• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নৌবাহিনীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, ১৭ বছর হলেই আবেদন
বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে নাবিক ও এমওডিসি (নৌ) ভর্তি বি-২০২৪ ব্যাচে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। বাহিনীটিতে নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। যা যা প্রয়োজন- প্রতিষ্ঠানের নাম : বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ব্যাচের নাম : নাবিক ও এমওডিসি (নৌ) ভর্তি বি-২০২৪ বয়স : ১ জুলাই ২০২৪ তারিখে নাবিক পদে ১৭-২০ বছর এবং এমওডিসি (নৌ) পদে ১৭-২২ বছর। চাকরির ধরন : স্থায়ী। প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ। বৈবাহিক অবস্থা : অবিবাহিত। দক্ষতা : সাঁতার জানা। আবেদনের নিয়ম : আগ্রহীরা নৌবাহিনীর ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন ফি : ২০০ টাকা। উপস্থিত থাকা সময় : সকাল ৮টায় উপস্থিত থাকতে হবে। আবেদনের শেষ সময় : ২২ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১১

শেখ হাসিনা দুর্বল হলেই দেশবিরোধী শক্তির উত্থান হবে : শেখ পরশ
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি, পঁচাত্তরের ঘাতক এবং তাদের দোসরদের সামনে একমাত্র বাধা শেখ হাসিনা, তাকে ছলে বলে কৌশলে দুর্বল করতে পারলেই পরাজিত শক্তির উত্থান হবে। শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিল টি অ্যান্ড টি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে যুবলীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের পরিকল্পিত নীলনকশার বাস্তবায়ন চলছে। এই নীলনকশার অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার। সারাক্ষণ শেখ হাসিনার গণমানুষের সরকারকে ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী এবং আধিপত্যবাদী দানব সরকার বলে লেবেল করে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল সাহেবরা। শেখ পরশ বলেন, একজন পিতা হাজারো অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে বিশ্বের বুকে আদর্শিক একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন, আবার তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। স্বাধীন দেশকে অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ সবদিক থেকে বিশ্বের বুকে সফল রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করেছেন তিনি। শেখ পরশ আরও বলেন, পিতা ও কন্যার সাফল্য, সুযোগ্য নেতৃত্ব বিশ্বের ইতিহাসে সত্যিই বিরল। দুই প্রজন্ম ধরে এমন কৃতিত্বের ফলে দেশের জনগণের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সংগঠন আওয়ামী লীগের গভীর বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে। যুবলীগ চেয়ারম্যান আরও বলেন, গত ১৫ বছরে এত অর্জন সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে সেটা এ দেশের উন্নয়ন ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, এ দেশের মেহনতি-কর্মজীবী মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, আপনাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় অসম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সম্মানিত অতিথি  ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে যুবলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০১

৬০ সেকেন্ড পার হলেই জরিমানা, ক্রিকেটের নতুন আইন
প্রায়ই নতুন নতুন আইন চালু করছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা-আইসিসি। কয়েকদিন আগেই ‘স্টপ ক্লক’ আইন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংস্থাটি। এতদিন পরীক্ষামূলকভাবেই চলেছে আইনটি।  ২০২৩ সালের নভেম্বরে সংস্থাটি জানিয়েছিল, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ‘স্টপ ক্লক’ পদ্ধতি চলবে।  এবার আইসিসি জানিয়েছে, চলতি বছরের জুনে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মধ্য দিয়ে ‘স্টপ ক্লক’ আইনটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্থায়ী করা হবে। এক প্রতিবেদনে ক্রিকেটবিষয়ক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজ জানিয়েছে, নিয়মটি ক্রিকেটের সাধারণ প্লেয়িং কন্ডিশনেই অন্তর্ভুক্ত করা হবে। শুরুর দিকে সাদা বলের ক্রিকেটে অর্থাৎ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে এই নিয়ম চালু করা হবে। সময় মতো ম্যাচ শেষ করতেই এই নিয়মটি চালু করা হচ্ছে। প্রতি ওভার শেষে নতুন ওভার শুরুর আগে ৬০ সেকেন্ড সময় পাবে ফিল্ডিং দল। অর্থাৎ এই সময় শেষ হওয়ার আগেই নতুন ওভার শুরু করতে হবে। আর নিয়মভঙ্গের কারণে পেনাল্টির ব্যবস্থা থাকছে।  দুইবার ফিল্ডিং দলকে সতর্ক করবেন ফিল্ড আম্পায়ার। আর তৃতীয়বার এই নিয়ম ভাঙলে ৫ রান জরিমানা করা হবে। তৃতীয়বার থেকে প্রতিবার প্রতিপক্ষের স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ করা হবে। ইলেকট্রনিক স্ক্রিনে ৬০ সেকেন্ডের টাইমার চালু করবেন তৃতীয় আম্পায়ার। তবে ব্যাটার, ডিআরএস কিংবা কোনো কারণে এই নিয়মে ব্যত্যয় ঘটলে ফিল্ড আম্পায়ার চূড়ান্ত সময় নির্ধারণ করবেন। ক্রিকবাজ জানিয়েছে, পরীক্ষামূলকভাবে ফল পাওয়ায় নিয়মটি চালু করতে যাচ্ছে আইসিসি। সাদা বলের প্রতিটি ম্যাচেই এই নিয়ম কার্যকর হবে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৫

নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হলেই ভোট বন্ধ : ইসি
দুই সিটি, পৌরসভা, জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো আছে, তবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। বুধবার (৬ মার্চ) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে তিনি এসব কথা বলেন। ইসি মো. আলমগীর বলেন, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা সিটির সঙ্গে ৯ মার্চ পৌরসভা, জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনও আছে। সার্বিক পরিস্থিতি ভালো আছে, তবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তুতি সব দিক থেকেই ভালো। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অংশ হিসেবে চাহিদা অনুযায়ি ফোর্স ও অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমাদের মূল্যায়ন পরিবেশ ভালো। আশা করি, নির্বাচন ভালোভাবেই হবে। দুই সিটির নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, দুই সিটি নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হবে, এ ধরনের তথ্য আমাদের কাছে নাই। তারপরও সতর্কতা হিসেবে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন থেকে তারা যে অতিরিক্ত ফোর্স চেয়েছে সেভাবে দিয়েছি। নিয়ন্ত্রণের বাইরে পরিস্থিতি চলে গেলে কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা বন্ধ না করলে আমরা (কমিশন) বন্ধ করে দেব। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেন, এ প্রকল্পে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো বরাদ্দ না থাকায় জনবল রাখা হয়নি। এগুলো কর্মকর্তাদের দিয়েই মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির সহায়তায় রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকি। জনবল এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতা থাকায় অনেকগুলো ইভিএমই কাজ করছে না। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সচলগুলোকে ব্যবহারের জন্য পাঠানো হচ্ছে।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৫

‘প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলেই নতুন তহবিল পাবে বাংলাদেশ’
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলেই বাংলাদেশ নতুন তহবিল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) আনা বজেরদে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশের সামষ্টিক ও ক্ষুদ্র অর্থনীতির সংস্কারের ওপর জোর দেন আনা বজেরদে। একইসঙ্গে সংস্কারে ভালো করার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন তিনি।  তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে সংস্কারে সহায়তা করছি এবং সংস্কার ত্বরান্বিত করার জন্য সহযোগিতা অব্যাহত রাখব। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে প্রকল্পের প্রস্তুতি ও বাস্তবায়নেও গতিশীলতা আনার আহ্বান জানান বিশ্বব্যাংকের এমডি।  সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর্থ-সমাজিক অগ্রগতির জন্য আরও বেশি নারী উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের কাছে বিশেষ তহবিল চেয়েছেন।  তিনি বলেন, আপনারা (ডব্লিউবি) বাংলাদেশের নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষ তহবিল দিতে পারেন। বিশেষ তহবিলটি নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে সরকারের প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করবে। সরকারপ্রধান বলেন, আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। তাই বাংলাদেশে কোনো লিঙ্গ বৈষম্য নেই। সূত্র : বাসস  
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৯

ভালোবাসা দিবসে ঢাকার বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর, বের হলেই স্বাস্থ্যঝুঁকি
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এদিনও ভালো নেই ঢাকার বাতাস। বিশ্বজুড়ে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের তথ্য অনুযায়ী আজ ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। এদিন সকাল সাড়ে সাড়ে ১০টার পর ২৭৫ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা। একইসময়ে ২৮৭ স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানার আক্রা। ২৭৬ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি। এরপর যথাক্রমে ২৬৫ ও ২১৯ স্কোর নিয়ে শীর্ষ চার-পাঁচে আছে ভারতের দিল্লি-মুম্বাই। অর্থাৎ, শহরদুটির বাতাসও আজ অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়। তথ্যমতে, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর। ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বায়ুদূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালীর সংক্রমণ এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৮

