• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জি এম কাদেরকে পা ছুঁয়ে সালাম করলেন রাঙ্গা
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় নেতা জি এম কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দল থেকে বহিষ্কৃত মহাসচিব ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা। এ সময় মশিউর রহমান রাঙ্গা জি এম কাদেরকে পা ছুঁয়ে সালাম করেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর স্কাইভিউ এর বাসায় জি এম কাদেরের কক্ষে গিয়ে সাক্ষাৎ শেষে পা ছুঁয়ে সালাম করেন তিনি। জি এম কাদেরকে সালাম করার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায়, জি এম কাদেরের সামনে হাঁটু গেরে বসে পায়ে একহাত রেখে কথা বলছেন মশিউর রহমান রাঙ্গা। আর মুচকি হেসে রাঙার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন জি এম কাদের। এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত মহাসচিব ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা সাংবাদিকদের জানান, জি এম কাদেরের সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে। এ কারণে প্রতিবার ঈদে জি এম কাদের এর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সালাম করেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে সন্ধ্যায় রংপুরের স্কাই ভিউয়ের বাসায় গিয়ে জি এম কাদেরের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করে পা ছুঁয়ে সালাম করেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রংপুরের রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে আমাদের। তবে এর বাইরে দল কিংবা দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। রাজনীতিতে কিংবা জাতীয় পার্টিতে আবার সক্রিয় হলে সবাই জানতে পারবেন।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৮

পা ছুঁয়ে সালাম করা কি জায়েজ?
আমাদের দেশে যে পা ছুঁয়ে সালাম করা বা কদমবুসি করার প্রথা প্রচলিত আছে তা ইসলামি সংস্কৃতি নয়। ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বলা ইসলামের দৃষ্টিতে সালাম বলে। হাদিসে মুসাফাহা-মুআনাকার কথা আসলেও কদমবুসির কথা আসেনি। আনাস (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি যখন তার কোনো ভাই বা বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, তখন সে কি মাথা ঝুঁকাবে বা তাকে জড়িয়ে ধরবে বা চুমু খাবে? তিনি বললেন, না। লোকটি বলল, তাহলে কি কেবল হাত ধরবে ও মুসাফাহা করবে? রাসুলুল্লাহ (স.) বললেন, হ্যাঁ। (তিরমিজি: ২৭২৮; ইবনে মাজাহ: ৩৭০২; আহমদ: ১৩০৪৪) রাসুল (স.) মাথা ঝুঁকাতে নিষেধ করেছেন। বাস্তবতা হচ্ছে, পা ছুঁয়ে ‘সালাম’ করার সময় সাধারণত মাথা ঝুঁকে যায়। আর ‘রুকুর কাছাকাছি হয়ে সালামের জন্য ইশারা করা, ঝুঁকে পড়া এসব মাকরুহ।’ (সাকবুল আনহুর: ৪/২০৫) আরেক হাদিসে রাসুল (স.) বলেন, ‘যখন দুজন মুসলিমের সাক্ষাৎ হয়, তারপর তারা মুসাফাহা করে, তাহলে তারা পরস্পর আলাদা হওয়ার আগেই তাদের গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (মুসনাদে আহমদ: ১৮৫৪৭, ইবনে মাজাহ: ৩৭০৩, আবু দাউদ: ৫২১২, তিরমিজি: ২৭২৭) হজরত আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের লক্ষ করে বললেন, হে বৎস! তুমি গৃহে পরিবার-পরিজনের কাছে প্রবেশকালে সবাইকে সালাম করবে। এতে তোমার এবং তোমার গৃহের সবার জন্য কল্যাণ হবে।’ (তিরমিজি: ২৬৯৮, আলমুজামুল আওসাত: ৫৯৯১) তবে কেউ কেউ কদমবুসি বা পদচুম্বনকে সম্মানসূচক জায়েজ বলেছেন। তবে সেই সঙ্গে শর্তও দিয়েছেন। শর্ত হচ্ছে, ‘যদি রুকু বা সেজদার সুরত হয়, তাহলে তা জায়েজ হবে না। (আলমুজতাবা: ৪/২০৫, আলমুহিতুল বুরহানি: ৮/১১৮, ফতোয়ায়ে আলমগিরি: ৫/৩৬৯) ইসলামে উত্তমভাবে সালাম ও সালামের উত্তর দেওয়ার কথা রয়েছে। সাহাবায়ে কেরামরা রাসুল (সা.)-কে আসসালামু আলাইকুম বলেই সালাম দিয়েছেন। হাদিসে লক্ষণীয়, যত উত্তমভাবে সালাম দেওয়া যায় তত বেশি সওয়াব। আবার উত্তমভাবে সালামের জবাব দিতেও বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যখন তোমাদের সালাম দেওয়া হবে তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে। অথবা জবাবে তাই দেবে। নিশ্চয় আল্লাহ সব বিষয়ে পূর্ণ হিসাবকারী।’ (সুরা নিসা: ৮৬) ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর নিকট এসে বলল, ‘আসসালামু আলাইকুম’। রাসুলুল্লাহ (স.) তার সালামের উত্তর দিলে লোকটি বসল। তারপর রাসুল (স.) বললেন ‘দশ’। তারপর অপর এক ব্যক্তি এসে বলল, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।’ রাসুল (স.) তার সালামের উত্তর দেয়ার পর লোকটি বসল। তার সম্পর্কে রাসুল (স.) বললেন ‘বিশ’। তারপর অপর এক ব্যক্তি এসে বলল, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু’, রাসুল (স.) তার সালামের উত্তর দিয়ে বললেন ‘ত্রিশ’। (আবু দাউদ: ৫১৯৫; তিরমিজি: ২৬৮৯)
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৩

সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি ছাড়ার হাইকোর্টের রায়ে স্থিতাবস্থা
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি ও সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশান-২ নম্বরের বাড়িটি তিন মাসের মধ্যে ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। গত ১৯ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন। হাইকোর্টের দেওয়া সে রায়ের ওপর রোববার (২৪ মার্চ) ৮ সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। এর ফলে সালাম মুর্শেদীর বাড়ি এখন যে অবস্থায় আছে সে অবস্থাতেই থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আদালতে আজ সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। এর আগে, ১৯ মার্চ আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি তিন মাসের মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তরের আদেশ দেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে বাড়ি বুঝে পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে গণপূর্ত সচিবকে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলা হয়। পরে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন সালাম মুর্শেদী। রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িটি দখলে রাখার অভিযোগ তুলে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে বাড়িসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র হলফনামা আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। এরপর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নথি দাখিল করে। পরে বাড়ি নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে দুদককে নির্দেশ দেওয়া হয়।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৯

৩ মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশান-২ নম্বরের বাড়িটি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন মাসের মধ্যে তাকে বাড়ি ছাড়তে হবে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে বাড়িটি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতে সালাম মুর্শেদীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অনীক আর হক।  ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রিট আবেদনে বলা হয়, রাজধানীর গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কে সি ই এন (ডি)-২৭ এর ২৯ নম্বর বাড়িটি ১৯৮৬ সালের অতিরিক্ত গেজেটে ‘খ’ তালিকায় পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত। কিন্তু আব্দুস সালাম মুর্শেদী সেটি দখল করে বসবাস করছেন। গত ১৭ জানুয়ারি গুলশানের ওই বাড়ি নিয়ে অনুসন্ধান প্রতিবেদন ৮ ফেব্রুয়ারি দাখিলের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তার আগে সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করে (দুদক)। 
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৮

সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি নিয়ে রায় পিছিয়ে মঙ্গলবার
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার দিন ঠিক করেছেন আদালত। সোমবার (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ দিন ধার্য করেন। আদালতে এ দিন সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। আর রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক।  গত ১৩ মার্চ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট একই বেঞ্চ রায় ঘোষণার আজ দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ১০ মার্চ আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করা হয়। গত ৩ মার্চ সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে শুনানি শেষ হয়। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছিলেন, রাজউকের ও দুদকের হাইকোর্টে দাখিল করা প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে গুলশানে সালাম মুর্শেদী যে বাড়িতে বাস করছেন সেটা রাষ্ট্রের সম্পত্তি। এই বাড়িতে তিনি এখন এক মুহূর্তও থাকতে পারেন না। তিনি বলেন, মানুষ অপহরণের মতো সালাম মুর্শেদী গুলশানের বাড়ি অপহরণ করে বাস করছেন। এই বাড়িতে তিনি প্রতি সেকেন্ড অবৈধভাবে বাস করছেন। এ সময় হাইকোর্ট রাজউকের আইনজীবীকে প্রশ্ন রেখে বলেছিলেন, সেটেলমেন্ট কোর্টের অর্ডার ছাড়া এই সম্পত্তি কীভাবে সালাম মুর্শেদীর কাছে হস্তান্তর করা হলো? ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেন আদালত।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২০:০৫

সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি সরকারের সম্পত্তি : হাইকোর্ট
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সরকারের পরিত্যক্ত সম্পত্তি, এটা স্বীকৃত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার (১৩ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। সালাম মুর্শেদীর আইনজীবীদের উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেন, দুদকসহ অন্যান্য সংস্থার তদন্ত রিপোর্টে এটা প্রমাণিত যে, সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি সরকারের পরিত্যক্ত সম্পত্তি। এই সম্পত্তি কীভাবে সালাম মুর্শেদী পেলেন, কীভাবে তার কাছে হস্তান্তর হলো, এটা আমাদের দেখাতে হবে। এরপর আদালত সালাম মুর্শেদীর আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বাড়ি নিয়ে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেন।  এর আগে গত ৩ মার্চ আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত বাড়ি নিয়ে করা রিটের জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। পরে এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য হাইকোর্ট ১০ মার্চ দিন ধার্য করেন। তবে, নির্ধারিত দিন ১০ মার্চ রায় ঘোষণা না করে পিছিয়ে ১২ মার্চ নির্ধারণ করা হয়। এ বিষয়ে রিট আবেদনকারীর পক্ষে সময়ের আরজির প্রেক্ষিতে শুনানি নিয়ে ১২ মার্চ দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। বিষয়টি দুই দিনের জন্য মুলতবি করেন। কিন্তু দুদকের আইনজীবীর সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ বুধবার দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৮

সালাম মুর্শেদীর বাড়ি নিয়ে রায় পিছিয়ে বুধবার
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে আগামীকাল বুধবার দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্যে এ দিন ধার্য করেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। এর আগে গত ১০ মার্চ আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করা হয়। গত ৩ মার্চ সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে শুনানি শেষ হয়। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছিলেন, রাজউকের ও দুদকের হাইকোর্টে দাখিল করা প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে গুলশানে সালাম মুর্শেদী যে বাড়িতে বাস করছেন সেটা রাষ্ট্রের সম্পত্তি। এই বাড়িতে তিনি এখন এক মুহূর্তও থাকতে পারেন না। তিনি বলেন, মানুষ অপহরণের মতো সালাম মুর্শেদী গুলশানের বাড়ি অপহরণ করে বাস করছেন। এই বাড়িতে তিনি প্রতি সেকেন্ড অবৈধভাবে বাস করছেন। এ সময় হাইকোর্ট রাজউকের আইনজীবীকে প্রশ্ন রেখে বলেছিলেন, সেটেলমেন্ট কোর্টের অর্ডার ছাড়া এই সম্পত্তি কিভাবে সালাম মুর্শেদীর কাছে হস্তান্তর করা হলো? ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেন আদালত।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৪

সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি নিয়ে রায়ের তারিখ নির্ধারণ
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে রোববার (১০ মার্চ) রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট। রোববার (৩ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের তারিখ ধার্য করেন। এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাজউকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন মাসুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। এর আগে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিটের বিষয়ে শুনানি হয়েছিল। ওইদিন রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, রাজউক ও দুদকের হাইকোর্টে দাখিল করা প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে গুলশানে সালাম মুর্শেদী যে বাড়িতে বাস করছেন, সেটি রাষ্ট্রের সম্পত্তি। এ সময় হাইকোর্ট রাজউকের আইনজীবীকে প্রশ্ন রেখে বলেন, সেটেলমেন্ট কোর্টের অর্ডার ছাড়া এই সম্পত্তি কীভাবে সালাম মুর্শেদীর কাছে হস্তান্তর করা হলো? পরে আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য ৩ মার্চ দিন ধার্য করেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি  সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে জালিয়াতি হয়েছে বলে হাইকোর্টে দুদকের পক্ষ থেকে দাখিল করা অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। পরে আদালত তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে বাড়িসংক্রান্ত যাবতীয় নথি চায়। সে সময় দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, সালাম মুর্শেদীর বাড়িকে কেন্দ্র করে জাল জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে, এটা দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বাড়িটি নিয়ে মামলা হয়েছে। তদন্তে জানা যাবে কার কতটুকু দায় রয়েছে। এর আগে, গত ১৭ জানুয়ারি সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে দুদককে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। বাড়িটি নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল দুদক। গত বছরের ১ নভেম্বর সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেন আদালত।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫১

