• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রাস্তায় যৌন হেনস্তার শিকার অভিনেত্রী
বিগবস প্রতিযোগী আয়েশা খান, তাকে কিছু দুঃসহ স্মৃতি আজও তাড়া করে । মুম্বাইয়ের রাস্তায় যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। এখনও ভুলতে পারেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তা প্রকাশ করেছেন আয়েশা। একটি ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন আমি মালাদে থাকি। একদিন বিকেল বেলা আমার ফ্ল্যাটের সামনে ফুচকা খেতে নিচে নেমেছিলাম। হঠাৎ এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি এসে আমাকে বলেন, বাহ.. তোমার স্তনগুলো তো খুব সুন্দর! ওই লোকটার কথায় আমি চমকে উঠেছিলাম। এরপর আরও এক হেনস্তার ঘটনা বলেন আয়েশা। তার কথায়, আমি একদিন অটো করে কাজে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে অটোওয়ালা আমায় বলল, আমাকে কেউ একটা পিছু করছে। হঠাৎ করে দেখি আমার অটোর পাশে একটি বাইক আসে। বাইকের পেছনে বসা এক যুবক হাত বাড়িয়ে আমার শরীর ছুঁতে চায়। চিৎকার করে উঠেছিলাম। যত্রতত্র হেনস্তা্র বিষয়টি নিয়ে আয়েশা আরও বলেন, আমরা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছি বলেই যে আমাদের এটা সহ্য করতে হয়, তা নয়। আমরা মেয়েরা সত্যিই মাঝে মধ্যে খুব অসহায়বোধ করি। আয়েশা খান একাধারে মডেল ও অভিনেত্রী। তিনি আলোচনায় আসেন রিয়েলিটি শো বিগবসের মাধ্যমে। এরইমধ্যে ক্যারিয়ারে জমা হয়েছে বেশকিছু কাজ। 
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৩

বীমা ছাড়া গাড়ি নিয়ে নামা যাবে না রাস্তায়
সড়কে চলাচলকারী সব ধরনের মোটরযানের জন্য লাইসেন্সের পাশাপাশি বাধ্যতামূলক হতে যাচ্ছে বীমাও। ২০১৮ সালের আগেও এমন আইন অবশ্য ছিল। পাঁচ বছর পর ফের প্রচলিত আইনে যুক্ত হতে যাচ্ছে বীমার ওপর বাধ্যবাধকতার ব্যাপারটি।   জানা গেছে, নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বীমা করা না থাকলে প্রতিটি যানবাহনের জন্য তিন হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে তার মালিককে। আর আইন না মানলে মামলা করবে পুলিশ। এ ধরনের বিধান করার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি সারসংক্ষেপ পাঠাতে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। যুক্তি হিসেবে মন্ত্রণালয় বলছে, বিশ্বের কোনো দেশেই বীমা ছাড়া সড়কে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। সারসংক্ষেপে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮–এর একটি ধারা সংশোধনের প্রস্তাবও থাকছে। গত ১ মার্চ অনুষ্ঠিত জাতীয় বীমা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বীমা না করা কোনো যানবাহন যাতে চলাচল করতে না পারে, সে রকম একটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘যথাযথ বীমা ছাড়া সড়কে যেন কোনো যানবাহন না চলে, এ ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে।’  আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বলছে, তাদের হিসাব অনুযায়ী চলতি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে চলাচলকারী মোটরসাইকেল, গাড়ি, বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের মোট মোটরযানের সংখ্যা ৫৬ লাখ ৬১ হাজার ৪১৮টি। বীমা করা বাধ্যতামূলক না হওয়ায় প্রতিবছর ৮৭৮ কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত থাকছে সরকার। আইন সংশোধনের পক্ষে যুক্তি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসব তথ্যও পাঠানো হবে। এদিকে বর্তমানে প্রচলিত দেশের সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮–এ যাত্রী বা মোটরযানের বীমা নিয়ে চারটি উপধারা আছে। এর মধ্যে প্রথম উপধারায় বলা আছে, কোনো মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা করলে তার