একদিন ‘ম্যানেজ’ হলেই মিলবে টানা ৪ দিনের ছুটি
ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে টানা চার দিনের ছুটি ভোগ করার সুযোগ আসছে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য। এজন্য তাদের মাঝের একদিনের ছুটি ম্যানেজ করতে হবে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি রোববারের ছুটি কোনোভাবে ম্যানেজ করতে পারলেই টানা চার দিনের ছুটি পাবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অথবা ২২ ফেব্রুয়ারির ছুটি ম্যানেজ করলেও একই সুযোগ মিলবে। ক্যালেন্ডার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার সরকারি ছুটি পড়েছে। একদিন পর ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার শনিবার হওয়ায় এই দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটি। কোনো সরকারি চাকরিজীবিদের ২২ ফেব্রুয়ারির (বৃহস্পতিবার) ছুটি নিতে পারলে তিনি টানা চারদিন ছুটি ভোগ করতে পারবেন। অথবা ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার, শনিবার হওয়ায় এই দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটি। একদিন পর ২৬ তারিখ শবে বরাতের সরকারি ছুটি। মাঝের ২৫ ফেব্রুয়ারি (রোবিবার) সরকারি অফিস আদালত খোলা রয়েছে। এই একদিনের ছুটিও কোনোভাবে ‘ম্যানেজ’ করতে পারলেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টানা চারদিনের ছুটি ভোগ করতে পারবেন। উল্লেখ্য, রোবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) শাবান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে পালিত হবে পবিত্র শবে বরাত। শবে বরাতের পরদিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি। এবারের শবে বরাতের ছুটি পড়েছে ২৬ ফেব্রুয়ারি (সোমবার)।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২০

‘আগুন-সন্ত্রাসীদের শাস্তি হলেই দেশে নাশকতা কমবে’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, যারা ইতোপূর্বে আগুন দিয়ে পুলিশসহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, যারা প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে, হরতাল অবরোধের নামে বাসে-ট্রেনে, ট্রাকে আগুন দিয়েছে সেই সব প্রকৃত সন্ত্রাসীদের শাস্তি দিতে পারলেই দেশে আগামীতে এ ধরনের ঘটনা কমে আসবে।  সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে একাদশ ও অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ এবং বার্ষিক ক্রীড়া ও সাহিত্য-সংস্কৃতি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন।    তিনি বলেন, কে মুক্তি পাবে আর কে পাবে না সেটা একমাত্র আদালতের ওপর নির্ভর করে। তবে আমরা প্রত্যাশা করি অপরাধ না করে কেউ যেন সাজা না পায়, আবার কেউ যেন অপরাধ করে পার না পায়।  এ সময় হানিফ আরও বলেন, নির্বাচনের পরে আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে ঢেলে সাজানোসহ কোথাও কোনো বিরোধ থাকলে তা সমাধানের কর্মসূচি চলছে। আর বিএনপি ২০১২ সাল থেকে বিএনপি বছরে দুইবার করে সরকার পতনের কর্মসূচি দিয়ে আসছে। এসব নিয়ে সরকার আর জনগণ এখন আর কিছু ভাবে না। নতুন করে বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে তার দলের লোকজনই এখন হাসে।  কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শিশির কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। বার্ষিক ক্রীড়া ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। পরে কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৩

একাধিক লোকবল নেবে ইবনে সিনা, বয়স ২১ হলেই আবেদন
ইবনে সিনা ট্রাস্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বায়োকেমিস্ট পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।  যা যা প্রয়োজন- প্রতিষ্ঠানের নাম: ইবনে সিনা ট্রাস্ট পদের নাম: বায়োকেমিস্ট পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়  শিক্ষাগত যোগ্যতা: বায়োকেমিস্ট্রি বিষয়ে বিএসসি (অনার্স) সহ এমএসসি। কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য নয়। অন্যান্য যোগ্যতা: প্রতিষ্ঠিত ডায়াগনোস্টিক ল্যাবরেটরিতে বায়োকেমিস্টিতে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।  অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ২ বছর চাকরির ধরন: ফুলটাইম  কর্মক্ষেত্র: অফিসে  প্রার্থীর ধরন: শুধু পুরুষ  বয়সসীমা: ২১ থেকে ৩০ বছর  কর্মস্থল: ঢাকা  বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে  অন্যান্য সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী  আবেদন যেভাবে: আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময়: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত। 
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২১

