• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘প্রতি মাসেই সমন্বয় হবে সয়াবিন তেলের দাম’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, সয়াবিন তেলের দাম আগামী ১ মার্চ থেকে লিটারে ১০ টাকা কমছে। আর এপ্রিল থেকে প্রতি মাসের ১৫ তারিখে তেলের দরের সমন্বয় করা হবে।  মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিনিউ তেলের মূল্য কমিয়েছে। আমদানি পর্যায়েও দাম কমানো হয়েছে। ফলে ট্যারিফে পণ্যটির মূল্য ৫ টাকা কমানো গেছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে আরও ৫ টাকা কমানো হয়েছে। প্রতি লিটারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৩ টাকা। আগে যা ছিল ১৭৩ টাকা।    এদিকে রমজানকে সামনে রেখেই বেড়েছে পেঁয়াজের দামও। তবে ভারত থেকে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় দেশে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে জানান আহসানুল ইসলাম। তিনি বলেন, রোজায় বাজার ঠিক রাখতে ভারত থেকে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের নৌপরিবহন চুক্তি আছে। সে অনুযায়ী, মিয়ানমার থেকে সহজে পণ্য নিয়ে আসতে পারব। চাল, ডাল, পেঁয়াজ এবং আদা সীমিত পরিসরে আনা যাবে। এ সময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, রমজানে এক কোটি পরিবার বিশেষ সুবিধা পাবে। প্রসঙ্গত, দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা বছরে ২২ লাখ টনের মতো হলেও শুধু রমজান মাসেই লাগে প্রায় ৪ লাখ টন। আর ভোজ্যতেলের সিংহভাগই আমদানিনির্ভর। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে দাম ওঠা-নামা করলে দেশেও এর প্রভাব পড়ে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেশ খানিকটা নিম্নমুখী হলেও ডলারের চড়া দরের অজুহাতে সেই হারে সমন্বয় করেননি উদ্যোক্তারা। তাই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে ১ মার্চ থেকে লিটারে ১০ টাকা কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।  
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:২১

‘মার্চের প্রথম সপ্তাহে জ্বালানি তেলের দামে স্বয়ংক্রিয় সমন্বয়’
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহে জ্বালানি তেলের দামে স্বয়ংক্রিয় সমন্বয় চালু হবে। পরবর্তীতে একই প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ ও গ্যাসের জন্য স্বয়ংক্রিয় দাম নির্ধারণ শুরু হবে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা ও যুদ্ধের কারণে জ্বালানি আমদানিতে ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, আমদানি কমিয়ে লোডশেডিং দিতে হয়েছে। এখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যে গোলযোগ শুরু হলে পরিস্থিতি অন্যদিকে যেতে পারে। তিনি বলেন, সামনের গ্রীষ্মে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট ছাড়াতে পারে। বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রস্তুত, নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি দিতে পারলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া যাবে। আর এর জন্য অর্থের জোগান একটা বড় বিষয়। এ মাসের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ মোটামুটি একটা জায়গায় আসবে। আগামী সপ্তাহে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করা হবে।  গ্যাস সংকটের বিষয়ে নসরুল হামিদ বলেন, গ্যাস আমাদের সামনে একটি বৃহৎ চ্যালেঞ্জ। শীতের প্রকোপে স্বাভাবিকভাবেই গ্যাসের চাপ একটু কম থাকে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে এফেসারিও (ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল) চালু হবে। আমাদের টার্গেট হচ্ছে আগামী মার্চের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা। সামনে আমাদের রমজান মাস আসছে, রমজানকে সামনে রেখে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, কোনো দিন বা তারিখ ঠিক না করে আমরা কাজের গুরুত্বের স্তর ঠিক করে ফেলছি। বিশেষ করে জ্বালানি খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভালো সংবাদ এই যে, ইতোমধ্যে আমরা যে কয়টি কূপ খনন করেছি সবগুলোতেই গ্যাস পেয়েছি। অনেক কূপ ছোট হলেও ভালো অবস্থায় রয়েছে। ভোলা থেকে বরিশাল পাইপলাইন তৈরিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমরা এ কাজ এ বছরই শুরু করব। তিনি আরও বলেন, ভোলা থেকে সিএনজি গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। আশা করছি ধীরে ধীরে আরও বাড়বে। নিজস্ব গ্যাসের উত্তোলন ও সরবরাহ বৃদ্ধিতে এ বছর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। আমরা চাইছি আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এ ৪৬টি কূপের খনন কাজ শেষ করতে, পরে আরও ১০০ কূপ খনন করতে। ২০২৪ ও ২৫ সালের মধ্যে আমরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাসের জোগান দিতে পারব। ২০২৬ ও ২৭ সালের দিকে আমাদের আরও দুটি এফেসারিও সংযুক্ত হবে। নসরুল হামিদ বলেন, আমরা মনে করছি ২০২৭ সালের দিকে আমাদের চাহিদা প্রায় ৬ হাজার এমএমসিএফডি বাড়বে। যেভাবে শিল্পকারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের চাহিদা থাকবে সেভাবে ম্যানেজমেন্ট করা হবে। পেট্রোবাংলা এ সংক্রান্ত ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ডিসট্রিবিউশন মাস্টারপ্ল্যানে হাত দিয়েছে। আশা করছি আগামী এক বছরের মধ্যে এটা শেষ হবে। নতুন করে আমাদের আরও ১.৬ টিসিএফ গ্যাসের সম্ভাবনা দেখা গেছে। এগুলো নিয়েও কাজ চলছে।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়