মালিকানাধীন যেকোনো মোটরযানের জন্য যে সংখ্যক যাত্রী পরিবহনের জন্য নির্দিষ্ট করা, তাদের জীবন ও সম্পদের বীমা করতে পারবে। দ্বিতীয় উপধারায় বলা হয়েছে, মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান তাদের অধীনে পরিচালিত মোটরযানের জন্য যথানিয়মে বীমা করবেন এবং মোটরযানের ক্ষতি বা নষ্ট হওয়ার বিষয়টি বীমার আওতাভুক্ত থাকবে এবং বীমাকারীর মাধ্যমে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী হবে। তৃতীয় উপধারা বলছে, মোটরযান দুর্ঘটনায় পড়লে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা নষ্ট হলে সেটির জন্য আর্থিক সহায়তা তহবিল থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি করা যাবে না।  আর সবশেষ উপধারাটিতে বলা হয়েছে, বীমার শর্ত, বিমার দায়-দায়িত্বের সীমা, বীমার দেউলিয়াত্ব, বীমা-দাবি পরিশোধ, বিরোধ-নিষ্পত্তি, বীমা সনদের কার্যকারিতা ও তা হস্তান্তর এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধির মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বলছে, প্রচলিত সড়ক পরিবহন আইনের ৬০(১) উপধারায় যানবাহনের যাত্রীর জন্য বীমা বাধ্যতামূলক রাখার পরিবর্তে ঐচ্ছিক করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় উপধারায় ‘যথানিয়মে বীমা করবেন’ বলে যে নির্দেশনার উল্লেখ আছে, তা লঙ্ঘন করলে কোনো শাস্তির বিধান রাখা হয়নি। আইনের এ সুযোগ নিয়েই মোটরযানের বীমার বিষয়টি এড়িয়ে চলছেন মালিকরা।  আবার আইনের ৯৮ নম্বর ধারায় শাস্তির বিধানের কথা বলা আছে। অর্থাৎ আইনেই বিভ্রান্তির সুযোগ রয়েছে। এই বিভ্রান্তি দূর করতে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর একটি পরিপত্র জারি করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। তাতে বলা হয়েছে, আইনের ৬০(১), (২) ও (৩) উপধারা অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা বাধ্যতামূলক নয় এবং কেউ কোনো ধারা লঙ্ঘন করলে মোটরযান বা মোটরযানের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার সুযোগ নেই।  এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে কথা বলতে রাজি হননি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। তবে বিভাগটির শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘কোনো দেশেই বীমা ছাড়া যানবাহন চলতে পারে না, বাংলাদেশেও পারবে না। এ জন্য শিগগিরই আইন সংশোধন করা হবে।’ এদিকে জাতীয় বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উক্তির পরই যানবাহনের জন্য বীমা বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ প্রণয়নে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ মণ্ডলকে সভাপতি করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। ওই কমিটি ইতোমধ্যে দুটি বৈঠকও করেছে। যেখানে বর্তমান সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন করে এতে একটি উপধারা সংযোজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী উপধারাটিতে উল্লেখ থাকবে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি ৬০(২) ধারার বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহলে তা হবে একটি অপরাধ এবং এই অপরাধের জন্য তিনি অনধিক তিন হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’ জানা গেছে, জাতীয় বীমা দিবসের আগেই মোটরযানের জন্য বীমা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাবটি দিয়েছিল বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সংস্থাটির পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, বিদ্যমান আইনে বীমা করার কথা বলা থাকলেও তা প্রতিপালনের জন্য দণ্ডের ব্যবস্থা নেই। ফলে আইন মেনে বীমা করার ক্ষেত্রে মানুষের আগ্রহ কম।  আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বলছে, আইডিআরএর প্রস্তাব অনুযায়ীই আইন সংশোধন হবে। তবে এজন্য প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় হিসেবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দরকার।  
