• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেডের সমরাস্ত্র প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ
প্রতি বছরের মত এবারও সমরাস্ত্র প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড (বিএমটিএফ) অংশগ্রহণ করেছে। বিএমটিএফের মোট ১৯টি ফ্যাক্টরির মধ্যে ১০টি ফ্যাক্টরির উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শনীতে জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উম্মুক্ত রয়েছে।  বিএমটিএফের অংশগ্রহণকারী ১০টি ফ্যাক্টরি হল- ফুটওয়্যার ও লেদার ফ্যাক্টরি, আর্মি ফার্মা লিমিটেড, বিএমটিএফ লাইটস, পেপার প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি, নম্বর প্লেট ও ইলেক্ট্রনিক এসেম্বলি শপ, বিএমটিএফ এ্যাপারেলস, স্টিল স্ট্রাকচার ম্যানুফ্যাকচারিং শপ, মেশিন শপ এবং সংযোজন শপ।  উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৪ র্মাচ সমরাস্ত্র প্রদর্শনী উদ্বোধনের পর বিএমটিএফ এর স্টল পরিদর্শন করেন এবং তাদের উৎপাদিত পণ্যের প্রশংসা করেন।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৩

র‍্যাপিড পাস ব্যবহার করবেন যেভাবে
যানজট এবং সময় বাঁচাতে রাজধানীতে মেট্রোরেলের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এই সময়কে আরও বাঁচাতে এবং প্রতিবার টিকেট কাটার ঝামেলা এড়াতে ব্যবহার করা যায় র‍্যাপিড পাস কার্ড। র‍্যাপিড পাস হলো নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন বা কম দূরত্বের যোগাযোগের জন্য একটি সর্বাধুনিক স্মার্ট কার্ড। এটি তৈরি করেছে জাপানের সনি কোম্পানি। বাংলাদেশে গণপরিবহনের সমন্বিত ই-টিকেটিং (এক কার্ডে সব যোগাযোগ) ব্যবস্থা প্রবর্তন ও ভাড়া আদায়ের লক্ষ্যে এই র‍্যাপিড পাস প্রচলন করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ। দেশের বিভিন্ন গণপরিবহন যেমন- ঢাকা মেট্রোরেল, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিসির নৌযান সার্ভিস, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন বাস সার্ভিসে যাতায়াতের ক্ষেত্রে পেমেন্ট সুবিধা পেতেই র‌্যাপিড পাস সিস্টেম। এটি স্বাচ্ছন্দ্যে, নিরবচ্ছিন্ন এবং ঝামেলাবিহীন। র‌্যাপিড পাস কার্ড যেভাবে ব্যবহার করবেন-  ২০১৭ সালে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া র‍্যাপিড পাস কার্ড ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন শুরু হয়। এটির মাধ্যমে মেট্রো, রেল, বাসসহ বিভিন্ন পরিবহনের ভাড়া দেওয়া যায়। এটি অনেকটা ক্রেডিট কিংবা ডেবিট কার্ডের মতো কাজ করে। মেট্রোরেলের একটি স্টেশনে এই কার্ড পাঞ্চ করে ঢোকার পর ভ্রমণ শেষে অন্য স্টেশনে নামার সময় গেটে পাঞ্চ করলে নির্ধারিত ভাড়া কেটে রাখে। এই কার্ড ব্যবহার করে বাসে যাতায়াত করলেও একইভাবে ভাড়া প্রদান করতে হয়। যাত্রী বাসে ওঠার সময় কার্ডটি বাসে রাখা মেশিনে পাঞ্চ করলে সবুজ বাতি জ্বলে উঠে। আবার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে নামার সময় পাঞ্চ করলে কার্ড থেকে পূর্বনির্ধারিত ভাড়া কেটে নেওয়া হয়। রাজধানীর মতিঝিল থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত বিআরটিসির এসি বাস এবং গুলশান, বনানী, নতুন বাজারের মধ্যে চলাচলকারী ‘ঢাকা চাকা’ বাসে এই র‍্যাপিড পাস কার্ডের ব্যবহার চালু হয়েছিল ২০১৮ সালে। র‌্যাপিড পাস কার্ড পেতে