• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘রাজনীতির নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন অপরাজনীতি না হয়’
রাজনীতির নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন অপরাজনীতি না হয় সেই আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিন্ডিকেট সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। রোববার (৩১ মার্চ) রাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের তরুণ শিক্ষার্থী কোনোভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাজনীতির সম্পৃক্ততা চায় না, ফলে সে জায়গায় তাদের দাবি সেভাবেই পূরণ করতে হবে। কোনোভাবেই রাজনীতির নামে অপরাজনীতির সুযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন না থাকে। আমার মনে হয় বুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে অপরাজনীতির বিরুদ্ধে মনোভাব কাজ করছে। কারণ তাদেরই এক সহপাঠী অন্যান্য সহপাঠীর হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটিকে রাজনীতির সঙ্গে মেলানো ঠিক হবে না। হয়তো হত্যাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় মিলেছে, তবে মূলত এটা (হত্যাকাণ্ড) অপরাজনীতি। অপরাজনীতির কারণে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। তাকে যারা হত্যা করেছে তারাও মেধা-যোগ্যতা নিয়ে ভর্তি হয়। এ ঘটনা বুঝিয়ে দেয়, অপরাজনীতি কী ভয়াবহ। সাধারণ শিক্ষার্থীরা অপরাজনীতির কারণে এটির প্রতিবাদ করছে। তিনি আরও বলেন, রাজনীতি থেকে ছেলেমেয়েদের বিচ্ছিন্ন করা হলে তাদের মধ্যে মানবিক গুণাবলি থাকবে না। তারা অমানবিক হয়ে পড়বে। এটা কাম্য নয়। সুষ্ঠু রাজনীতির অভাব বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাই, সেটা শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজনীতিভীতি তৈরি করে। আমরা শিক্ষার্থীদের মানুষ হিসেবে দেখতে চাই, রোবট হিসেবে নয়।  একজন শিক্ষার্থী শুধু প্রকৌশল জ্ঞানে শিক্ষিত হবে তা নয়, সতিকার অর্থে ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারে বলেও জানান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৭

সাংবাদিকতা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা : আরেফিন সিদ্দিক
সাংবাদিকতা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বলেন, সাংবাদিকতার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সত্যকে ধারণ করে মিথ্যার সঙ্গে লড়াই করা। সত্য নিয়ে কাজ করলে ঝুঁকি বেশি থাকে। শনিবার (৯ মার্চ) বিকেলে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা প্রোগ্রামের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে তিনি এসব কথা বলেন। আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সাংবাদিকের অন্যতম কাজ বস্তুনিষ্ঠতা। এজন্য সত্যের সঙ্গে যোগাযোগ দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে প্রতিবেদকের যোগাযোগ যত ভালো তার প্রতিবেদন তত উন্নততর এবং বস্তুনিষ্ঠ হয়। এ ছাড়া তার লেখা সংবাদ দর্শক, পাঠক ও শ্রোতার কাছে ততটা গুরুত্ব বহন করে। তাই শিক্ষার্থীদের এসব বিষয় মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, সাংবাদিকদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকতে হবে। এতে সহজে সত্য উদঘাটন করতে পারবে। বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের গুজব প্রতিরোধে ফ্যাক্ট চেকের পাশাপাশি মোবাইল সাংবাদিকতার জ্ঞান আহরণ করা উচিত। পাশাপাশি শব্দ ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করা আবশ্যক। তা না হলে পাঠক, দর্শক ও শ্রোতা উপযোগী প্রতিবেদন তৈরি দুরূহ হয়ে পড়বে।  পিআইবির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের আরও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক মানস ঘোষ, পিআইবির পরিচালক মো. জাকির হোসেন, পিআইবির সহকারী অধ্যাপক ও মাস্টার্স প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী পঙ্কজ কর্মকার ও প্রভাষক লাজিনা আক্তার জ্যাসলিন প্রমুখ।
০৯ মার্চ ২০২৪, ২০:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়