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩১

রাস্তায় বিরিয়ানি রান্না, এ কী দুর্দশা সুপারস্টারের (ভিডিও)
রাস্তার ধারে বিরিয়ানি রাঁধছেন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির দাপুটে অভিনেতা অজিত কুমার। কয়েকদিন আগেই অস্ত্রোপচার হয়েছে তার। তারপরই হঠাৎ রাস্তার ধারে বিরিয়ানি রান্না করতে দেখা গেল অভিনেতাকে। ইতোমধ্যে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।  কী কারণে রাস্তার ধারে বিরিয়ানি রান্না করছেন অজিত? সত্যিই কি অর্থাভাব নাকি বিরিয়ানি তৈরির নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনো কারণ? এমন প্রশ্ন রীতিমতো ঘুরপাক খাচ্ছে অভিনেতার ভক্তদের মনে।  নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়— বড় মাপের একটি পাত্রে বিরিয়ানি রান্না করছেন অজিত। পাশে আরও কয়েকটি স্টোভ রয়েছে। স্তরে স্তরে মাংস সাজিয়ে, ভাজা পেঁয়াজ ভাতের উপরে ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন অজিত। ভাতের প্রতিটি লেয়ারও সুন্দর করে সাজাচ্ছিলেন তিনি। রাস্তার ওপর এভাবে তাকে বিরিয়ানি রান্না করতে দেখে রীতিমতো ভিড় জমায় সাধারণ মানুষ। জানা গেছে, বন্ধুদের সঙ্গে বাইক ট্রিপে গিয়েছিলেন অজিত। ওই ট্রিপের মাঝেই বন্ধুদের সঙ্গে বিরিয়ানি রান্নার প্ল্যানিং করেন তিনি। রীতিমতো ঘাম ঝরিয়ে বিরিয়ানি রান্না করতে দেখা গেছে অজিতকে। তবে এই ভিডিও থেকে এটা স্পষ্ট— দাপুটে অভিনেতা, ভিলেনের পাশাপাশি ভালো রাঁধুনিও তিনি।          প্রসঙ্গত, 'বিদা ময়ূর্চি' সিনেমার শুটিংয়ের জন্য আজারবাইজানে গিয়েছিলেন অজিত কুমার। অসুস্থতার কারণে কাজ শেষ হওয়ার আগেই দেশে ফিরে আসেন অভিনেতা। ছোট একটা অস্ত্রোপচারও হয় তার। চলতি মাসের শেষ দিকে আবার সিনেমাটির শুটিং শুরু করবেন অজিত। তার আগে বন্ধুদের সঙ্গে একটু কোয়ালিটি সময় কাটালেন এই অভিনেতা।    ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন সূত্র : এই সময়    
২২ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৯

রমজানের আলো নেই জেরুজালেমের রাস্তায়
বছরের এই সময়টায় রমজানের সাজে সেজে ওঠে জেরুজালেমের রাস্তা। গাজার সংঘাত সেই আলো কেড়ে নিয়েছে। রমজানের সময় পুরনো জেরুজালেম শহরের সরু সরু গলিগুলিতে অন্য সময়ের চেয়ে ভিড় বেশি থাকে। গলিতে লাগানো হয় আলোর মালা। কিন্তু এবার তার কোনো কিছুই নেই। বাতাসে কেবল একটিই চিন্তা, শেষপর্যন্ত কেমন যাবে এই রোজার মাস। উম আম্মার স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি জানিয়েছেন, এবারের রমজানে কোনো উচ্ছ্বাস নেই। পুরনো জেরুজালেমে আল ওয়াদের রাস্তায় দেখা হয়েছিল তার সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, সকলের মনে একটি বিষয়ই কেবল ঘুরছে, গাজার সংঘাত। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়ে দিয়েছে, এখনো পর্যন্ত ৩১ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে প্রচুর নারী ও শিশু আছে। পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠনগুলি আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, সেখানে কার্যত দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা তো ইফতার করব, কিন্তু গাজায় হয়তো হাজার হাজার মানুষ কিছু খেতেই পাবেন না। সেখানে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি। বলেছেন, উম আম্মার। তার কাছে এবারের রমজান শোকের। প্রতিদিন কিছু অসহায় মানুষের জন্য প্রার্থনা করার মাস। শুধু উম আম্মা নন, গোটা অঞ্চলে একইরকম ভাবনা ভেসে বেড়াচ্ছে। হাসিম তাহা মশলার দোকান চালান। তিনি বলেছেন, গাজায় যারা বসবাস করেন, তারা আমাদের লোক। তারা কষ্ট পাচ্ছেন। তা-ই আমরাও রমজানে কোনো আনন্দ করব না। রমজানের সময় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত থাকবে বলে আশা করছেন অনেকে। কিন্তু একথা বলতে বলতেই তাহা সামনেই ইসরায়েলের পুলিশের দিকে আঙুল তোলেন। তার দোকান থেকে সামান্য দূরেই ইসরায়েল বর্ডার পুলিশের চেক পোস্ট। ফিলিস্তিনি যুবকদের আটকে তল্লাশি চালাচ্ছে তারা। তাহার বক্তব্য, জীবন দুর্বিসহ করে তুলছে ওই পুলিশেরা। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল হামাস। বহু মানুষের প্রাণ গেছিল। অসংখ্য মানুষকে হামাস আটক করে পণবন্দি করে। সেই তখন থেকে গাজায় অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলে। সব মিলিয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। রমজানের সময় পবিত্র আল আকসা মসজিদের সামনে বহু মানুষ জড়ো হন। ওই মসজিদের সামনে তারা নামাজ পড়েন। ফেব্রুয়ারি মাসে ইসরায়েলের অতি দক্ষিণপন্থি দলের সদস্য তথা দেশের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির ওই মসজিদের সামনে জমায়েতে কড়াকড়ি জারি করেছেন। বস্তুত, এর আগে সেখানে সমবেত মানুষের সঙ্গে পুলিশের লড়াই হয়েছে। অশান্তি এড়াতেই ওই কড়াকড়ি জারি করা হয়েছে বলে ইসরায়েলের দাবি। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা বিষয়টি ভালো চোখে দেখছেন না। তবে সম্প্রতি, গত ৫ মার্চ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর অফিস একটি নোটিস জারি করে। তাতে বলা হয়েছে, প্রথম সপ্তাহের জন্য মসজিদের সামনে জড়ো হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো কড়াকড়ি থাকবে না। প্রথম সপ্তাহে নিরাপত্তার বিষয়টি বুঝে নিয়ে দ্বিতীয় সপ্তাহে নতুন নিয়ম জারি করা হতে পারে। তবে ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ, পূর্ব জেরুজালেমে বিশেষ করে দামাস্ক গেটের কাছে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হচ্ছে। সেখানে ফিলিস্তিনি যুবকদের আটকে দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিম তীর থেকে মানুষেরা এখানে এসে প্রার্থনা করতে পারবেন কি না, তা-ও এখনো বোঝা যাচ্ছে না।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৭

রাস্তায় বসেই ইফতার করলেন ডিএমপি কমিশনার 
  রোজার প্রথম দিনে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান রাস্তায় বসেই ইফতার করেছেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে রাজধানীর সোনারগাঁও ক্রসিংয়ে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে ইফতারে অংশগ্রহণ করেন। এ সময়  তিনি যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। এর আগে বিকেলে তিনি তেজগাঁও থানার আয়োজনে দুস্থদের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, সোনারগাঁ ক্রসিং ঢাকা শহরের ব্যস্ততম একটি স্থান। এখান থেকে উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম সবদিকে গাড়ি যায়। সেই হিসেবে এখানকার অবস্থা সন্তোষজনক। ইফতারের ২০ মিনিট আগে দেখা গেছে রাস্তায় তেমন কোন চাপ নেই। ট্রাফিক ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কর্মব্যস্ত নগরবাসী কর্মস্থল থেকে নিরাপদে বাসায় ফিরে তাদের পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে পারেন, এ জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক সদস্যদের সঙ্গে অতিরিক্ত জনবল মোতায়েন করা হয়েছে। মধ্য রমজান থেকে শপিং মল ও  মার্কেটগুলোর সামনে অতিরিক্ত যানজট সৃষ্টি হয়। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রমজানের ১০-১৫ দিন পর থেকে মানুষজন কেনাকাটায় বের হন। সে জন্য একটু যানযটের সৃষ্টি হয়। বেশির ভাগ মার্কেটেই পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নাই। আমরা সেখানে মার্কেট কমিটির লোকজন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ মিলে সেটি যাতে সহনীয় রাখা যায়, সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছি। এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান, ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোস্তাক আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  
