছু পেজ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নাম ব্যবহার করেছে এবং বিএনপিবিরোধী কনটেন্ট পোস্ট করেছে৷ এসব পেজের বিচরণ ইউটিউব, এক্স (সাবেক টুইটার), টিকটক, টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মেও ছিল৷ পাশাপাশি নিজেদের ওয়েবসাইটও ছিল৷
এই ধরনের অপপ্রচারের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-র সাইবার ক্রাইম ইউনিটের উপ-মহাপরিদর্শক শ্যামল কুমার নাথ ডয়চে ভেলেকে বলেন, এই ১৪৮টি পেজ বা আইডির ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না৷
তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)-র সাইবার ক্রাইম বিভাগের উপ-কমিশনার তারেক আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, বিভিন্ন ঘটনায় আমরা ফেসবুকের কাছে তালিকা পাঠাই৷ সেখানে এই নামগুলো আছে কিনা, সেটা তো না দেখে বলা যাবে না৷ তবে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত আইডি বা পেজগুলোর বিরুদ্ধেই আমরা রিপোর্ট করি৷ যে পেজ বা আইডিগুলো বন্ধ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ ছিল, সেটা তো আমরা জানি না৷
মেটার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই চক্র প্রধানত বাংলা ভাষায় এবং ইংরেজিতে বাংলাদেশের রাজনীতি, নির্বাচন, বিএনপির সমালোচনা, বিএনপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, নির্বাচন পূর্ব সহিংসতায় বিএনপির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নিয়ে সংবাদ ও চলতি ঘটনা পোস্ট করতো৷ পাশাপাশি বর্তমান সরকার, ক্ষমতাসীন দল এবং বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে এর ভূমিকা এসব সমর্থন করে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করতো৷
মেটা বলছে, তারা অনুসন্ধানে এসব কর্মকাণ্ড স্প্যাম ও অসত্য কর্মকাণ্ড বলে দেখতে পেয়েছে৷ যদিও এর নেপথ্যের ব্যক্তিরা তাদের পরিচয় গোপন করার চেষ্টা করেছে, তারপরেও মেটার অনুসন্ধানে আওয়ামী লীগ এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফর্মেশন সিআরআইর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে৷
সরিয়ে দেওয়া আইডি ও পেজগুলোতে সম্মিলিতভাবে প্রায় ৩৪ লাখ ফলোয়ার ছিল৷ এসব পেজ থেকে ৬০ ডলার বিজ্ঞাপনের জন্য খরচের কথাও জানিয়েছে মেটা, যা টাকায় পরিশোধ করা হয়েছে৷ এই আইডি বা পেজগুলোর বিরুদ্ধে বিএনপি কোনো অভিযোগ করেছিল কিনা জানতে চাইলে বিএনপির মিডিয়া সেলের আহবায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন ডয়চে ভেলেকে বলেন, আমরা সরাসরি মেটার কাছে কোনো অভিযোগ করিনি৷ কিন্তু আমরা আগাগোড়াই বলে আসছি, আমাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার করছে৷ এতদিন এগুলো রাজনৈতিক বক্তব্য হিসেবে কেউ গুরুত্ব দেয়নি৷ কিন্তু এখন মেটা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় প্রমাণিত হলো, আমরা যে অভিযোগ এতদিন করে আসছিলাম, সেটা সত্যি৷
বিএনপির নীতিগত সিদ্ধান্ত আছে, আমরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করবো, কিন্তু এখানে কোনো ধরনের অপপ্রচার, মিথ্যা বা বিভ্রান্তিমূলক খবর প্রচার করবো না৷ অথচ আমাদের বিরুদ্ধে এগুলো হচ্ছে৷
তবে মেটার এই ধরনের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এভাবে একটা দলের বিরুদ্ধে লিখতে পারে না৷ ওই আইডি বা পেজগুলো কারা চালাতো? কোনো বিএনপি সমর্থকও ওগুলোর মালিক হতে পারেন৷ আবার সারা বিশ্বে আমাদের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, সেটা তো তারা দেখলো না৷ বিদেশে বসে পিনাকি কী করছে, অন্যরা কী করছে? আমি তো মনে করি, এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত৷ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পরই তো প্রযুক্তির এত উন্নতি হয়েছে৷ এখন সেই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে যা ইচ্ছে তাই করা হবে, সেটা তো মেনে নেওয়া যায় না৷ বাংলাদেশে এগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিয়মনীতি থাকা জরুরি৷ আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলবো৷ এ ব্যাপারে অবশ্যই আমরা কিছু একটা করবো৷
![ফেসবুকের ১৪৮ অ্যাকাউন্ট-পেজ বন্ধ নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/01/image-276209-1717217967.jpg)
‘আব্বু তোমার কি কষ্ট হচ্ছে’
বাংলাদেশ ও ভারতের পুলিশ ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বাবাকে নিয়ে ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
রোববার (২ জুন) তিনি লিখেছেন, ‘কেন তুমি চলে গেলে আব্বু, কেন চলে গেলে? আজ কালীগঞ্জের মানুষ আহাজারি করছে, রাস্তায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে তোমার জন্য মানববন্ধন করছে। আমার এসব দেখেতো অনেক কষ্ট হচ্ছে আব্বু। আব্বু তোমার কি কষ্ট হচ্ছে?’
