• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গ্রামীন ব্যাংকের স্পষ্ট ব্যাখ্যার পরেও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে ইউনূস সেন্টার
বাংলাদেশে গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণসহ সাতটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংকের মধ্যকার দ্বন্দ্ব স্পষ্ট করেছে গ্রামীণ ব্যাংক। ১৭ ফেব্রুয়ারি ডাকা সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীন ব্যাংক স্পষ্ট করে বলেছে কেনো এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানা কোন ব্যক্তির নয়। এরপরেও ১৮ ফেব্রুয়ারি আবারও ইউনূস সেন্টার বিবৃতি দিয়ে পাল্টা বক্তব্য হাজির করায় বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ করছেন বিশ্লেষকরা।  অধ্যাপক ইউনূস অভিযোগ করেছেন যে, প্রতিষ্ঠানগুলো ‘জবরদখল’ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, 'তাদের টাকাতেই ওইসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে' দাবি করে গ্রামীণ ব্যাংক বলছে, আইন মেনেই প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এখন আইনজীবীদের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে প্রতিষ্ঠানটি। সর্বশেষ ঘটনা প্রবাহের শুরু গত সপ্তাহে। গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) অধ্যাপক ইউনূস সংবাদ সম্মেলন করে তার প্রতিষ্ঠানে 'জবর দখলের' অভিযোগ করেন। পাল্টা জবাব হিসেবে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান আরেকটি সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন, অধ্যাপক ইউনূসের দাবি সঠিক নয়। এর আগে, সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকম ভবনের ঢুকে পড়ে এবং তারা মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ কে এম সাইফুল মজিদ দাবি করেছেন, চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও গ্রামীণ ব্যাংকসহ বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোেত ড. ইউনূসের কোনো মালিকানা বা অংশ নেই। ‌‌ ‘সব প্রতিষ্ঠানই তৈরি করা হয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায়, এসব প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের’; শনিবার সাংবাদিকদের বলেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাইফুল মজিদ। গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো প্রতিষ্ঠানে ড. ইউনূসের মালিকানা নেই বলে ব্যাংকটির বর্তমান চেয়ারম্যান যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে বিষয়ে ইউনূস সেন্টার বলেছে, ড. ইউনূস নিজেই বারবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকসহ তাঁর সৃষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানে তাঁর কোনো শেয়ার বা মালিকানা নেই। এ ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংক ব্যতীত তাঁর প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলো কোম্পানি আইন, ১৯৯৪-এর ২৮ ধারা অনুসারে গঠিত। যার কোনো ধরনের মালিকানা থাকে না। গ্রামীণ টেলিকম ও গ্রামীণ কল্যাণে ড. ইউনূস আর চেয়ারম্যান নেই, নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বক্তব্য হচ্ছে, গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকমের জন্মলগ্ন থেকে ড. ইউনূস চেয়ারম্যান পদে নিয়োজিত আছেন।  গ্রামীণ টেলিকম ও গ্রামীণ কল্যাণে ড. ইউনূস আর চেয়ারম্যান নেই, নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বক্তব্য হচ্ছে, গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকমের জন্মলগ্ন থেকে ড. ইউনূস চেয়ারম্যান পদে নিয়োজিত আছেন। প্রতিষ্ঠান দুটির শুরুতে তাদের আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশনে চেয়ারম্যান ও বোর্ড সদস্য মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতা গ্রামীণ ব্যাংকের হাতে ছিল। পরে প্রতিষ্ঠান দুটি পরিচালনার সুবিধার্থে কোম্পানি আইনের ২০ ধারা অনুযায়ী গ্রামীণ কল্যাণের আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশনের ৪৮ নম্বর অনুচ্ছেদ এবং ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়। সেটি ২০১১ সালের ২৫ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এই পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ক্ষেত্রে গ্রামীণ ব্যাংকের যুক্তি অপেক্ষাকৃত গ্রহণযোগ্য এবং তারা তাদের যুক্তির অংশ হিসেবে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুতি নিবে। ড. ইউনূস একভাবে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকানা চাইতে পারেন কিনা প্রশ্নে ব্যাংকের চেয়ারম্যান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এটা অসম্ভব। তিনি নিজেও সেটা জানেন। এখানে যে প্রতিষ্ঠানগুলোর কথা বলা হচ্ছে তার কোন মালিকানা থাকে না। উনি নিজেকে কেনো এখনও চেয়ারম্যান দাবি করছেন সেটাও আমাদের বোধগম্য নয়। গ্রামীন ব্যাংকের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাসুদ আখতার বলেন, কমপ্রিহেন্সিভ অডিট করছি। সেখানে খুব চাঞ্চল্যকর বিষয় উঠে আসছে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ড. ইউনূস যখন ব্যাংকের এমডি ছিলেন সেই সময় বোর্ডের মাধ্যমে। এটার মালিকানা তিনি নিজে ব্যক্তি হিসেবে কীভাবে দাবি করতে পারে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৩