১২ মার্চ ২০২৪, ২১:৩০

অভাবের তাড়নায় শিশুকে রাস্তায় ফেলে গেলেন মা, ফিরিয়ে দিল পুলিশ
নীলফামারীর সৈয়দপুরে অভাবের তাড়নায় এক শিশুকে হাসপাতালের পাশের গলির রাস্তায় ফেলে যায় রেহেনা নামে এক গৃহবধূ। পরে যাচাই বাছাই শেষে শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।   সোমবার (১১ মার্চ) শিশুটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর থানার ওসি শাহ আলম। রোববার শিশুটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।  শিশুটির মা রেহেনা বেগম শহরের কামারপুকুর এলাকার ঈদগাহ ময়দান পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।   পুলিশের বরাতে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে শিশুটিকে হাসপাতালের গলির রাস্তায় কুড়িয়ে পান সেলিনা বেগম। এরপর শিশুটি অসুস্থ থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। মানুষের মাঝে শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বাচ্চার মা দাবি করে শিশুকে ফেরত নিতে আসেন রেহেনা বেগম। এরপর শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার বিষয়ে থানায় জিডি করেন ওই গৃহবধূ। তাদের দুজনকে শিশুটিকে নিয়ে থানায় ডাকেন পুলিশ। তারপর খোঁজখবর নিয়ে প্রকৃত মায়ের কাছে শিশুকে হস্তান্তর করা হয়।  শিশুর মা রেহেনা বেগম বলেন, আমার বাচ্চাটি হওয়ার পর তার বাবা আমার আর তার কোনো খোঁজখবর নেননি। অভাবের তাড়নায় শিশুটিকে আমি রাস্তায় ফেলে যাই। নিজের সন্তানকে ফেলে দেওয়ায় আমি অনুতপ্ত হই৷ পরে পুলিশকে জানালে তারা আমার শিশুকে আজকে ফেরত দেয়।  শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়া সেলিনা বেগম জানান, আমি শিশুটিকে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। শিশুটিকে অসুস্থ থাকায় তাকে আমি চিকিৎসা করিয়েছি। শিশুটি ভালো থাকুক তার মায়ের কাছে।  এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, একজন মা তার শিশুকে রাস্তায় ফেলে যায় এমন একটি খবর শুনতে পাই। পরে সেই শিশুকে কুড়িয়ে পাওয়ার বিষয়ে সেলিনা বেগম নামে একজন থানায় জিডি করেন। আমরা তদন্ত করে তার প্রকৃত মায়ের কাছে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেই।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৪

অভাবের তাড়নায় শিশুকে রাস্তায় ফেলে গেলেন মা 
নীলফামারীর সৈয়দপুরে অভাবের তাড়নায় নিজের শিশুকে হাসপাতালের পাশের গলির রাস্তায় ফেলে যায় রেহেনা নামে এক মা।  শনিবার (৯ মার্চ) রাতে সৈয়দপুর থানায় শিশুটিকে নিয়ে আসেন কুড়িয়ে পাওয়া সেলিনা বেগম। এর আগে বৃহস্পতিবার শিশুটিকে কুড়িয়ে পায় তিনি। কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে এ শিশুটিকে কুড়িয়ে পায় সেলিনা বেগম। তবে শিশুটিকে নিজের সন্তান বলে দাবি করছেন শহরের কামারপুকুর ঈদগাহ এলাকার রেহেনা বেগম। স্বামীর অত্যাচারে আর অভাবে শিশুকে হাসপাতালের পাশের গলির রাস্তায় ফেলে যায় তিনি।  জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকালে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে শিশুটিকে হাসপাতালের গলির রাস্তায় কুড়িয়ে পায় সেলিনা বেগম। এরপর শিশুটি অসুস্থ থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। এরপর মানুষের মাঝে শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বাচ্চার মা দাবি করে শিশুকে ফেরত নিতে আসেন রেহেনা বেগম। এরপর শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার বিষয়ে থানায় জিডি করেন ওই গৃহবধূ। আজকে তাদের দুজনকে শিশুটিকে নিয়ে থানায় ডাকেন দায়িত্বরত কর্মকর্তা৷  বাচ্চার মা দাবি করা রেহেনা বেগম জানায়, আমার বাচ্চাটি হওয়ার পর তার আর আমার কোন খোজ খবর নেয়না আমার স্বামী। আমার বাচ্চা হওয়ার পর কয়েকদিন না খেয়ে ছিলাম। তারা বলে এটা অন্যের ছেলে এজন্য তারা আমাকে খাবার দেয় না। আমি অভাবের তাড়নায় শিশুকে ফেলে দিয়েছি। এখন আমি আমার শিশুকে ফেরত চাই৷  বাচ্চা কুড়িয়ে পাওয়া সেলিনা জানায়, আমি কাজ শেষ করে বাসায় যাচ্ছিলাম এ সময় শিশুটিকে দেখতে পাই৷ তারপর শিশুটিকে কুড়িয়ে নিয়ে হাসপাতাল যাই। বাচ্চাটি খুব অসুস্থ ছিলো তারপর তার চিকিৎসা করার পর সে কিছুটা সুস্থ হয়েছে। এখন যাকে ফেলে দিয়েছে এটা তার বাচ্চা আমি বুঝব কিভাবে। আমি বাচ্চাটিকে কুড়িয়ে পেয়েছি তাকে আমি রাখতে চাই।  স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলার রুবিনা বেগম জানায়, আমি শুনেছি উনি বাচ্চাটিকে কুড়িয়ে পায়। তারপর হাসপাতালে গিয়ে বাচ্চাটিকে কাপড় কিনে দেয়, তারপর থানায় এসে জিডি করি। আজকে থানায় ডেকেছে পুলিশ এখানে এসে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত করবে শিশুটি কার। আমি চাই প্রকৃত মালিককে শিশুকে ফেরত দেওয়া হোক।  এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ বলেন, থানায় সবাইকে ডাকা হয়েছে, তদন্ত করে শিশুটিকে তার প্রকৃত মালিক বা মায়ের হাতে তুলে দিব।
১০ মার্চ ২০২৪, ১০:১৯

যানজট কমাতে রাস্তায় পে-পার্কিং চালু করতে যাচ্ছে চসিক
চট্টগ্রাম নগরীতে যানজট কমাতে শহরের রাস্তায় পে-পার্কিং ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ। এ ব্যবস্থায় টাকার বিনিময়ে সড়কের পাশে গাড়ি পার্কিং করতে দেওয়া হবে চালকদের। এতে বন্দর নগরীর যানজট কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও সংশ্লিষ্টদের।  রোববার (৩ মার্চ) চসিক সম্মেলন কক্ষে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর উপস্থিতিতে এই পে-পার্কিং চালুর জন্য সমঝোতা চুক্তিতে সই করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও বি-ট্র্যাক সলিউশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম তানভীর সিদ্দিকী। চসিক জানায়, আগামী ৭ মার্চ থেকে নগরীর নির্ধারিত স্থানে পে-পার্কিং চালুর জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করবে বি-ট্র্যাক সলিউশন। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পে-পার্কিং চালু করতে পারবে বলে আশা করছে তারা। যানজট কমাতে নগরীর প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পে-পার্কিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মন্তব্য করে মেয়র রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নগরীতে যে যানজট লেগে আছে, তা নিরসনের জন্য চসিক ও সিএমপি ট্রাফিক বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে আপাতত আগ্রাবাদ এলাকায় পে-পার্কিংয়ের পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বি-ট্র্যাক সলিউশনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এ চুক্তি সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়িত হলে পরবর্তীতে আরও পে-পার্কিং প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, নগরের নিউ মার্কেট এলাকায় ফুটপাতগুলো অবৈধ দখল মুক্ত করে সেখানে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে। নগরবাসী যেন ফুটপাতে অবাধে ও নিরাপদভাবে চলতে পারে সেজন্য কঠোর নজরদারি আছে চসিকের।  সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরকালে চসিক মেয়র ও প্রধান নির্বাহী ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমী এবং প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম।  