ডরিন আরও লিখেছেন, ‘আমার তো অনেক কষ্ট হয়, যখন সবাই বলে ওপারে ভালো থাকবেন। আমার তো কলিজাটা ছিঁড়ে যায় আব্বু। আমি মানতে পারি না।’
আনারকন্যা পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘তোমার হত্যার বিচার হবেই ইনশাআল্লাহ। এর জন্য যা করণীয়, আমি সব করবো আব্বু। কিন্তু তুমি তো আর আমাকে বলবে না, আমার আম্মুটা কই। জীবনে সব পাওয়া গেলেও তোমাকে তো ফিরে পাবো না আমি আব্বু।’
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ছিলেন আনোয়ারুল আজিম।
২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জিভা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বি-ইউ ৫৬ নম্বর রুমে খুন হয়েছেন এমপি আনার। পরে ওই ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে তার দেহের খণ্ডিতাংশ উদ্ধার করে পুলিশ।
![‘আব্বু তোমার কি কষ্ট হচ্ছে’](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/02/image-276435-1717335697.jpg)
‘টাকার বিনিময়ে সুদর্শন তরুণটির সঙ্গ উপভোগ করতেন লায়লা’
সম্প্রতি লায়লা আক্তার ফারহাদের (৪৮) দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১১ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিন। তিনি প্রিন্স মামুনের পক্ষে অবস্থান স্পষ্ট করেছেন ওই পোস্টে। দীর্ঘ লেখায় এই লেখক তার মতামত ব্যক্ত করেন। তিনি লায়লাকেই দোষারোপ করেন। মামুনকে অসহায় এবং চক্রান্তের শিকার বলে দাবি করেন।
তসলিমা নাসরিনের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, প্রিন্স মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রিন্স মামুন ছিল লায়লা আক্তারের জিগোলো। সেই অল্প বয়সী তরুণদের জিগোলো বলা হয় যারা টাকা-পয়সা আর নানা উপহার সামগ্রীর বিনিময়ে বয়স্কাদের সঙ্গ দেয়। মূলত যৌনসঙ্গ। ৪৮ বছর বয়সী লায়লা ২৪ বছর বয়সী মামুনকে জিগোলো হিসেবেই রেখেছিলেন। মামুনকে তিনি মাঝে মাঝে টাকা দিতেন, তার বিনিময়ে সুদর্শন তরুণটির সঙ্গ উপভোগ করতেন। মামুনকে শুধু যৌনসঙ্গী হিসেবে ব্যবহার করতেন না, মামুনকে তিনি টাকা রোজগারের জন্যও ব্যবহার করতেন। মামুনের পেছনে তিনি যত টাকা ব্যয় করতেন, তার চেয়ে বেশি তিনি মামুনের সঙ্গে ভিডিও বানিয়ে আয় করতেন। জনপ্রিয় টিকটকার মামুন নাচতো, বা গানের সঙ্গে ঠোঁট মেলাতো, তার পাশে রং করা পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে থাকতেন লায়লা—এসব অর্থহীন রুচিহীন ভিডিও ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, ফেসবুকে আপলোড করতেন তিনি। শুধু নাচ গানের ভিডিও নয়, মামুন খাচ্ছে, মামুন হাসছে, মামুন খেলছে সবকিছুর ভিডিও তার করা চাই, মামুনের জন্য ভিউয়ার সংখ্যা এত বেশি ছিল যে তিনি এ থেকে ভালো টাকা রোজগার করতেন। করতেনই বা বলি কেন, রোজগার এখনও করছেন।