জান্তার পতন হলেই নিজভূমে ফিরতে পারবেন রোহিঙ্গারা? 
২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘাত চলছে স্বাধীনতাকামী জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর স্বশস্ত্র বাহিনীর। সাম্প্রতিক সময়ে এই সংকট সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে দেশটির জান্তা বা সামরিক শাসকরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে এখন জান্তা সরকার। আভাস পাওয়া যাচ্ছে ক্ষমতার রদবদলের। ফলে অনেকেই মনে করছেন, জান্তা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সময় আসছে প্রায় এক দশক ধরে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সামনে। ভারমুক্ত হওয়ার সুযোগ আসছে বাংলাদেশের সামনেও।  তবে, শুধুমাত্র জান্তা সরকারের পতন হলেই কি নিজভূমে ফিরে যেতে পারবেন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা? আরাকান আর্মি কি আসলেই ভরসাযোগ্য? কিংবা অং সান সুচি মুক্তি পেলে সুগম হবে রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তনের পথ?          স্বাধীনতার পর থেকে সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সংঘাত চলমান থাকলেও,  গত বছরের অক্টোবরে হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে হাজার হাজার সৈন্য তাদের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিদ্রোহী বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তার দখলে থাকা অনেক শহর ও এলাকা বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলেও খবর প্রকাশ হয়েছে। মিয়ানমারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে কাজ করা বিশেষজ্ঞদের একটি দল 'স্পেশাল অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল ফর মিয়ানমার'। তাদের তথ্য অনুযায়ী, এই মূহুর্তে দেশটির জান্তা সরকারের 'পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ' রয়েছে মাত্র ১৭ শতাংশ ভূখণ্ডের উপর, ২৩ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে এবং আরাকান আর্মিসহ বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের দখলে রয়েছে ৫২ শতাংশের মতো ভূখণ্ড। থাইল্যান্ড ভিত্তিক মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সামরিক বাহিনী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বিভিন্ন প্রদেশে ৩৩টি শহরের দখল হারিয়েছে। এর মধ্যে চিন, সাকাই, কিয়াং প্রদেশ এবং উত্তরাঞ্চলের শান এবং শিন রাজ্য উল্লেখযোগ্য। সর্বশেষ বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যেরও দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি। জানুয়ারির শেষ দিকে এসে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন ও আরাকান রাজ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করে যুদ্ধ-পরিস্থিতি। আরাকান আর্মির হামলায় পর্যুদস্ত হয়ে চলতি মাসের ৪ তারিখ থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সশস্ত্র সদস্যরাও। এর আগে শত শত সৈন্য সীমান্ত দিয়ে চীন ও ভারতে পালিয়েছে। যুদ্ধ না করেই আত্মসমর্পণ করেছে জান্তা সমর্থিত হাজার হাজার সৈন্য। অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত ত্রিশ হাজারের মতো সেনা হারিয়েছে জান্তা সরকার। যেখানে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীতে সেনার সংখ্যা মাত্র দেড় লাখ। মিয়ানমারে প্রতিদিনই পরাজয়ের মুখে পড়ছে সামরিক বাহিনী এবং দখল হয়ে যাওয়া ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতেও ব্যর্থ হচ্ছে তারা। সব দিক দিয়েই এখন কোণঠাসা জান্তা সরকার। একের পর এক এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে দেশটির সেনা সরকার। নিশ্চিত তথ্য পাওয়া না গেলেও, বলা হচ্ছে আরাকানের বেশির এলাকাই এখন বিদ্রোহী আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে।  এমন অবস্থায় দ্রুতই জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা হারাচ্ছে জান্তা সরকার। এরপরও নিজভূমে ফেরার স্বপ্ন দেখার সাহস পাচ্ছেন না বাংলাদেশের শরণার্থী রোহিঙ্গারা। আরাকান আর্মি সব নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীকেই স্বীকৃতি দেয়ার কথা বললেও বিশ্বাস করতে পারছেন না তারা। বলছেন, এখন যে আরাকান বাহিনী জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়ছে, রোহিঙ্গাদের দেশত্যাগের পেছনে তাদেরও ভূমিকা ছিলো।  রোহিঙ্গা নেতা ও সাধারণেরা বলছেন, আরাকান আর্মির বেশিরভাগ সদস্যই রাখাইন জাতি গোষ্ঠীর সদস্য। আর এ রাখাইনরাই রোহিঙ্গাদের বেশি নির্যাতন করেছিলো। তাদের ভিটে মাটি দখলে নিয়েছিলো।  রোহিঙ্গাদের একটা অংশ আবার আশা করছেন সুচির নেতৃত্বাধীন এনইউজি ক্ষমতায় এলেই অবসান হবে রোহিঙ্গা সংকটের। তবে, ইতিহাস বলছে, সুচিও রোহিঙ্গাদের দূরে ঠেলেছেন। গণহত্যা অস্বীকার করেছেন। এমনকি সুচির এনইউজি সরকারেও রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে রাখা হয়নি কোনও প্রতিনিধি। এমন অবস্থায় মিয়ানমারের জান্তা সরকার বিরোধী জোট রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার যে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, সেটির লিখিত দলিল চান রোহিঙ্গারা।  
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়