ড. ইউনূস ইস্যুতে জাতিসংঘের স্পষ্ট বার্তা
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্থোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন, নোবেলজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের প্রতি সরকারের আচরণে জাতিসংঘ চরমভাবে উদ্বিগ্ন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ড. ইউনূসের গ্রামীণের একাধিক কার্যালয় জোর করে দখলে নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। মুখপাত্র ডুজারিক বলেন, বাংলাদেশে ড. ইউনূসের প্রতি সরকারের বিদ্বেষমূলক আচরণে উদ্বেগের বিষয়টি স্পষ্ট। ড. ইউনূস জাতিসংঘের অত্যন্ত মর্যাদাসম্পন্ন এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে যা ঘটছে, তা চরম উদ্বেগের। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সরকার দলীয় লোকেরা তার সব গ্রামীণ কার্যালয় দখল করেছে। সেই সঙ্গে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে নতুন করে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই সাংবাদিক এসব বিষয় উল্লেখ করে স্টিফেন ডুজারিককে প্রশ্ন করেন- ‌‘এ বিষয়ে আপনি জাতিসংঘ মহাসচিব কী অবগত রয়েছেন?’ জবাবে ডুজারিক বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে আবগত। ড. ইউনূস জাতিসংঘের কাছে খুব মর্যাদাবান। তিনি জাতিসংঘের একজন অংশীদার হিসেবে বছরজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচীতে দূত হিসেবে অংশ নেন। এমডিজি, এসডিজি গোলসহ সংস্থার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচিগুলোতে তিনি সহযোগিতা করেন। ড. ইউনূসকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটছে তা আমাদের চরমভাবে উদ্বিগ্ন করে তুলছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মিরপুর গ্রামীণ টেলিকম ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস অভিযোগ করেন, গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা পরিচয়ে কয়েকজন গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্রামীণ টেলিকম ভবন অবরুদ্ধ করে রেখেছে। হঠাৎ কী হলো বাইরের কিছু লোক এসে তা জবরদখল করছে। আমরা কোথায় যাবো, কী করবো? পুলিশ আমাদের কথা শুনছে না। তিনি বলেন, নিজের অফিসে ঢুকতে পারবো কি না- এটা এখন বাইরের লোকের এখতিয়ার হয়ে গেছে। আমি দুঃখ-কষ্টে পড়ে গেছি। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে আছি। এ ভবনটা আমরা করেছি এটা আমাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। হঠাৎ চারদিন আগে বাইরের লোক এসে জবরদখল শুরু করে আর আমরা বাইরের লোক হয়ে গেলাম।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২১

সংসদে ৬৪৮ এমপি এখন / সংবিধানের বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে নীতি-নির্ধারকরা চাইলে : আইনমন্ত্রী
বর্তমানে সংসদে ৬৪৮ জন সদস্য আছেন বলে যে আলোচনা চলছে নীতি-নির্ধারকরা চাইলে সংবিধানের সেই বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ নিয়ে নিজে থেকে কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও সবকিছুই সংবিধান মেনে হয়েছে বলে দাবি তার। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলানের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। আনিসুল হকের সামনে এ সময় প্রশ্ন রাখা হয়, বলা হচ্ছে সংসদে এখন ৬৪৮ সদস্য। ব্যাপারটি নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। মন্ত্রীরা যখন শপথ নেন তখন আগের মন্ত্রিসভা বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু সংসদ সদস্যরা শপথ নিলেও আগের সংসদ বাতিল হয় না। সেক্ষেত্রে আইনের অস্পষ্টতা আছে বলে আইনমন্ত্রী মনে করেন কি না, কিংবা সেটি স্পষ্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না।  জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, 'ব্যাপারটা হচ্ছে সংবিধানে এখন যা আছে, সেভাবেই দেশ চলছে এবং এটা আজকে সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়নি। এটা চতুর্দশ সংশোধনীতে সংযোজন করা হয়েছিল। এখন যে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করা হচ্ছে, এটার বোধহয় খুব একটা গুরুত্ব নেই। তারপরও আমি বলবো, নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন এখানে কিছু আরও স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, সেটা দেখা যাবে।' আইনমন্ত্রী হিসেবে আনিসুল হক নিজে তা স্পষ্ট করা প্রয়োজন মনে করেন কি না, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি তো বললাম, নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, তাহলে দেখা যাবে।' কোন জায়গাটা স্পষ্ট করার প্রয়োজন, এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি এখনো জানি না। কোন জায়গায় স্পষ্ট করা দরকার, সেটা নীতি-নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারপর সেটা হবে। আমার মনে হয়, এখন যা হয়েছে সবকিছুই সাংবিধানিক হয়েছে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৩

ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে ব্র্যাকের স্পষ্ট অবস্থান জানতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করায় ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট অবস্থান জানতে চেয়ে দু-দফা বিক্ষোভ করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর মেরুল বাড্ডাস্থ বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক ও অডিটোরিয়ামের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করার ব্যাখ্যা ও ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান কী তা বিবৃতির মাধ্যমে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে। শিক্ষক আসিফ মাহতাব ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যদি কোনো ভুল থাকে তাহলে তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ক্ষমা চাইতে হবে। তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক মনে করেন তারা। দাবি আদায় না হলে ক্লাস বর্জন ও সেমিস্টার ফি বন্ধের হুঁশিয়ারিও দেয় তারা। তবে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষকরা। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। যাতে লেখা ‘সে নো টু এলজিবিটিকিউ’, ‘উই ডোন্ট প্রমোট এলজিবিটিকিউ’, ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটির নামে আমার দেশে ট্রান্স মতবাদ চলবে না।’ এর আগে সপ্তম শ্রেণির একটি ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই ছিঁড়ে সমালোচনা করায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলোসফির খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরই জের ধরে বিক্ষোভ করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়