০৪ মার্চ ২০২৪, ০৪:০৯

রাস্তায় দাঁড়িয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন এমপি
বিশ্বের নবম ধীরগতির ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নিজেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাজ করেছেন ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনের সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্ত।  এ সময় তিনি সড়কের মাঝে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে দুপাশে চলাচল করা যান নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার (১৯ ফ্রেব্রুয়ারি) নগরীর ত্রিশাল বাসস্ট‍্যান্ড সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন এই সংসদ সদস্য। ভিডিওতে দেখা যায়, সড়কে চলাচলরত এলাকাবাসীর সঙ্গেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এর আগে রোববারও সড়কের যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন মোহিত উর রহমান শান্ত।  এ দৃশ‍্যে দেখে উচ্ছ্বসিত নগরবাসী। তারা বলেন, এমপি শান্ত এ শহরের সন্তান। এ শহরের প্রতি তার দরদ অনেকটাই বেশি। স্থানীয়রা বলেন, মোহিত উর রহমান শান্তের প্রয়াত বাবা প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান এ আসনের সংসদ সদস্য ও ধর্মমন্ত্রী ছিলেন। তিনিও এ সদরের মানুষের জন‍্য আজীবন কাজ করে গেছেন। তার ছেলে পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন এটাই স্বাভাবিক।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১৮

৯ মাসের শিশুকে রাস্তায় ফেলে পালায় চোর
লক্ষ্মীপুরে গভীর রাতে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কম্বল মোড়ানো একটি শিশুকে দেখতে পান এক পথচারী। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারের পর পুলিশ তার পরিচয় শনাক্ত করে। এরপর মাকে থানায় ডেকে নিয়ে শিশুটিকে তার কোলে তুলে দেওয়া হয়।   পুলিশ জানায়, রাস্তায় পড়ে থাকা শিশুটির নাম মালিহা ইসলাম ওহি। তার বয়স মাত্র ৯ মাস। তার মায়ের নাম মরিয়ম বেগম। গত চারদিন আগে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ অগ্রণী স্কুলের ক্যাম্পাস থেকে তাকে চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত এক নারী।   এ বিষয়ে কমলনগর থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল জলিল বলেন, রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে থানার কাছে উপকূল কলেজের পেছনে মাটির রাস্তা দিয়ে জনৈক পথচারী ইউছুপ বাড়ি যাওয়ার সময় কম্বল মোড়ানো একটি শিশুটি দেখতে পান। তিনি চিৎকার দিয়ে লোকজন জড়ো করেন। পরে এলাকার লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে। তার পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে। এর আগে শিশুর মা থানায় একটি জিডি করেছিলেন। সে সূত্রে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছিল।   শিশু মালিহার মা মরিয়ম বেগম বলেন, গতরাত ১২টার আগ পর্যন্ত আমরা থানায় ছিলাম। সেখান থেকে বাড়ি আসার ১০ মিনিটের মাথায় থানা থেকে আমাদের কাছে ফোন আসে। থানায় গিয়ে আমার মেয়েকে দেখতে পাই। পরে আমার কাছে মালিহাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।   এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থলের একটি বিদ্যালয়ের ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা যাচাই করে দেখতে পায় মাথায় লাল হিজাব, মুখে মাস্ক ও কালো বোরকা পরিহিত এক নারী শিশুটিকে কোলে নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। বাজারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরা যাচাই করেও একই দৃশ্য দেখা গেছে।  
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়