• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সব ঝিনুকে মুক্তা না থাকার রহস্য জানেন কি
মুক্তার সৌন্দর্য্য যে কাউকে আকৃষ্ট করে। মুক্তার তৈরি বিভিন্ন গয়না পরতেও পছন্দ করেন অনেকেই। একটা ঝিনুক যাকে বাইরে থেকে দেখতে মোটেই অবাক করার মতন কিছু মনে হয় না। কিন্তু তার ভেতর থেকেই বেরিয়ে আসে ঝলমলে মুক্তা। সব ঝিনুকেই যে মুক্তো থাকবে, তা কিন্তু নয়। তবে ঝিনুকের মধ্যে কীভাবে ধীরে ধীরে জন্ম নেয় মুক্তা, তা জানেন কি? ঝিনুকের ভেতরে মুক্তা তৈরির প্রক্রিয়াটি জানলে অবাক হতে পারেন। ঝিনুকের পেটে যেভাবে তৈরি হয় মুক্তা- সাগরে শামুকের বিভিন্ন প্রজাতি আছে। যার পেটে মুক্তা থাকে, কিন্তু তা থেকে কীভাবে মুক্তা উৎপন্ন হয়, তা হয়তো জানেন না অনেকেই। শামুক নিজেকে রক্ষা করার জন্য একটি খুব শক্তিশালী খোসার মধ্যে বাস করে এবং এই খোলসটিকে ঝিনুক বলা হয়। যখন হাজার হাজারের মধ্যে একটি বা দুটি ঝিনুকের খোসার মধ্যে একটি ছিদ্র থাকে, তখন বালির কণা তার ভেতরে যায়। এমন অবস্থায় ঝিনুকের ভেতরে বালির কণাগুলোকে এক বিশেষ ধরনের পদার্থ লেপ দিতে শুরু করে। এই বিশেষ পদার্থটিকে ক্যালসিয়াম কার্বনেট বলা হয় এবং এটি সেই জীবের ভিতরেই উৎপন্ন হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি একটি সাদা রঙের চকচকে গোলাকার আকৃতির পাথরে পরিণত হয় যাকে মুক্তা বলে। ঝিনুকের অভ্যন্তরে থাকা বালির কণা যখন শামুককের মধ্যে বিক্রিয়া করে, তখন তা থেকে এক ধরনের তরল চর্বিযুক্ত পদার্থ বের হয়। মুক্তা গঠন একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া।  বাংলাদেশের গবেষকরা বলছেন অনুকূল আবহাওয়া, দেশজুড়ে অসংখ্য পুকুর জলাশয় থাকায় আর উৎপাদন খরচ খুব কম হওয়ায় মুক্তা চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের মধ্যে। মুক্তা একটি মূল্যবান রত্ন হিসেবে পরিচিত যা সাধারণত গহনা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। তবে এর বাইরেও কিছু রোগের চিকিৎসায় এটি ব্যবহৃত হয় বলে জনশ্রুতি আছে। মুক্তার একমাত্র উৎস হলো ঝিনুক। এক সময় প্রাকৃতিকভাবে ঝিনুকে মুক্তা উৎপন্ন হতো আর সেগুলো আহরণ করে মুক্তা সংগ্রহ করত জেলে বা চাষিরা। কিন্তু পরে মুক্তা উৎপাদন কৌশল উদ্ভাবিত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী এর উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৫

খাঁটি মুক্তা চেনার কয়েকটি উপায়