ছাত্রলীগ নেতাকে সালাম না দেওয়ায় শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতিকে সালাম না দেওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী যশোর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি ও হলের প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে যবিপ্রবির শহীদ মসীয়ূর রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে।  জানা গেছে, ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাঞ্জুরুল হাসান। এ ঘটনার পর তিনি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন- যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা, ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সাল আহমেদ, ইসাদ হোসেন, আল আমিন, শেখ বিপুল হাসান ও মুশফিক, রাইসুল হক রানাসহ অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও কয়েকজন।  লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী মাঞ্জুরুল হাসান উল্লেখ করেছেন, ‘শুক্রবার রাতে আমি শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৩০১ নম্বর কক্ষ থেকে বের হলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার সঙ্গে দেখা হয়। সেসময় তাকে সালাম না দেওয়া এবং লুঙ্গি পরে তার সামনে চলাচলের অভিযোগে পরে আমাকে আমার কক্ষ থেকে ডেকে ৩০৮ নম্বর কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সভাপতির নির্দেশে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে আমার চিৎকারে হলের অন্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান।’ শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) যোগাযোগ করা হলে মাঞ্জুরুল বলেন, আমার চোখে সমস্যা, রাতে ঠিকমত দেখতে পাই না। ওই দিন রাতে আমি যখন লুঙ্গি পরে বাইরে যাচ্ছিলাম, তখন ছাত্রলীগের সভাপতিসহ তার কর্মীরা আমার সামনে পড়ে যায়। পরে তারা আমাকে ডেকে নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এরপর ছাত্রলীগের সভাপতির কাছে আমি ক্ষমা চাই। এসময় ওদের মধ্যে একজন আমাকে বলেন- ভাইকে সালাম দিয়েছিস না কেন? কেন লুঙ্গি উঁচু করে পরেছিস? তারপর তারা আমাকে আবারও মারধর করেন। এ বিষয়ে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ছাত্রাবাসে কোনো শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়নি। এদিন রাতে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক এবং ফিশারিজ ও মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের কিছু ছেলে আমার কক্ষের সামনে জুনিয়রদের সঙ্গে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদেরকে বুঝিয়ে রুমে পাঠায়। ক্যাম্পাস রাজনীতির গ্রুপিংয়ের বলি হিসেবে আমাকে দোষারোপ করা হচ্ছে। শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মো. তানভীর ইসলাম বলেন, এদিন রাতে ঘটনাটি শুনে সহকারী প্রভোস্টদের নিয়ে ছাত্রাবাসে এসে দেখি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মাথায় পানি ঢালা হচ্ছে। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে শনিবার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১০

সালাম মুর্শেদীর বাড়ি নিয়ে জালিয়াতি হয়েছে : দুদক
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে জালিয়াতি হয়েছে। ইতোমধ্যে বাড়িটি নিয়ে একটি মামলাও দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টে দুদকের পক্ষ থেকে দাখিল করা অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এমনটি উল্লেখ করা হয়েছে। তবে আদালত তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে বাড়ি-সংক্রান্ত যাবতীয় নথি চেয়েছেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। আর সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, সালাম মুর্শেদীর বাড়িকে কেন্দ্র করে জাল জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে, এটা দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে। বাড়িটি নিয়ে মামলা হয়েছে। তদন্তে জানা যাবে কার কতটুকু দায় রয়েছে। এদিকে আদালত বলেছেন, বাড়িটির চেইন অব টাইটেল আমাদের দেখাতে হবে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারির মঙ্গলবারের মধ্যে দুদককে যাবতীয় নথি দাখিল করতে বলা হয়েছে। এর আগে, গত ১৭ জানুয়ারি সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে দুদককে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। বাড়িটি নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল দুদক। গত বছরের ১ নভেম্বর সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেন আদালত।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়