তিনি লেখেন, তিনি (লায়লা) ধনী। মামুন দরিদ্র। তিনি মামুনকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন, মামুনকে খাওয়াচ্ছেন, পরাচ্ছেন। ইচ্ছে হয় মামুনকে তিনি টাকার বিনিময়ে সারাজীবনের জন্য কিনে নেন। মামুনকে বিয়ে করতে চান লায়লা। মামুনের কোনো ইচ্ছে নেই তার দ্বিগুণ বয়সী মহিলাকে বিয়ে করার। চাপাচাপি করলে এক শর্তে সে রাজি, তাকে লায়লার বাড়িটি লিখে দিতে হবে। পাকা জিগোলোর মতোই ব্যবহার মামুনের। কয়েক লাখ টাকা দিয়ে লায়লা হয়তো ভেবেছিলেন নিজের স্বপ্ন পূরণ করবেন। কিন্তু মামুন চায় বাড়ি। মামুনকে লায়লা বাড়ি লিখে দেবেন কথা দিয়েও দেন না। মামুন সে কারণে লায়লাকে ছেড়ে চলে যায়। লায়লার দরকার সঙ্গ, মামুনের দরকার টাকা। এই সম্পর্কটি শুরু থেকেই ছিল দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক। বাড়ি না পেয়ে লায়লার সঙ্গে তিন বছরের সম্পর্কে ইতি টানলো মামুন। সম্পর্কে ইতি টানা মানবাধিকারের অংশ। মেনে নেওয়া উচিত ছিল লায়লার, কিন্তু তিনি মেনে নেন না। যদিও যে কারোরই যেকোনো বন্ধুত্বের, প্রেমের, বিয়ের, এমনকি জিগোলোর সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলার অধিকার আছে, কিন্তু মামুনকে সে অধিকার কিছুতেই দিতে চাননি লায়লা।
নির্বাসিত এই লেখক লিখেছেন, ফেসবুকে সারাক্ষণই মামুনের জন্য তার কান্নাকাটি চলতে থাকে, মিডিয়ার লোক নিয়ে চলে যান মামুনের গ্রামের বাড়িতে। মানুষকে দেখান মামুনকে তিনি খুব ভালোবাসেন। মামুনকে তিনি সত্যিই যদি ভালোবাসতেন, মামুন তার পায়ের নখের যোগ্য নয়—এ কথা বলতেন না বারবার, মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করে তার সর্বনাশ করতেন না! লায়লার মতো চালাক চতুর নয় মামুন। সে বিশ্বাস করেছিল লায়লা তার ফ্যান, লায়লা তাকে ভালোবাসেন। লায়লা তার জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করবে। হয়তো কোনোদিন সে ভাবতে পারেনি, লায়লা তাকে একদিন জেলখানার ভাত খাওয়াবে।
তিনি লেখেন, মামুনের পারিবারিক সমস্ত তথ্য প্রকাশ করলেও তার নিজের বয়স কত, তার বিয়ে হয়েছিল কি না, তার সন্তান আছে কি না ইত্যাদি পারিবারিক কোনো তথ্যই লায়লা প্রকাশ করেননি। মিডিয়া কোনো প্রশ্ন করলে তিনি কায়দা করে উত্তর এড়িয়ে গেছেন। মামুনের পরিবারের দারিদ্র নিয়ে, মামুন এবং তার পরিবারের সবার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কম তুচ্ছ তাচ্ছিল্য তিনি করেননি। নিজের ধন দৌলত নিয়ে লায়লা সবসময় গর্ব করেছেন, নিজের ডিগ্রি, নিজের বেতন, নিজের বাড়ি-গাড়ি ধন দৌলত নিয়ে তার অহংকারের শেষ নেই। আর মামুনকে কখন কত টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন, মামুনকে কত টাকা দামের কী উপহার দিয়েছেন, সবই বিশ্ববাসীকে বারবারই জানিয়ে দিয়েছেন। মামুন লায়লাকে বিয়ে করতে রাজি নয় বলে লায়লা এখন মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা ঠুকে দিয়েছেন, মামুন নাকি তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। এমন বানোয়াট কথা অসৎ না হলে বলা যায় না। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন সম্পর্ক করলে প্রতারণা হয়, ধর্ষণ হয় না। অনুমতি ছাড়া যৌনসম্পর্ক করলে হয় ধর্ষণ। লায়লার তো এ ব্যাপারে অনুমতির কোনো অভাব ছিল না। লায়লা বুঝে গেছেন মামুন আর তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখবে না, জিগোলো সম্পর্কটিও চুকেবুকে গেছে। মামুনকে আগের মতো নিয়ন্ত্রণ করাও তার পক্ষে সম্ভব হবে না। বিয়ে করা তো হবেই না। এই কারণে তার এত রাগ মামুনের ওপর। মামুন যে তাকে ভালোবেসে বিয়ে করবে না, সে যে বিয়ে করলে টাকা কড়ি আর বাড়ি গাড়ির বিনিময়ে করবে, এটি লায়লা মেনে নিতে পারেননি।