ঝিনুকের মধ্যে পাওয়া যায় ঝলমলে মহামূল্যবান রত্ন। যুগ যুগ ধরে মুক্তার গয়না নারীর সৌন্দর্যের পাশাপাশি আভিজাত্যকেও বাড়িয়েছে। অনেক ধরনের মুক্তা পাওয়া যায় ঝিনুকের খোলস থেকে। মিথ রয়েছে স্বাতী নক্ষত্রে বৃষ্টির পানি ঝিনুকের মধ্যে পড়লে মুক্তার জন্ম হয়। সে যা-ই হোক, মুক্তার প্রতি বেশিরভাগ মানুষের আলাদা একটি দুর্বলতা কাজ করে সবসময়। তবে শুধুমাত্র নারীর গয়না তৈরিতে নয় বিভিন্ন কারুশিল্পেও রয়েছে মুক্তার শীর্ষ অবস্থান।  তবে বিপত্তি ঘটে আসল মুক্তা চেনার বেলায়। বেশ বিচক্ষণতার সঙ্গে চিনতে হয় এটি। বাজারে আসল মুক্তার আদলে তৈরি নকল মুক্তাও রয়েছে। নকল মুক্তা হচ্ছে মেশিনে তৈরি পুঁতি। এগুলো সাধারণত কাচ, প্লাস্টিক বা অ্যালাবাস্টার থেকে তৈরি করা হয়। মুক্তার মতো আবরণ দেওয়া এসব পুঁতি দেখতে অবিকল আসল মুক্তার মতো।  মুক্তা চেনার সময় যে বিষয়গুলো লক্ষ্য করবেন তা হলো- > যেহেতু এটির বাস পানিতেই হয়, তাই ধরার সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে হবে এটি ঠান্ডা কি না। কয়েক সেকেন্ডের জন্য আপনাকে এটি শীতল অনুভূতি দেবে। নকল মুক্তা রুমের তাপমাত্রার মতো হয়। কাচের পুঁতি দিয়ে তৈরি নকল মুক্তা স্পর্শ করলে শীতল মনে হতে পারে। তবে সত্যিকারের মুক্তার চেয়ে ত্বক গরম হতে বেশি সময় লাগবে। > খুব কাছ থেকে মুক্তা দেখতে হবে। চারপাশে একেবারে নিখুঁত মনে হলে সব দিকে দেখতে একই রকম ও সমান হলে এটি নকল। প্রাকৃতিক মুক্তা নিখুঁত হয় না বা অসমান থাকে। > মুক্তা আলোর নিচে ধরুন। আসল মুক্তায় ভিন্নভাবে আলো প্রতিফলিত হয়। নকল মুক্তা দেখতে কাচের মতো ঝকঝকে দেখাবে মুক্তার রঙ পরীক্ষা করে দেখুন। আসল মুক্তার রঙের ওপরে গোলাপী ও সবুজের মিশ্রণ থাকবে। এক ও অভিন্ন রঙের মুক্তা নকল হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তবে এই পদ্ধতি সবসময় কার্যকর নয়। কারণ আসল মুক্তার রঙও স্বচ্ছ হতে পারে। > বেশিরভাগ আসল মুক্তা খুব কমই গোলাকার হয়। ডিম্বাকৃতি, বৃত্তাকারের মতো, কিছুটা লম্বাটে আবার মাঝখানে ঢেউ খেলানো আকৃতি বা অনিয়মিত আকারের হতে পারে। সাধারণত বৃত্তাকার মুক্তার দাম অন্যান্য আকারের মুক্তার তুলনায় বেশি হয়। নকল মুক্তা একই রকম গোলাকার হয় সবগুলোই।  > খাঁটি মুক্তা নকলের চেয়ে ভারী হয়। তাই হাতের সাহায্যে ওজনের পার্থক্য বুঝুন।  > আসল মুক্তাতে থাকে ড্রিলের ছিদ্রগুলো সাধারণত খুব ছোট হয়। নকল মুক্তার ছিদ্রগুলো বড় হয়। নকল মুক্তার ছিদ্রের চারপাশের আবরণ সাধারণত পাতলা হয় এবং দেখতে চকচকে হয়। গর্তের চারপাশের আবরণগুলো উঠে যাচ্ছে এমন মনে হতে পারে নকল মুক্তার ক্ষেত্রে।  > পৃষ্ঠের অনুভূতি পরীক্ষা করতে মুক্তা ঘষুন দাঁতের সঙ্গে। সামনের দাঁতগুলোতে হালকাভাবে মুক্তাগুলো ঘষবেন। নকল মুক্তা সাধারণত মসৃণ বা গ্লাসযুক্ত মনে হয়।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়