যা করবেন- র‍্যাপিড পাস কার্ড পেতে প্রথমে নিবন্ধন ফরম পূরণ করতে হবে। অনলাইনে এই ঠিকানায় গিয়ে খুব সহজেই ফরমটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তারপর সেটি পূরণ করে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংকের শাখায় জমা দিয়ে কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দুই কার্যদিবস সময় লাগবে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নিন্মবর্ণিত শাখা বা উপশাখাগুলো থেকে র‍্যাপিড পাস কিনতে পারবেন। উওরা সোনারগাঁও জনপদ শাখা, উওরা শাখা, রবীন্দ্র সরণি শাখা, পল্লবী শাখা, মিরপুর, মিরপুর সার্কেল ১০ শাখা, ইব্রাহিমপুর শাখা, শেওড়াপাড়া শাখা, কর্পোরেট শাখা, মতিঝিল, ইন্দ্রিরারোড শাখা, খালপাড় উপশাখা, উত্তরা, তালতলা উপশাখা, কাফরুল, সচিবালয় ফাস্টট্র্যাক। এছাড়া দিয়াবাড়ি এবং আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনের ডিবিবিএল বুথ থেকেও র‍্যাপিড পাস কেনা যাবে।  র‌্যাপিড পাস কার্ড রিচার্জ করবেন যেভাবে- মেট্রোরেলের টিকেট বিক্রয় মেশিন (Ticket Office Machine, Ticket Vending Machine) থেকে র‍্যাপিড পাস কার্ড রিচার্জ করা যাবে। র‌্যাপিড পাসের প্রাথমিক মূল্য ৪০০ টাকা। এর মধ্যে ২০০ টাকা কার্ডের মূল্য এবং প্রাথমিকভাবে রিচার্জ করে দেয়া হবে ২০০ টাকা। একটি কার্ড একবারে সর্বোচ্চ ১,০০০ টাকা রিচার্জ করা যাবে। তবে কার্ডের ব্যাল্যান্স ১০,০০০ টাকার বেশি হতে পারবে না। কার্ডে অপার্যাপ্ত ব্যাল্যান্স থাকলেও কার্ড ব্যবহারকারী প্রতিবার রিচার্জে একবার কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। তবে পরবর্তী রিচার্জে ওই পরিমাণ টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেওয়া হবে।    কার্ড রিচার্জ করতে ভুলে গেলে যা করবেন-  অনেক সময় দেখা যায় কার্ড রিচার্জ করতে মনে থাকে না এবং হাতেও সময় নেই। এক্ষেত্রে সমস্যার কিছু নাই। কার্ড টাচ করে যাতায়াত করতে পারবেন। যাতায়াতের যে ভাড়া সেটি নেগেটিভ হিসেবে কার্ডে থাকবে। যখন কার্ড রিচার্জ করা হবে তখন সয়ংক্রিয়ভাবে টাকা কেটে নেবে। ভাড়া ধার নেয়া যাবে একবার রিচার্জ করার আগ পর্যন্ত।   র‍্যাপিড পাস কার্ডের ব্যালেন্স চেক-  টিকেট ভেন্ডিং মেশিন অথবা টিকেট কাউন্টার থেকে কার্ডের ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন। এজন্য ভেন্ডিং মেশিনের নির্ধারিত স্থানে কার্ডটি রাখুন। এরপর ডিসপ্লে মনিটরের “Card Information” বাটনে টাচ করুন। এখান থেকে “Card Balance” অপশনটি বাছাই করুন। মনিটরেই আপনার কার্ডের ব্যালেন্স দেখতে পাবেন।   ক্ষতিগ্রস্ত কার্ড পুনঃপ্রদান-  কোনো কার্ড ক্ষতিগ্রস্ত হলে ব্যবহারকারী সেটি অপারেটরকে ফেরত দিয়ে নতুন কার্ড নিতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে পুনঃপ্রদান ফি বাবদ ২০০ টাকা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে অপারেটর নতুন কার্ডে পূর্বের ব্যালেন্স স্থানান্তর করে দেবেন। হারানো কার্ড ফেরত পেতে যা করবেন-  র‍্যাপিড পাস কার্ড হারিয়ে গেলে ব্যবহারকারী ২০০ টাকা ফি এবং ২০০ টাকা পুনঃপ্রদান ফি দিয়ে কার্ড তুলতে পারবেন। অপারেটর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে নতুন প্রদান করা কার্ডে পূর্বের ব্যালেন্স স্থানান্তর করে দেবেন।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়