তসলিমা লেখেন, লায়লা বহুবার মামুনকে হুমকি দিয়েছেন তাকে বিয়ে না করলে, বা তার সঙ্গে একত্রবাস না করলে, তার সঙ্গে আগের মতো ‘কনটেন্ট ক্রিয়েট’ না করলে বা ভিডিও না বানালে তিনি মামুনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণের মামলা তুলে নেবেন না। যখন দেখেছেন মামুন কিছুতেই তার কাছে ফিরে যাবে না, তখন বলেছেন, তাকে নব্বই লাখ টাকা দিলে তিনি মামলা তুলে নেবেন। মামুনকে কী করে হেনস্তা করা যায়, কীভাবে তাকে নিঃস্ব করে ফেলা যায় তিনি করছেন, এভাবেই তিনি তার অনুদার এবং প্রতিশোধপরায়ণ চেহারাটি প্রকাশ করছেন। মামুনের বড় দুই ভাই-বোন প্রতিবন্ধী। তারা কথা বলতে পারেন না। তার অসহায় মা-বাবা আর ভাই-বোনের জন্য টিকটিক আর ইউটিউব থেকে উপার্জিত টাকা দিয়ে একখানা একতলা বাড়ি বানিয়েছে মামুন, পরিবারের মানুষগুলোর মাথা গোজার ঠাঁই হয়েছে। কিছুদিন আগে ঢাকায় একটি সেলুনের ব্যবসা শুরু করেছে সে। হাজারও ভক্ত মামুনকে দেখতে এসেছিল। সেই সেলুনের উদ্বোধনের দিন লায়লা গিয়েছেন। প্রেস কনফারেন্সের ভিড়ে সবাইকে দেখিয়ে নিজের ওড়না দিয়ে মামুনের মুখের ঘাম মুছে দিয়ে দরদী প্রেমিকার অভিনয় করে আসার দুদিন পর লায়লা ধর্ষণের মামলা ঠুকে দিয়েছেন মামুনের বিরুদ্ধে।
তিনি লেখেন, লায়লার আত্মীয় স্বজন মিলিটারিতে, ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশও মনে হয় মিলিটারির আদেশ পালন করতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে। সত্যিকার নারীনির্যাতক আর ধর্ষকরা দেশময় ঘুরে বেড়াচ্ছে, পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে না। আর মামুনের মতো স্ট্রাগল করা এক তরুণকে তড়িঘড়ি গ্রেপ্তার করেছে। রিমান্ডে নেওয়া হবে বেচারাকে, বেধড়ক পেটানো হবে। যে তরুণ লায়লার চক্রান্তের শিকার, সে এখন শিকার হচ্ছে মিথ্যে মামলার, ফেঁসে গেছে আইনের মারপ্যাঁচে। মামুনের আত্মীয়স্বজন লায়লার আত্মীয়স্বজনের মতো প্রভাবশালী নয়। সুতরাং মামুনকে ভুগতে হচ্ছে, ভুগতে হবে। না বুঝে সে আটকে গেছে লায়লার পাতা ফাঁদে। মামুনকে মুক্ত করার জন্য আশা করছি, মানবাধিকারের জন্য যে আইনজীবীরা লড়েন, এগিয়ে আসবেন। লায়লা আর মামুনের এই দ্বন্দ্ব বা লড়াই আসলে নারীবাদ আর পুরুষতন্ত্রের লড়াই নয়, এ ধনী আর দরিদ্রের লড়াই, সবল আর দুর্বলের লড়াই, দম্ভ আর অসহায়ত্বের লড়াই, শিকারি আর শিকারের লড়াই।
নারী হয়ে জন্ম নিয়েছে বলেই সে ভালো, সে সত্যবাদী, এ আমি মনে করি না। পুরুষ যেমন বদমাশ হতে পারে, নারীও তেমন বদমাশ হতে পারে। এমনটি লিখে স্ট্যাটাস শেষ করেছেন তসলিমা।
![‘টাকার বিনিময়ে সুদর্শন তরুণটির সঙ্গ উপভোগ করতেন লায়লা’](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/13/image-278205-1718276460.jpg)